প্রায় ১৬৬০ সালের দিকে Sabbatai Zevi নামক এক ইহুদি পন্ডিত নিজেকে মাসীহ (নবী ঈসা, পরে রব) দাবী করে। তখন ইহুদিরা স্বপ্ন দেখে জেরুজালেম, ইসরায়েল দখল করার। সাব্বটাই জাভি উসমানীয় সুলতানের কাছে জেরুজালেম দাবী করেন। এরপর উসমানীয় সুলতান মাহমুদ-৪ তাকে বলে তুমি যদি মাসীহ হও তাহলে আমি তোমাকে হত্যা করতে পারলে তুমি নিজেকে জীবিত করতে পারবে, না হয় ভন্ডামি ছেড়ে মুসলিম হও। সে মুসলিম হওয়ার ছদ্মবেশে ইহুদীই থেকে যায়। উসমানীয় সাম্রাজ্যে সে প্রহরীর চাকরি পায়। তার সাথে সাথে তার অনেক ভক্ত মুসলিম হলেও গোপনে ইহুদিই থেকে যায়। ওদের Donmeh বলা হত। যাদের মূল উদ্দেশ্য ছিল ইসলামের ক্ষতি করা। কিছুলোক খ্রিস্টান হওয়ার ভান করে পরবর্তীতে তারাই খ্রিস্টান ধর্মের লেকচারার হয়ে প্যাটেস্টাইনবাদের জন্ম দেয়। ফলে খ্রিস্টানদের ঘৃণা ট্রান্সপার করে ইহুদি হতে মুসলিমদের দিকে। খ্রিস্টানদের আকীদা ছিল ইহুদিরা তাদের বড় শত্রু, তাদের কারণে তাদের যিশু শুলবিদ্ধ হন। এজন্য যুগ যুগ ধরে তারা ইহুদিদের নির্যাতন করতো। পরবর্তীতে এই Sabbati Zevi এর অনুসারী ইহুদিরা খ্রিস্টান হয়ে প্রচার করে আসলে আদম (আঃ) ফল খেয়ে পাপ করেছিল তাই প্রকৃত শিশুই পাপ নিয়ে জন্মায় ফলে যিশু শুলবিদ্ধ হয়ে মানবজাতিকে পাপমুক্ত করেছে, যারা তার ঘটনা বিশ্বাস করবে সে নাজাত পাবে। ফলে ইহুদিরা মানবজাতিকে মুক্ত করে ও যিশুকে জঘন্য দুনিয়ার মানবরূপ হতে মুক্ত করেছে। আজও ইহুদিরা Sabbati Zevi এর দেখানো কাবালাহ (কুফরী, জাদু, শয়তান বিদ্যা) চর্চা করে। ১ম বিশ্বযুদ্ধের সময় এই Donmeh পরিবারের বেশিরভাগই সেনাবাহিনীর উচ্চপদে থাকে, তাদের ইয়ং তুর্ক বলা হত। তাদেরই একজন কামাল পাশা। যাকে দিয়ে ইসলামের অনেক আইন শেষ করা হয়। তারাই জার্মানির পক্ষ নিয়ে সুলতানের অজান্তে যুদ্ধে জড়ায়। এই যুদ্ধের পর চারটা পরাশক্তির (উসমানীয় সম্রাজ্য, জার্মানি, আস্ট্রিয়া-হাঙ্গেরি, বিট্রেন) ক্ষমতা হ্রাস পায়। এরপর বিভিন্ন ষড়যন্ত্র করে ইউরোপীয় ইহুদিদের ফিলিস্তিনে আনা হয়। এরপর একে একে ইসলামী বিধান উঠিয়ে দেওয়া হয় এমনকি আরবিতে আযান নিষিদ্ধ করা হয়। এরপর আদনান মেন্দেরাস ক্ষমতায় আসেন (১৯৫০-৬০)। তিনি বহুবছর পর আরবিতে আযান দেওয়ার ঘোষণা দিলেন। সেদিন মুসলিমরা এত খুশি হয়েছিল, বহুবছর পর আরবিতে আযান শুনে কেঁদে ছিলো, হজ্বে যাওয়ার অনুমতি দিলেন, আরবি ভাষা শিখতে মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করতে লাগলেন। ইসলাম পালনের