চীন কুরআনের আয়াত পরিবর্তন করে নিজের মন মতো সাজাতে চেয়েছিল। সেই চীন কোভিড তান্ডবে বহু প্রাণ হারিয়ে ভয়ে মুসলিমদের প্রকাশ্যে সালাত পড়ার সুযোগ করে দেয়। চীনে যখন করোনা দেখা দিয়েছিল তখন নিশ্চিত আনন্দে কাটছিল ইউরোপ-আমেরিকার মানুষগুলো। Netflix ০৩/ ১২/১৯ তারিখে “The first Temptation of christ” মুভি বের করে যেখানে আল্লাহর প্রিয় রসুল ঈসা (আঃ) ও মরিয়ম (আঃ) কে চরমভাবে অপমান করা হয়। এমনকি এই মুভিতে ঈসা (আঃ) কে সমকামী দেখানো হয় নাউজুবিল্লাহ। সারাবিশ্বে মুসলিমরা এর প্রতিবাদ করে, অনেক খ্রিস্টানও যোগ দেয়। তারা Netflix বয়কট করতে বলে, করা হয়নি বরং এর জনপ্রিয়তা আজ এদেশে। এদেশের অজ্ঞ মানুষগুলো পশ্চিমা মুভি দেখাকে আধুনিকতা মনে করে কিন্তু এর পিছনে লুকায়িত ষড়যন্ত্র জানে না। এরপর জানুয়ারি ১ তারিখ Messiah, Antichrist মুভি রিলিজ করে যেখানে Antichrist মানে দাজ্জালকে হিরো হিসেবে দেখানো হয়। এর কিছুদিন পরই করোনা তান্ডব শুরু হয়, লাখো প্রাণহানী ঘটে। মানুষ কত অসহায় স্রষ্টার কাছে, কত প্রার্থনা, ক্ষমা চায়। থেমে গেল বিমান হামলা, পাপের স্হান নিরব হয়ে গেল। কোভিডের প্রকোপ যখন একটু কমল আবার শুরু হল পাপাচার। এমনকি আমাদের প্রাণের অধিক প্রিয় রসুলের (সাঃ) উপহাস করল। প্রতিবাদ, সমাবেশ ছাড়া মুসলিম রাষ্ট্রগুলোও কার্যকর কিছু করল না। তাহলে অপেক্ষা করুন আরও বড় আযাব আসছে। আমরা হয়তো অক্ষম ও কাপুরুষ হয়ে গেছি। কিন্তু আল্লাহ আজও সর্বশক্তিমান, রসুলের (সাঃ) উপহাস ও শত্রুর মোকাবেলা আল্লাহই করেন। ইসলাম প্রচারের কারণে আবু লাহাব রসুলকে হাত তুলে মারত গেলেন ও তার স্ত্রী রসুলের বিরোধিতা ও কষ্ট দিলেন। তখন আল্লাহ তাদের অভিশাপ দেন ও ধ্বংস করেন। আল্লাহ বলেন-” ধ্বংস হোক আবু লাহাবের দুহাত এবং ধ্বংস হোক সে নিজে। তার কোন কাজে আসেনি তার ধনসম্পদ ও যা কিছু সে উপার্জন করেছে। সত্বর সে প্রবেশ করবে লেলিহান অগ্নিতে। এবং তার স্ত্রী যে ইন্ধন বহনকারী। তার গলদেশে খেজুরপত্রের পাকানো রশি। (সুরা লাহাব)। রসুলের (সাঃ) উপসহকারীগণ খেয়াল কর! দেখুন কোভিডে জালেমদের সম্পদ, উন্নত টেকনোলজি থাকা স্বত্বেও তোমাদের মৃত্যু ও ধ্বংসকে ঠেকাতে পারো নি, কোনকিছুই কাজে আসেনি। নিশ্চয়ই আল্লাহর ওয়াদা সত্য। অথচ ময়লা খাওয়া ফুটপাতের শিশুগুলো ঠিকই সুস্হ শরীরে বেচে আছে। হা কিছু মুমিন মহামারীতে মারা যায় এটা তাদের জন্য আযাব নয় বরং রহমত, তারা শাহাদাতের মর্যাদা পায়।