গনতন্ত্র দিয়ে কি ইসলাম প্রতিষ্ঠা পাবে?

গনতন্ত্র দিয়ে ইসলাম কায়েমের স্বপ্ন দেখিয়ে আজ অনেকে ধর্মনিরপেক্ষ হয়ে যাচ্ছে। আজ আর শরীয়া চায় না, চায় তাগুতী রাষ্ট্র। আল্লাহ মহাপবিত্র, হারাম খেলে দোয়া কবুল করেন না। অথচ হারাম গনতন্ত্র দ্বারা পবিত্র আল্লাহর দ্বীন প্রতিষ্ঠা হবে কিভাবে!!

কেউ যদি মনে করে এই যুগে গনতন্ত্র ছাড়া ইসলাম কায়েম সম্ভব নয়। তাদের বলবো আকীদা বিশুদ্ধ করেন – ইসলাম কায়েম করার জন্য কি আল্লাহ হারামের উপর নির্ভরশীল! নাউজুবিল্লাহ!

খলিফা মাহাদী হাফি, ঈসা আ. কি গনতন্ত্র দ্বারা ইসলাম প্রতিষ্ঠা করবে? বিশ্বের দিকে তাকান- কিরুপ যুদ্ধ, বিপদ ধেয়ে আসছে আজও মুসলিমরা যদি নিজেদের (জেহাদ) প্রস্তুত না করে মহাবিপদের হাত হতে রক্ষা পাবে কি?

আবু হুরাইরা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসুল (সা.) বলেন, ‘শিগগির মানুষ তোমাদের আক্রমণ করার জন্য একে অপরকে আহ্বান করতে থাকবে, যেভাবে মানুষ তাদের সঙ্গে খাবার খাওয়ার জন্য একে অপরকে আহ্বান করে।’ জিজ্ঞাসা করা হলো, ‘হে আল্লাহর রাসুল! তখন কি আমরা সংখ্যায় কম থাকবো।’ তিনি বললেন, ‘না, বরং তোমরা সংখ্যায় হবে অগণিত। কিন্তু তোমরা সমুদ্রের ফেনার মতো হবে, যাকে সহজেই সমুদ্রের স্রোত বয়ে নিয়ে যায়। আল্লাহ তাআলা তোমাদের শত্রুর অন্তর থেকে তোমাদের ভয় দূর করে দেবেন এবং তোমাদের অন্তরে আল-ওয়াহান ঢুকিয়ে দেওয়া হবে।’ জিজ্ঞাসা করা হলো, ‘হে আল্লাহর রাসুল! আল-ওয়াহান কি?’ রাসুল (সা.) বলেন, ‘আল-ওয়াহান হলো- দুনিয়ার প্রতি ভালোবাসা এবং মৃত্যুকে অপছন্দ করা।’ (আবু দাউদ)

আমরা সবসময় খেলাফাহ প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করবো কিন্তু আল্লাহ যখন চাইবে তখন তা প্রতিষ্ঠা পাবে। আমাদের পুরস্কার দেওয়া হবে আমাদের প্রচেষ্টার উপর। হুসাইন (রা:) চেষ্টা করেছিলেন খেলাফাহ ফেরাতে কিন্তু শহীদ হন। তার মানে কি তিনি ব্যর্থ, নাউজুবিল্লাহ!!

বরং তিনি উত্তম শহীদ। জালেম শাসকের বিরুদ্ধে মুমিনের জন্য আদর্শ রেখে গেছেন। আসহাবে উখদুদের বালকের ঘটনা দেখুন – দ্বীন ইসলামকে মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে জীবন দিয়েছিল, বহুলোক দ্বীন রক্ষায় জীবন দেন তারা কি শহীদ নয়!?

আবার দাজ্জালের যুগে অনেক মুসলিম যখন মক্কা, মদীনায় আশ্রয় নিবে – তখন এক যুবক দাজ্জালের অনুসারীদের নিকট সুস্পষ্ট তুলে ধরবে সেই ধোকাবাজ রব নয়, যদিও দাজ্জালের অনুসারীদের মধ্যে হয়তো কেউই ঈমান আনবে না তবুও তিনি হবেন ঐ যুগের শ্রেষ্ঠ শহীদ।

তাই দ্বীন ইসলাম সুস্পষ্টভাবে মানুষের কাছে তুলে ধরুন। সেজন্য যদি জুলুম, নির্যাতন আসে হক্বের পথে অটল থেকে শহীদ হন। বহু নবী এমন আছে তারা রাষ্ট্রীয়ভাবে ইসলাম প্রতিষ্ঠা করতে পারেনি কিন্তু দ্বীন ইসলামের জন্য শাহাদাত বরন করেন। তাদের মর্যাদা কি অন্য কেউ পাবে!? আসলে আমাদের সৃষ্টি করা হয়েছে আল্লাহর ইবাদাতের জন্য।

আর দুনিয়া হল আমাদের জান্নাতের পথে আমলের স্হান। আর সেই আমলের মধ্যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হল ইসলাম প্রতিষ্ঠার জন্য প্রচেষ্টা চালানো- হয়তো আপনার জীবনে তা নাও দেখতে পারেন কিন্তু আপনার আমল অনুযায়ী জান্নাতে স্হান পাবেন।

শাসন ক্ষমতা দেবার মালিক আল্লাহ। তিনি যাকে খুশি দিবেন। সোলাইমান (আ:) সারাবিশ্ব শাসন করেছেন যা রসুল (সা:) পারেনি। কিন্তু রসুলের (সা:) মর্যাদা সোলাইমান (আ:) পাবেন না! সোলেমান (আঃ) এর মৃত্যুর কিছু পরেই তার রেখে যাওয়া দ্বীন হারিয়ে যায় অথচ রসুলের (সা:) রেখে যাওয়া আদর্শের উপর ভিত্তি করে মুসলিমরা ইনশাআল্লাহ বিশ্ব শাসন করবে! সবচেয়ে বেশি মানুষ জান্নাতী হবে যার সমস্ত নেকী রসুল (সা:) পাবেন। কারন এই পথের সূচনা তিনি করেছেন। তাই দ্বীন প্রতিষ্ঠায় আমাদের ভূমিকা রাখতে হবে সবসময়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *