জালেম শাসকের সাথে কর্তব্য

“অতঃপর অযোগ্য লোকেরা তাদের স্হানে বসবে। তারা এমন সব কথা বলবে, যা নিজেরা করবে না। এমন সব কাজ করবে, যার নির্দেশ দেওয়া হয় নি তাদেরকে। যে হাতের সাহায্যে তাদের বিরুদ্ধে জেহাদ করবে, সে মুমিন। যে জিহ্বার সাহায্যে তাদের বিরুদ্ধে জেহাদ করবে, সে মুমিন। অন্তর দিয়ে যে তাদের বিরুদ্ধে জেহাদ (পরিবর্তনের চেষ্টা) করবে, সে মুমিন। ঈমানের এর চেয়ে ক্ষুদ্র সামান্যতম পর্যায়ও নেই।” (মুসলিম- কিতাবুল ঈমান)। আজকে সর্বত্রই অযোগ্য লোকেরা ক্ষমতায়। আল্লাহর কুরআনের নির্দেশনা বাদ দিয়ে নিজেদের ইচ্ছেকৃত শাসনকার্য পরিচালনা করছে। হাদীসে বর্ণিত আছে- “জালেম শাসকের সামনে ন্যায় বা সত্য বলা সর্বোত্তম জেহাদ।” (আবু দাউদ- কেতাবুল মালাহিম)। আরও বলা হয়েছে- আমার পরে কিছু লোক শাসক হবে। যে ব্যক্তি মিথ্যার ব্যাপারে তাদেরকে সাহায্য করবে, সে আমার নয় এবং আমি তার নয়।” (নাসায়ী- কিতাবুল বায়াআত)। আজ যারা জালেম শাসকের মিথ্যাকে সত্য বলে মেনে নিচ্ছে তারা কি রসুলের (সাঃ) উম্মত হতে পারে!! অপর এক বর্ণনার সাথে বর্তমান পরিস্থিতির সম্পূর্ণ মিল পাওয়া যায়- “অনতিবিলম্বে এমন সব লোক তোমাদের ওপর শাসক হবে, যাদের হাতে থাকবে তোমাদের জীবিকা। তারা তোমাদের সাথে কথা বললে মিথ্যা বলবে, কাজ করলে খারাপ কাজ করবে। তোমরা যতক্ষণ তাদের মন্দ কাজের প্রশংসা না করবে, তাদের মিথ্যায় বিশ্বাস না করবে, ততক্ষণ তারা তোমাদের উপর সন্তুষ্ট হবে না। সত্যকে বরদাশত করা পর্যন্ত তোমরা তাদের সামনে সত্য পেশ করে যাও। যদি তারা সীমালঙ্ঘন করে যায়, তাহলে যে ব্যক্তি এজন্য নিহত হবে সে শহীদ।” (কানযুল উম্মাল- ৬খন্ড)। বর্তমানে আমাদের জীবিকা (পেশা) শাসকের নিয়ন্ত্রণাধীন, তারা ইচ্ছে করলে তা বন্ধ করে দেয়। যতক্ষণ পর্যন্ত মানুষ তাদের সকল কাজের সমর্থন করে ততক্ষণ তারা আঘাত করে না। কিন্তু যখনি তাদের অন্যায়ের বিরুদ্ধে বলা হয় তখন আঘাত আসে জীবিকা ও জীবনে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *