গাজাবাসীর হক্বের পথে অটল থাকাই উত্তম দাওয়াহ-

আসহাবে উখদুদের বালক জীবন দিয়ে ইসলাম জানিয়েছেন।
তার দাওয়াতের কারণে তার জাতি ঈমান এনে দুনিয়ার আগুনে পুড়ে জাহান্নাম হতে মুক্তি পায়, জান্নাতের সুসংবাদ পায়। সুমাইয়া (রাঃ), ইয়াসীর (রাঃ) এর সবর ও দ্বীনের উপর অটল থাকা ও শাহাদাত ছিল উত্তম দাওয়াহ।

হুসাইন (রাঃ), আবদুল্লাহ ইবনে যুবায়ের (রাঃ), আহলে বায়াত জীবন দিয়ে সত্য দ্বীন জানিয়েছেন, অটল থেকেছেন। যাদের সবর, দৃঢ়তা মানুষকে ইসলামের পথে নিয়ে আসে। প্রিয় রসুলের (সাঃ) আল্লাহর প্রতি একনিষ্ঠ বিশ্বাস, সবর, দ্বীনের পথে অটল থাকা ছিল উত্তম দাওয়াহ।

রাসুলুল্লাহ ﷺ এর চরিত্র ছিল জীবন্ত কুরআন, হিদায়াত সন্ধানীরা তার চরিত্রে কুরআনকে খুজে পেত, জানতে পারতো। তাই আমরাও যদি কুরআনের পথে চলি- তা হবে উত্তম দাওয়াহ।

আজ শামবাসীর মুসলিমরা (ফিলিস্তিন, সিরিয়া) মুসলিমরা শত বিপদ, অনাহার, মৃত্যুর মাঝেও আল্লাহর প্রতি অটল বিশ্বাস ও ইসলামের বিজয়ের প্রতি ভরসা রেখে নিজেদের জীবন দিয়ে দাওয়াহ দিয়ে চলছে।

হযরত মুগিরাহ ইবনে শুবাহ রাঃ বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, কেয়ামত আসা পর্যন্ত আমার উম্মাতের এক দল সব সময়ই (সত্যের উপর) বিজয়ী থাকবে। আর তাঁরা হলেন বিজয়ী। (বুখারি)

অন্য বর্ণনায় এসেছে, ‘এ উম্মাতের কার্যকলাপ কেয়ামত অবধি কিংবা বলেছিলেন, মহান আল্লাহ্‌ তাআলার হুকুম আসা পর্যন্ত (সত্যের উপর) সুপ্রতিষ্ঠিত থাকবে।

অর্থাৎ আমার উম্মতের মধ্যে একদল বা বিশেষ শ্রেণীর লোক থাকবে যারা সত্যের পথে লড়াই করতে থাকবে। তাদের সঙ্গে আল্লাহর সাহায্য থাকবে। আর তারা সত্যের পক্ষের সংগ্রামকে কেয়ামত না আসা পর্যন্ত অব্যাহত রাখবে। এ সংগ্রামী মানুষকে যারা ক্ষতি করতে চায়, কেউ তাদের কোনো ক্ষতিও (দ্বীন হতে বিচ্যুত) করতে পারবে না।

ইনশাআল্লাহ খিলাফাহ পবিত্র ভূমিতে ফিরবে। কসম সেই রবের! যিনি আমাদের মুসলিম করেছেন আমরা এই বিশ্বাসে অটল – যতই বর্তমান পরিস্থিতি বিরূপ রূপ দেখাক।

হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে হাওয়ালা রাঃ বর্ণনা করেন রাসুলুল্লাহ ﷺ আমাকে বলেছেন, ‘যখন তুমি দেখবে খেলাফত কোনো পবিত্র ভূমিতে অবতরণ করেছে বা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, তখন তুমি মনে করবে যে, কেয়ামত খুব সন্নিকটে এসে গেছে।’ (আবু দাউদ ও মুসনাদে আহমাদ)

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *