আকীদা বিপরীত হলে শিয়াদের সমর্থন করা যায় কিন্তু আকীদা বিশুদ্ধ হলেও মাসায়ালাগত দ্বন্দ্বের কারণে মুজাহিদদের বিরোধিতা করে তারা। ইরানের আক্রমণে দুই একটা শিশু মরলেও জায়েজ কারণ সত্যিই বর্তমান যুদ্ধগুলোয় শত্রু, নিরীহ শিশু আলাদা করা সম্ভব নয়। কিন্তু কোন মুজাহিদদের আক্রমনে কিছু নিরীহ মরলে তখন খারোজী উপাধি মিলে।
ইরানের বিরোধিতা করলে যে ইহুদিদের দালাল হতে হবে এই কেমন কথা- বরং বিশ্বের প্রতিটি মুসলিমের রক্তের মূল্য সমান। ফিলিস্তিনের নিরীহ মুসলিমের হত্যার যেমন বিরোধিতা ও ঘৃনা করবো, ওদেরও শত্রু ভাববো। তেমনি মায়ানমার, চীন ও ইরান, সিরিয়ায় নুসাইরিয়াদের যারা নিরীহ মুসলিমদের হত্যা করছে, শত্রু ভাববো যতক্ষণ না তারা তওবা করে ইসলাম গ্রহণ করে। অনেকে কুরআনের আয়াত ও হাদীস আনে ওদের সমর্থনের ভুল ব্যাখা করে। যেমন সুরা রুমে বর্ণিত,
রোমকরা পরাজিত হয়েছে,
নিকটবর্তী এলাকায় এবং তারা তাদের পরাজয়ের পর অতিসত্বর বিজয়ী হবে, কয়েক বছরের মধ্যে। অগ্র-পশ্চাতের কাজ আল্লাহর হাতেই। সেদিন মুমিনগণ আনন্দিত হবে। আল্লাহর সাহায্যে। তিনি যাকে ইচ্ছা সাহায্য করেন এবং তিনি পরাক্রমশালী, পরম দয়ালু। (২-৫)
আবার শেষ জমানায় মুসলিমের সাথে রুমের যুদ্ধ বিরতির চুক্তির হাদীস আনে (মুসলিম, আবুদাউদ)।
অথচ প্রেক্ষাপট বুঝতে হবে – অনেকের মতে এই আয়াত মক্কায় নাযিল হয়, কারো মতে মদীনায় হিজরতের পর। কিন্তু সবাই একমত তখন রুম আর পারস্যের যুদ্ধ চলছিল। যেহেতু পারস্যের লোকেরা অগ্নিপূজক ছিল আর কোরাইশরা ছিল মূর্তিপূজক তাদের পারস্যের প্রতি সমর্থন ছিল। অপরদিকে রুমের লোকেরা আহলে কিতাব দাবি করতো যদিও তারা বিকৃত দ্বীন মানছিল মুসলিমরা তাদের সমর্থন করেছিল। মুসলিমদের উপর কোরাইশরা নির্যাতন চালিয়েছিল, রুমের খ্রিস্টানদের সাথে মুসলিমদের তখনও যুদ্ধ হয়নি।
বদর, মক্কা বিজয়ের পর কোরাইশরা পরাজিত হয়, বাকীরা ইসলাম গ্রহণ করলেও রুমের সাথে মুসলিমদের বড় বড় যুদ্ধ (মুতা, ইয়ারমুক, ক্রুসেডে যুদ্ধ) চলতে থাকে। যার সমাপ্তি হবে মালহামার মাধ্যমে।
পরবর্তীতে কি দ্বীন পূর্নাঙ্গ হয়নি, কুরআনের আয়াত আসেনি?