স্বাধীনতা এল, হিজাব পরতে বাধা উঠিয়ে দিলেন কিন্তু ২৬ মে ১৯৬০ খ্রিষ্টাব্দে সেনাবাহিনী বিদ্রোহ করে তাকে বন্দী করে। পরবর্তীতে তাকে সেক্যুলার সিস্টেম পরিবর্তন করার অভিযোগে ফাঁসি দেওয়া হয়। আজও তুর্ক সেনাবাহিনীর বড় বড় পদে Donmeh রা আছে। তাই সবসময় সেনাবিদ্রোহের শংকায় থাকে প্রধানমন্ত্রী, প্রেসিডেন্টরা। এবার হাদীস দেখি- জেরুজালেমের উত্থান হলে মদীনার পতন হবে। এরপর হবে মালহামা। মালহামার পর মুসলিমরা ইস্তাম্বুল বিজয় করবে। এরপর দাজ্জাল রেগে আত্মপ্রকাশ করবে। (আবুদাউদ, মুসলিম, আলফিতান)। তার মানে মালহামার পূর্বে ইস্তাম্বুল ইসলামের শত্রুদের দখলে চলে যাবে। মুসলিম শরীফ অনুযায়ী, মালহামা হবে সিরিয়ার আমাক বা দাবিকে, যেখানে ৮০ টা পতাকাতলে রুম জাতি জড়ো হবে। (কেয়ামতের ফেতনা অধ্যায়)। আমাক বা দাবিক ইস্তাম্বুলের অতি নিকটে। আল ফিতান অনুযায়ী- ইস্তাম্বুল দিয়ে রুম বাহিনী আমাক ও দাবিকে জড়ো হবে আর মুসলিমরা মদীনা হতে খলিফা মাহাদীর নেতৃত্বে জড়ো হবে ও মালহামায় বিজিত হবে। এরপর মুসলিমরা ইস্তাম্বুল রওনা দিবে ও বিজয় করবে। তারপর দাজ্জাল রেগে আত্মপ্রকাশ করবে। এখান হতে অনেক আলেম ধারণা করেন, ইহুদীরা যখন জেরুজালেমে পরাজিত হবে (খোরাসান বাহিনী দ্বারা) তখন ভরসা থাকবে ইস্তাম্বুলের Donmeh ও ইহুদিদের (তুরস্কে অনেক ইহুদি রয়েছে) প্রতি। কিন্তু সেখানেও পরাজয় হলে রেগে সে আত্মপ্রকাশ করবে। তখন ইরানের ইসফাহানের ইহুদিরা তার সঙ্গে যোগ দিবে। কারণ মাসীহ নিয়ে ইহুদিদের দুটো মত বিদ্যমান। ইসরায়েলের ইহুদীদের আকীদা হল তারা জেরুজালেম দখল করলে তখন মাসীহ এসে বিশ্বশাসন করবে। জেরুজালেম হতে অন্যদিকে ইরানসহ অন্যান্য ইহুদিদের আকীদা হল, ইহুদিরা যখন দুর্বল, নির্যাতিত হবে তখন মাসীহ এসে তাদের জেরুজালেম নিয়ে আসবেন। তাই উসমানীয় সাম্রাজ্যের সময় যখন ইহুদিরা দুর্বল ছিল Sabbati Zevi ও ইব্রাহিম আবু লাফিয়া মাসীহ দাবি করে জনপ্রিয় হয় ও ইহুদিরা জেরুজালেম ফেরার স্বপ্ন দেখে।জেরুজালেম, ইস্তাম্বুল বিজয়ের পর যখন ইহুদিরা দূর্বল হবে তখন দাজ্জাল অর্থাৎ ইহুদিদের মাসীহ আত্মপ্রকাশ পেলে ইরানসহ ইহুদীরা তাকে অনুসরন করবে। এখন দুঃখজনক হলো ইস্তাম্বুল কাফেরদের দখলে যাবে তার পিছনে Donmeh এর ভূমিকা থাকবে।
[…] জাদুবিদ্যার অনুশীলন বৃদ্ধি পায়। ইস্তাম্বুল, দাজ্জাল, ডনমে পোস্টে কিছু ধারণা দেওয়া আছে আব্রাহাম […]
[…] জাদুবিদ্যার অনুশীলন বৃদ্ধি পায়। ইস্তাম্বুল, দাজ্জাল, ডনমে পোস্টে কিছু ধারণা দেওয়া আছে […]