ডা. আবদুর রহমান (রহ:) যিনি এমন এক ব্যক্তিত্ব যার বিশেষ অবদানে লাখো-লাখো মানুষ ইসলামে ফিরেছিল। তিনি বাগদাদ ভার্সিটি, লিভারপুল ভার্সিটি, কানাডার ম্যাকগ্রিল ভার্সিটি হতে ডাক্তারি ডিগ্রি অর্জন করেন। তবে সাধারণ ডাক্তারদের মত জীবনধারণ না করে ইসলামের সেবায় নিজেকে উজাড় করে দেন। দারিদ্র্য আফ্রিকার ২৯ টা দেশ বিশেষ করা ইথিওপিয়া, কেনিয়া, মুজম্বি, মালি, Eritera, Angola সফর করে ইসলাম প্রচার করেন। তিনি যখন প্রথম আফ্রিকায় গেলেন দেখলেন অনেক মুসলিম সুরা ফাতেহাই পারে না। অনেকে মসজিদেই জেনা করছে। অনেক ক্ষুধার্ত মুসলিমকে শুধু মাত্র রুটির জন্য ধর্মান্তরিত করা হচ্ছে। অনেক মানুষ গাছ, তারা, পশুর পূজা করত। তিনি ওদের সংস্কার ও দ্বীন প্রচারের সিদ্ধান্ত নিলেন। অনেকগুলো ইসলামিক সংস্হা খুললেন। আফ্রিকার ময়লা ডোবা ভয়াংকর জঙ্গলে পাড়ি দিয়ে ইসলামের দাওয়াত পৌঁছেছেন। তার সঙ্গীরা বলেন- এমনও দিন গেছে আমরা ৩ দিন পানি পান করতে পারিনি। সাপের কামড় হতে তিনবার প্রাণ রক্ষা পায়। বহুবার ডা. আবদুর রহমান গুরুতর অসুস্থ হন তবুও তার কাজ চালিয়ে গেছেন। তার অবদান-
- ৯৫০০ এতিমকে সাহায্য করেন।
- ৯৫০০০ ছাত্রকে আর্থিক সহয়তা দেন যাদের অনেকে ডাক্তার হয়েছিল।
- ৫৭০০ টি মসজিদ নির্মান।
- মহিলাদের জন্য ২০০ টি ট্রেনিং সেন্টার।
- ৮৬০ টি বিদ্যালয়।
- ৪ টি ভার্সিটি।
- ১০২ টি ইসলামিক সেন্টার।
- ৫১ মিলিয়ন কুরআন বিতরন।
- ৯৫০০ টি কূপ।
- ৭ মিলিয়ন লোক পুরোহিত ও খ্রিষ্টান ধর্মযাজকসহ তার হাতে ইসলাম গ্রহন করেন।
মিডিয়ার কল্যাণে আমরা নেলসন ম্যান্ডেলাকে চিনি কিন্তু ডা. আবদুর রহমানের মত ব্যক্তিরাই অখ্যাত রয়ে যায়। আমরা মুসলিমরা মেসি, রোনাল্ডো, কাফের, মুনাফেকদের রেকর্ড নিয়ে মত্ত অথচ ইসলামে যাদের অবদান তাদের নামও জানি না। আল্লাহ বলেন- “তোমাদের বন্ধু আল্লাহ ও তার রাসুল এবং মুমিনরা যারা সালাত আদায় করে, যাকাত আদায় করে এবং যারা বিনয়ী। আর যারা আল্লাহ ও তার রাসুল, মুমিনদের বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করে তারাই আল্লাহর দল এবং আল্লাহর দলই বিজয়ী।” (সুরা মায়েদাহ-৫৫-৫৬)। যে যাকে ভলোবাসবে তার সাথে তার হাশর হবে। আল্লাহ বলেন- “(হে মুহাম্মদ) আপনি বলে দেন, যদি তোমরা আল্লাহর ভালোবাসা পেতে চাও তবে আমাকে অনুসরণ কর। আল্লাহ তোমাদের ভালোবাসবেন তোমাদের গুনাহসমূহ ক্ষমা করে দিবেন। আর আল্লাহ মহাপ্রক্রামশালী, পরম করুনাময়।” (সুরা আল ইমরান- আয়াত ৩১)। ডা. আবদুর রহমানকে যিনি এ দাওয়াত ও দ্বীনের পথে চলতে বলেন তিনি তার স্ত্রী উন্মে শোয়াইব। অথচ আমাদের সমাজের কোন নারী হলে ডিগ্রি, অর্থ পাবার পর বিলাসীতায় ও অহংকারে মত্ত থাকত। তারা ছিলেন বিনয়ী অহংকারমুক্ত। সাহাবী, তাবেয়ীগন দ্বীন শিখতে ও প্রচার করতে কত শারীরিক, মানসিক কষ্ট সহ্য করেছেন অথচ আজ দ্বীন জানা ও প্রচার কত সহজ অথচ আমরা অবহেলা করে চলেছি। আমরা জান্নাত চাই ঠিকই কিন্তু জান্নাতের জন্য কষ্ট করতে চাই না।