হে মুমিনগণ! তোমরা ইয়াহুদী ও নাসারাদেরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করো না, তারা পরস্পর পরস্পরের বন্ধু। আর তোমাদের মধ্যে কেউ তাদেরকে বন্ধুরূপে গ্রহন করলে সে নিশ্চয় তাদেরই একজন। নিশ্চয় আল্লাহ যালিম সম্প্রদায়কে হেদায়াত দেন না। (সুরা মায়েদাহ -৫১)
হা মুসলিমদের বিরুদ্ধে যারা যুদ্ধ ঘোষণা করেনি এসকল মুশরিকদের সাথে ভালো আচরন, দাওয়াহ, লেনদেন করা যায়।
আর আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হল- রুম হলো কাফের। মুনাফেক, মুরতাদ, জিন্দিক নয় যারা নিজেদের মুসলিম পরিচয় দিলেও মুসলিম ও ইসলামের বিরুদ্ধে ফেতনা সৃষ্টি করেছিল। আবু বকর (রা:) যাকাত অস্বীকারকারী, আলী (রা:) খারেজীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা কেন করেন যদিও তারা নিজেদের মুসলিম দাবি করতো?
কারণ ইসলামের মৌলিক বিষয় যা কুরআনে সুস্পষ্ট ফরজ, তা অস্বীকার করলে কেউ মুসলিম থাকে না। কোন ফেতনা যদি প্রাথমিক অবস্থায় নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব না হয় তা পুরো ইসলামী রাষ্ট্রকে গ্রাস করতে পারে। আবু বকর (রা:) উমরের (রা:) সময়কালে যেভাবে ফেতনা প্রাথমিকভাবে নির্মূল করা সম্ভব হয়েছিল পরবর্তীতে তা হয়নি। তাই আজ মুসলিম পরিচয় দিয়ে কত দল, মত, আকীদায় বিভক্ত।
আচ্ছা মিথ্যা নবী দাবিদারদের বিরুদ্ধে যেমন – দাওয়াহ প্রয়োজন তেমনই তাদের বিরুদ্ধে জিহাদও করতে হবে। তাদের মুসলিম হিসেবে স্বীকৃতি ও সমর্থন দেওয়া যাবে না তাহলে যাদের অনেকে আলীকে (রা:) রবের আসনে বসিয়েছে তাদের মুমিন সমর্থন কিভাবে করবে, তবে হা আমরা দাওয়াহ দিবো।
এবার আসি ২য় মতে, শেষজমানায় মুসলিমের সাথে রুমের সন্ধি নিয়ে। এটা তখন হবে যখন মুসলিমদের খলিফা হিসেবে মাহাদী (হাফিঃ) থাকবেন। পুরো মুসলিম উম্মাহর পক্ষ হতে চুক্তি, কোন নির্দিষ্ট ভূখন্ড বা ফেরকার সাথে সন্ধি নয় যে- রুম একদেশের মুসলিমদের সাথে সুসম্পর্ক রাখবে আর অন্যদের সাথে লড়বে। বরং প্রতিটি মুসলিম সীসা ঢালা প্রাচীরের মতো হবে, এক মুসলিম হতে অন্য মুসলিম আলাদা হবে না। বরং পরস্পরকে বাচাতে মালহামা হবে।
হাদিসে রয়েছে –
কেয়ামত সংঘটিত হবে না, যাবৎ রোম’রা আ’মাক অথবা দাবিক-এ অবতরণ না করে। সেসময় পৃথিবীবাসীর মধ্য থেকে (মুমিনদের) সর্বোত্তম একটি সৈন্যদল মদিনা হতে (বের হয়ে) তাদের দিকে ধাবিত হবে।
তারা পরষ্পরে যখন সারিবদ্ধ হয়ে (মালহামাতুল কুবরা তথা মহাযুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হবে, তখন) রোম’রা বলবে: আমাদের এবং যারা আমাদের লোকদেরকে আটকিয়ে রেখেছে তাদের মাঝ থেকে তোমরা সরে যাও, আমরা ওদের সাথে যুদ্ধ করবো।
