ইসরায়েল, চীন, মায়ানমার, রোমসহ প্রতিটি মুসলিমদের শত্রুর পতন আমরা চাই। আমরা কার পক্ষ নিলাম, কার বিপক্ষে গেলাম তাতে ইসলামের কিছু চায় আসে না।
ইনাশাল্লাহ আল্লাহর দলই বিজয়ী হবে।
কিন্তু এখন একটু চিন্তা করুন কেন আমরা রাফেজীদের বিরোধিতা করি? যেখানে ইসরায়েলের বিরোধিতা করে ওয়াজ করলে আলেমরা হাজার হাজার টাকা পায়, জনপ্রিয় হয় সেখানে আমরা সমালোচনা ও গালির শিকার হতে হয়।
আপনি কি এখনও এতটা সবরকারী, সহনশীল ও উদার হবেন যে প্রতিদিন কেউ আপনার মাকে চরিত্রহীন বলে, কুকুরের মত নাপাক বলে, আপনার বাবাকে কাফের বলে গালি দেয়, বোনকে ধর্ষন করার পরেও? তারা যেহেতু মুসলিম পরিচয় দেয়, আপনি তাদের ভাই ভাবেন ও মুসলিমদের বীর ভাবেন। আপনি কি কখনও আপনার মায়ের সামনে আদর্শ সন্তান হিসেবে পরিচয় দিতে পারবেন?
আমরা এতটা সহনশীল নই যে যারা আমাদের মা আয়েশা (রা) উপর যারা অপবাদ দেয়, রসুলের (সা:) হত্যাকারী বলে ও সাহাবীদের কাফের বলে তাদের সমর্থন করবো। রোজ কেয়ামতে আপনি রসুলের (সা:) সামনে কিভাবে দাড়াবেন যে – তার পবিত্র স্ত্রী, সাহাবীদের গালিদাতাদের দাওয়াহ ও প্রতিবাদ না করে বরং তাদের ইসলামী বীর হিসেবে মেনে নিয়েছেন।
আমরা এতটা দুশ্চরিত্র নই যারা ইরাক, সিরিয়ায় আমাদের বোনদের ধর্ষন, হত্যা করছে, সাহাবীদের গালি দেয় সে রাফেজীদের মুসলিম ভাববো ও সমর্থন করবো। ইরাক, সিরিয়া, লেবাননে যাদের উপর জুলুম হয়েছে তারা যদি লড়াই করে রাফেজী, নুসাইরিয়াদের সাথে আল্লাহ তাদের জেহাদের অনুমতি দিয়েছেন, আমি বা আপনি বিরোধিতা করার কে?
আপনাকে কেউ থাপ্পড় মারলো অন্যজন এসে বললো আপনার তরফ হতে থাপ্পড়দাতাকে সে ক্ষমা করে দিয়েছে, এই বিচার সুষ্ঠ না, আপনি কি তা মানবেন? তেমনি যাদের উপর জুলুম হয়েছে আল্লাহ তাদের জিহাদের অনুমতি দিয়েছে, আমি বা আপনি বাধা দেওয়ার কে?
কিন্তু চিন্তা করুন- ৭১ সালে যাদের স্বজনদের উপর জুলুম, ধর্ষন, নির্যাতন হয়েছে তারা কি কখনও জালেমদের পক্ষে নিবে? হা বর্তমান পাকিস্তানের দ্বীনদার মুসলিম যারা ইসলামকে ভালোবাসে, জুলুম, নির্যাতনের সাথে জড়িত নয় তাদের পক্ষে আমরা অবশ্যই থাকবো। যারা আমাদের বিরুদ্ধে বলছেন, গালি দিচ্ছেন তাদের অধিকাংশের আইডি দেখে নিশ্চিত হলাম তারা গণতান্ত্রিজ শির্ককে ইসলাম বলা তথাকথিত ইসলামী দল নামক কুফরী দলের সদস্য। গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে বলায় বহু আগে হুমকি দিয়েছিল, আজও পোস্টকে ভুল ব্যাখা করে ইসরায়েলের দালাল বলে হুমকি, গালি দিচ্ছে।
শত্রুতার কারণ হলো তাদের গনতান্ত্রিক আদর্শের বিরোধিতা করা এবং অপবাদ বানিয়েছে মোসাদের এজেন্ট। নাউজুবিল্লাহ, কতটা নিকৃষ্ট! তাদের কাছে কি দ্বীন ইসলাম বা মুসলিম নিরাপদ? আমরা সকল গণতান্ত্রিক আদর্শের বিরুদ্ধে, কিন্তু ৭১ এর ঘটনার জন্য তারা কি কখনও লজ্জিত হয়েছিল!
