তারা নিজেদের মুসলিম দাবি করে আর ইসলাম কায়েমের কথা বলে। কুফরী গণতন্ত্রকে ছাড়তে বললে উল্টো যুক্তি দেখায় – ইসলাম কায়েম করে দেখান, আমরা গণতন্ত্র ছেড়ে দিবো, কতটা হাস্যকর। ওরা যদি রসুলের (সা:) যুগে থাকতো তাহলে হয়তো এভাবে বলতো- ইসলাম কায়েম করে দেখান, মূর্তিপূজা বন্ধ করে দিন।
বিশ্বে ইসলাম, মুসলিমের পাশাপাশি কুফর, শির্ক ও মুশরিক থাকবে। তবু আপনাকে কুফর, শির্ক বাদ দিয়ে ইসলাম মানতে হবে। তেমনি বিশ্বের ৯৯ ভাগ মানুষই যদি গণতন্ত্র মানে আপনাকে ইসলামে অটল থাকতে হবে!?
আকীদা কি শর্ত দিয়ে পালনযোগ্য না বিনা শর্তেও একমাত্র আল্লাহর ভয়, ভালোবাসায় কুফর, শির্ক ত্যাগ দিতে হবে। যখন ইসলাম রাষ্ট্রে প্রতিষ্ঠা পাবে, তখন মুনাফিক ইসলাম পালন করে (ভয়ে ও সুবিধা অর্জনের আশায়)। কিন্তু যখন মুসলিমরা ক্ষমতায় থাকে না রাষ্ট্রে ইসলামী আইন থাকে না বিভিন্ন অজুহাতে কুফরে অটল থাকে।
ইসলাম প্রতিষ্ঠা হলে গণতন্ত্র আপনাদের ছাড়তে হবে না, রাষ্ট্রই তা নিষিদ্ধ করবে। আর সত্যিকার ইসলাম চাইলে গণতন্ত্র, জাতীয়তাবাদ, ধর্মনিরপেক্ষতা বাদ দিয়ে নিজেদের আগে মুসলিম করবে।
আর আকীদা হারাম, হালালের ক্ষেত্রে যুক্তিতর্কের উর্ধ্বে গিয়ে ঈমান ও আমল করতে হয়। মূলত শয়তান তাদের নিকট এসব যুক্তিকে চমকপ্রদভাবে উপস্থাপন করে মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্য।
আল্লাহ বলেন-
আর আল্লাহর নাম নেয়া হয়নি তার কিছুই তোমরা খেও না; এবং নিশ্চয় তা গর্হিত। নিশ্চয়ই শয়তানরা তাদের বন্ধুদেরকে তোমাদের সাথে বিবাদ করতে প্ররোচনা দেয়; আর যদি তোমরা তাদের আনুগত্য কর, তবে তোমরা অবশ্যই মুশরিক। (সুরা আল আনাম -১২১)
কাফেররা যখন শুনল যে, মুসলিমরা নিজে আল্লাহর নাম নিয়ে যা যবাই করে তা খায়, আর যা যবাই করা হয় নি, এমনিতেই মারা যায় তারা তা খায় না, তখন তারা বলতে লাগল, আল্লাহ স্বয়ং যেটা যবাই (হত্যা)করলেন সেটা তোমরা খাও না, অথচ যেটা তোমরা যবাই কর সেটা খাও, (অর্থাৎ এটা কেমন কথা?) [আবু দাউদ: ২৮১৮ ইবন মাজাহ: ৩১৭৩]
আল্লাহ তা’আলা তাদের এ কথার জবাব দিতেই আলোচ্য আয়াত নাযিল করেন। এর দ্বারা বোঝা যায় যে, আনুগত্যের মধ্যেও শির্ক রয়েছে।
অর্থাৎ কেউ কোন কিছু শরীআত হিসেবে প্রবর্তন করলো আর অন্যরা তার আনুগত্য করলো, এতে যারা শরীআত হিসেবে প্রবর্তন করলো তারা হলো, তাগুত। আর যারা তার আনুগত্য করে সেটা মেনে নিলো তারা আল্লাহর সাথে শির্ক করলো।
আজও তারা এইরূপ যুক্তি দেখায় যা শয়তান ও কাফেররা ছড়িয়েছে, যেমন- মজলিসে শূরা আর গণতন্ত্র এক। ইসলামেও গণতন্ত্র আছে। বর্তমান যুগে গণতান্ত্রিক ব্যালেটের জিহাদ যেন বলতে চায় সাহাবীদের ইসলাম এই যুগে চলে না।
যারা তাদের আনুগত্য করবে সেই তাদেরই অন্তর্ভুক্ত হবে।