তখন মুসলমানরা বলবে: (এটা কখনই হতে পারে) না, আল্লাহ’র শপথ, আমারা তোমাদের এবং আমাদের (মুসলমান) ভাইদের মাঝ থেকে সরে দাঁড়াবো না। এরপর তাঁরা তাদের (তথা রোম বাহিনীর) সাথে যুদ্ধ করবে। তখন (যুদ্ধের ভয়াবহতা দেখে মুসলমানদের মধ্যে) তিন ভাগের এক ভাগ (ভয়ে) পালিয়ে যাবে, আল্লাহ তাদের তওবা আর কখনই কবুল করবেন না। আর এক তৃতীয়াংশ শহীদ হয়ে যাবে; তাঁরা হবে আল্লাহ’র কাছে (সেই জিহাদের) সর্বোত্তম শহীদ। আর (অবশিষ্ট) এক তৃতীয়াংশ (যাঁরা বেঁচে যাবে তাঁরা ওই জিহাদে রোমদের উপর) বিজয় লাভ করবে; (পরে) তাঁরা আর কখনই ফিতনায় পতিত হবে না। এরপর তাঁরা (সামনে অগ্রসর হয়ে) কুস্তুনতুনিয়া (কন্সট্যান্টিনোপোল/ইস্তাম্বুল, তুরষ্ক) জয় করবে।
তারা যখন তাদের তরবারী জয়তুন গাছে ঝুলিয়ে গণীমতের মাল বন্টন করতে থাকবে, এমন সময় শয়তান তাদের মাঝে চিৎকার দিয়ে বলবে: নিশ্চই মাসিহ (দাজ্জাল) তোমাদের পরিবারের পিছনে লেগেছে। তখন তাঁরা (অবস্থার সত্যতা যাঁচাইয়ের জন্য) বেরিয়ে পড়বে, কিন্তু (বাস্তবে) খবরটি ছিল মিথ্যা। তাঁরা যখন শাম-এ গিয়ে পৌছবে, (তখন) দাজ্জাল বের হবে।
তাঁরা জিহাদের জন্য প্রস্তুতি নিয়ে সারিবদ্ধ হতে হতেই (আযান ও) নামাযের আকামত দেয়া হবে। তখন ঈসা ইবনু মারইয়াম (আ.) নাজিল হবেন। এরপর (নামায আদায় করা হবে ইমাম মাহদীর ইমামতীতে এবং নামাযের পর দাজ্জালের মুকাবেলায় মুসলীম উম্মাহ’র) তিনি নেতৃত্ব দিবেন। আল্লাহ’র দুশমন (দাজ্জাল) যখন তাঁকে দেখবে, তখন সে এমনভাবে গলে যাবে যেভাবে লবণ পানিতে গলে যায়। তিনি যদি তাকে (ওভাবেই) ছেড়ে দিতেন, তাহলে (সে গলতে গলতে) একসময় (পুরাপুরি) ধ্বংস হয়ে যেতো। কিন্তু আল্লাহ ঈসা (আ.)-এর হাত দ্বারা তাকে হত্যা করবেন।
তাই (শেষ পর্যন্ত) ঈসা (আ.)-এর বর্শার মধ্যে তার রক্ত তারা দেখতে পাবে। (সহিহ মুসলীম ২৮৯৭)
রাফেজীদের কি কাফের ভাবেন যে এই ধরনের সন্ধি, সমর্থন চুক্তি জায়েজ? না তারা জিন্দিক, মুরতাদ হবে – যাদের দাওয়াহ দিতে হবে?
২য় কথা তারা কি ঘোষণা দিয়েছে তারা মুসলিমদের সাথে চুক্তি করেছে বিশ্বের কোন মুসলিমের সাথে লড়াই করবে না?
অতীতে তারা ইরাক, সিরিয়ায় হাজার হাজার মুসলিম হত্যায়, নির্যাতনে সাহায্য করেছিল। ভবিষ্যতে বনু কাল্বের নুসাইরিয়া শিয়ারা ক্ষমতা পাবে সুফিয়ানীর নেতৃত্বে। ইরাক, সিরিয়ায় নৃশংস হত্যাকান্ড চালাবে আর খলিফা মাহাদী (হাফি) আত্মপ্রকাশের পর ১ম বাহিনী তারা পাঠাবে। তারা আহলে বায়াতের ভালোবাসার দাবি করে অথচ আহলে বায়াতের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করবে বনু উমাইয়ার নেতৃত্বে (সুফিয়ানী বনু উমাইয়া হতে আসবে)।
(মুসলিম শরীফ, আবুদাউদ, আল ফিতান)
কেন আমাদের নির্দিষ্ট জাতি, দেশ বা ফেরকাকে সমর্থন করতে হবে? মুসলিমদের কি হক্বপন্হী দল থাকবে না যার প্রতিশ্রুতি রসুল (সা:) দিয়েছেন?