(রাফেজীদের কুফরী ও জুলুমের লিংক দেওয়া হচ্ছে কমেন্টে)
ঠিক তেমনি মুসলিমরা যদি ইসরায়েল, মায়ানমার, চীন, রোমের মতো দেশগুলোর সাথে লড়াই করে মুসলিমদের বাচাতে আপনি আর আমি বাধা দেওয়ার কে?
আবার ভাবুন- সুফিয়ানী, বনু কাল্বের সেনারা যারা শাম, লেবানন, জর্ডানে ক্ষমতা নিবে ভবিষ্যতে একই কাজ করবে। তখন ওদের বিরুদ্ধে কোন মুসলিম লড়াই করলে আপনারা তাদের না বুঝে ইহুদিদের দালাল বলবেন। অথচ ইসলামের বিজয় কালেমার পতাকাতলে। আর আমরা যাদের বীর ভাবছি তাদের লড়াই জাতীয়তাবাদের পতাকাতলে।
খোরাসান বাহিনী ইরান, ইরাক, সিরিয়া লড়াই ও বিজয় করে জেরুজালেমে খেলাফাহ প্রতিষ্ঠা করবে। (আবু দাউদ, আল ফিতান, মুসলিম শরীফ)
একটু চিন্তা করুন – বনু কাল্ব যারা নুসাইরিয়া শিয়া হিসেবে খ্যাত তারা যখন খলিফা মাহাদীর (হাফি) সাথে লড়াই করতে যাবে তারা নিশ্চয়ই তাকে ভন্ড মাহাদী ঘোষণা করে যাবে। কারণ তাদের আকীদা অনুযায়ী মাহাদী অনেক আগেই জন্ম নিয়েছেন। একদিকে তারা আহলে বায়াতের ভালোবাসা দাবি করে অন্যদিকে আহলে বায়াতের সাথে লড়াই করছে ও করবে।
উম্মতকে ফেতনা চিনানোর জন্য গালি, সমালোচনা সহ্য করে সুস্পষ্ট সত্য বলা হচ্ছে।
চীন ৭০ লাখ মুসলিম নির্যাতন করছে ইরান তাদের বন্ধু। ইরান, আমেরিকা, কুর্দি একসাথে মিলে ইরাক, সিরিয়ায় মুসলিমদের বিরুদ্ধে অভিযান চালায়। যখন মুসলিমরা দুর্বল হয় আমেরিকা আবার ইরানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে, এটা রাজনৈতিক সংঘাত ইসলামিক নয়। অবশ্যই কেয়ামত পর্যন্ত হক্বপন্থী দল থাকবে যারা ইসলামের পতাকাতলে সকল কুফর, শির্ক, জালেমের বিরুদ্ধে লড়াই করবে।
পুরো পোস্ট ছিল ইসরায়েলসহ সকল মুসলিমদের শত্রুর বিরুদ্ধে (চীন, ইরান, মায়ানমার, রোম, আমেরিকা যেই হোক না কেন) গিয়ে প্রকৃত মুজাহিদদের সমর্থনের পক্ষে।
শুধুমাত্র অতীতে তাদের দলের মূর্তিপূজা অংশগ্রহণ, মন্দির পাহারা, নববর্ষের মত বিদআতী অনুষ্ঠান পালনের বিরোধিতা করায় ওরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে গালি, মোসাদের এজেন্ট আ্যখা দিল, নিজেদের সংশোধন না করে। চিন্তা করুন- ক্ষমতা পেলে ওদের অনৈসলামিক কাজকে ইসলাম হিসেবে না মানলে জুলুম করবে রাজতন্ত্রের শাসকের মত।
আবারও বলছি আমরা সকল প্রকার গণতান্ত্রিক শির্ক ও তাগুতের সমর্থন হতে মুক্ত। আর যতই মৃত্যু হুমকি, মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে পাবলিককে ক্ষেপিয় তুলুন না কেন আমাদের জন্য আল্লাহ যথেষ্ট।
আপনারা অপেক্ষা করুন আমরাও অপেক্ষা করি, আল্লাহ কাদের বিজয়ী করেন।