বহু সংখ্যক গরু বেপারী, দালাল, হাট কতৃপক্ষ জুমার সালাত পড়েনি। যাদের মধ্যে আল্লাহর ভয় নেই তারা গরু বিক্রিতে কতটা স্বচ্ছতা, সত্যতা বজায় রাখবে!
অথচ তারাই হাটে মাইক হাতে হাসিলের ফজিলত বর্ননা করছে, কেউ কেউ বলছে হাসিল কুরবানির অংশ। কিন্তু হাসিলের নামে বহু জায়গায় জুলুম হচ্ছে, কোথাও হাসিলের হার ৫ পারসেন্ট।
এদেশে পূজা, পহেলা বৈশাখ, ২৬ শে মার্চ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে স্কুল, কলেজসহ বহু মাঠ ফ্রীতে পাওয়া গেলেও ঈদের সময় এসব মাঠের ইজারা হয় চরম মূল্যে।
অথচ বিভিন্ন দিবসে এসব স্হানে অনুষ্ঠান পালনের জন্য অনেকাংশে সরকার হতে অর্থায়ন, অনেকে স্পন্সর করে
ও প্রশাসনিক নিরাপত্তা ব্যবস্হা করা হয়। আর এদেশে মুসলিমরা কর দেয়- সেক্ষেত্রে কুরবানির হাটে কিছুটা খরচের বাজেট রাখা উচিত।
আর হাসিলকে কুরবানির অংশ ফাতওয়া দিবেন অথচ ইসলামের ক্রয় – বিক্রয়ে নীতি বলবেন না এটা কেমন নীতি!!
ধরুন আপনি ব্যবসার উদ্দেশ্য দোকান ভাড়া নিয়েছেন- বিক্রেতার নিকট জিনিস বিক্রয় করবেন দোকান ভাড়া, যাবতীয় খরচ ও নিজের লাভের পরিমান হিসাব করে।
ক্রেতা সরাসরি ভাড়া দিবে না, বরং একটা নির্ধারিত মূল্যে বিক্রি করবে যা হতে বিক্রেতা তার দোকান ভাড়াসহ যাবতীয় খরচ পরিশোধ করবে।
অথচ গরু বিক্রির হাসিলের টাকা সরাসরি ক্রেতা দিচ্ছে, এরপর আবার বহুস্হানে বিক্রেতা চাদাসহ কিছু টাকা খরচ করতে বাধ্য হচ্ছে। অথচ নিয়ম এমন হওয়া উচিত ছিল-গরু বিক্রেতা একটা মূল্যে গরু বিক্রি করবে সেই টাকায় সে হাটের ভাড়া দিবে। যেহেতু হাটের ভাড়া, নিরাপত্তা, পর্যবেক্ষণের দায়িত্বে যারা আছে তাদের নির্দিষ্ট বেতন প্রয়োজন।
কিন্তু আমাদের ইবাদতের বিষয়গুলোতে স্বল্প খরচের বদলে সবগুলো যেন চরম মূল্য হয়ে যায়। রমাদ্বান দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি ও কুরবানির হাটে হাসিলের নামে অনেক ক্ষেত্রে চলছে জুলুম। ক্রেতা ও বিক্রেতা যতটা লাভবান হচ্ছে, তৃতীয় পক্ষ লাভবান হচ্ছে আরও বেশি।