ইরাক, শাম, খোরসানে একজন কি সহীহ মুজাহিদ নেই, তাদের সমর্থন না করতে পারেন অন্তত বিরোধিতা করবেন না।
আজ যারা ঘোষণা করেন আকীদা সমস্যা হলেও আমরা ওদের সমর্থন করি মুসলিমের রক্ষার কারণে অথচ তারাই আকীদা বিশুদ্ধ থাকার পরেও মুসলিমদের বিরোধিতা করেন মিডিয়া, নিজ ফেরকার বিরুদ্ধে যাওয়ায়।
তার মানে কি বুঝাতে চান- আকীদা বিশুদ্ধ থাকা মুসলিম যদি ভুল করে সে সবচেয়ে খারাপ, অপরদিকে শুধু ইসরায়েল রাষ্ট্রের বিরোধিতাকারীই সে মুমিনদের বন্ধু। যদিও তারা সাহাবীদের গালি দেয়, কুরআন ও সুন্নাহর বদলে নিজেদের আলেমদের রবে পরিণত করেছে নাসারাদের মতন। আবার মুসলিমদের হত্যা করে, আয়েশা (রা), হাফসাকে (রা:) রসুলের (সা:) হত্যাকারী মনে করে।
আল্লাহ বলেন-
“তারা তাদের পন্ডিত ও ধর্মগুরুদের রব হিসেবে গ্রহণ করেছিল।” (সুরা তওবা, আয়াত ৩১)।
যদিও খ্রিষ্টানরা তাদের ধর্মগুরুদের সিজদাহ দিত না কিন্তু আল্লাহর আইনের পরিবর্তে তাদের আইন মেনে নিয়েছিল। এভাবেই আল্লাহর বদলে ধর্মগুরুকে বিধানদাতা হিসেবে মেনে নেওয়া হয়। আজও যারা আল্লাহর আইনের বদলে কোন মানবরচিত আইনকে খুশি মনে মেনে নেয় এবং এসব আইন প্রণেতাকে সমর্থন, প্রশংসা, সাহায্য করে তারা এর মাধ্যমে তাগুতের আনুগত্য করছে।
যারা কুরআন সুন্নাহের বিপরীত নিজ ঈমামদের ফাতওয়াকে দ্বীনের দলিল করে ফেলেছে! এভাবে ঈমামদের রবে পরিণত করেছে!!
তারা কি বিজয়ী হবে? আমরা দোয়া, সমর্থন করি আর না করি। না হক্বের পথে যারা লড়াই করবে, করছে তারা বিজয়ী হবে। হোক তারা ইব্রাহিম (আ) এর মত একা, সাহাবীদের মত সংখ্যায় অতি কম। আল্লাহ তাদের হাতে বিজয় দিবেন নাহয় শহীদ হয়ে জান্নাতের কল্যাণ লাভ করবে তারা।
জাবির ইবন আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছিঃ
কিয়ামত পর্যন্ত আমার উম্মাতের একদল হকের উপর প্রতিষ্ঠিত থেকে বাতিলের বিরুদ্ধে কিতাল করতে থাকবে এবং অবশেষে ঈসা (আলাইহিস সালাম) অবতরণ করবেন। মুসলমানদের আমীর বলবেনঃ আসুন, সালাতে আমাদের ইমামত করুন। তিনি উত্তর দিবেনঃ না, আপনাদেরই একজন অন্যদের জন্য ইমাম নিযুক্ত হবেন। এ হল আল্লাহর প্রদত্ত এ উম্মাতের সম্মান। (সহীহ মুসলিম)
জাবির ইবন সামুরা (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ
এ দ্বীন (ইসলাম) সর্বদা কায়েম থাকবে। মুসলমানদের একটি দল এর পক্ষে কিতাল করতে থাকবে কিয়ামত পর্যন্ত। (সহীহ মুসলিম)
হযরত ইমরান বিন হুসাইন (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেনঃ
আমার উম্মতের মধ্যে সর্বদা একটি দল থাকবে যারা হক এর উপর কিতাল করবে। তারা শত্রুপক্ষের উপর বিজয়ী থাকবে। তাদের সর্বশেষ দলটি দাজ্জালের বিরুদ্ধে কিতাল করবে। (সুনান আবু দাউদ, হাদিস নম্বরঃ ২৪৮৪)
তারা শত্রুপক্ষের উপর বিজয়ী থাকবে মানে তারা অনবরত শত্রুপক্ষের উপর বিজয়ী হয়ে ভূমি দখল বা উদ্ধার করবে তা না (দাজ্জালের সময় অনেক ভূখন্ড দাজ্জালের দখলে থাকবে, আর ইয়াজুজ-মাজুজ হতে বাঁচতে মুসলিমরা লোকালয় ছেড়ে তূর পাহাড়ে আশ্রয় নিতে হবে)। বরং তারা কখনও দ্বীন হতে বিচ্যূত হবে না। হয় শাহাদাত অথবা দ্বীনের বিজয়ের প্রচেষ্টা আমৃত্যু চালিয়ে যাবে!!
যারা কুরআন, সুন্নাহ, আহলে বায়াতের প্রতি মহাব্বত রেখে হক্বের পথে লড়াই করবে তারাই হক্বের পথে আছে, থাকবে! বহু কুরআন, সুন্নাহ ও হাদীসের অনুসরণের দাবিদার যারা বিভিন্ন অজুহাতে আহলে বায়াতের ফজিলত ও জিহাদকে এড়িয়ে চলে তারা কখনও হক্বের দলিল নয়!!
হক্ব ও বাতিল পথ কেয়ামত পর্যন্ত আলাদা। ওরা মুজাহিদদের চেয়ে রাফেজী, নুসাইরিয়াদের সমর্থন উত্তম বলে প্রচার করে ঐক্যের নামে নতুন ফেতনা তৈরি করছে। যা সুফিয়ানীর পথটা সহজ করবে।
ধরি – আহলে হাদীসের কিছু আলেম দাবি করলো রাজনীতির কারণে ইরানকে সমর্থন করে যদিও জানি আকীদায় সমস্যা ও ভয়াবহ কুফরী। অথচ এই আলেমগুলো অনেকে নিজ দেশে দেওবন্দী, বেরলভি’দের সাথে ঐক্য করে না। যুগের পর যুগ তর্ক, বিতর্ক, গোস্তাকে সাহাবী, গোস্তাকে রসুল (সা:) বলে ও তাকফীর পর্যন্তও করে।
একই কথা দেওবন্দী, বেরলভী কিছু আলেম যারা ঐক্যের জন্য ইরানকে সমর্থন করতে বলে। অথচ নিজ দেশে আহলে হাদীসদের সাথে কখনও ঐক্য করবে না গোস্তাকে সাহাবী, গোস্তাকে রসুল (সাঃ), তাকফীর, মুরজিয়া ঘোষণা করে আহলে হাদীসদের।
তার মানে কি আপনারা বলতে চান সাহাবীদের গোস্তাকদের চেয়ে এদেশের দলগুলোর খারাপ? ওদের সমর্থন করা যায় না কিন্তু রাফেজী, নুসাইরিয়াদের সমর্থন করা যায়।
ইসলাম কোন দেশ, গোত্রের উপর আল্লাহ ন্যস্ত করেননি বরং প্রতিটি মুসলিমই ইসলাম রক্ষায় চেষ্টা করবে, প্রতিটি মুমিন তাদের সমর্থন করবে। আমরা তখনই বিজয়ী হবো যখনি প্রকৃত দ্বীন ইসলাম মেনে একমাত্র মুসলিম পরিচয়ে সংগ্রাম চালিয়ে যাবো।
ফুসাইলা হতে বর্নিত – তিনি বলেন, আমি আমার পিতাকে বলতে শুনেছি, আমি রসুলল্লাহ’(সা:) কে জিগাস করলাম ইয়া রাসুলুল্লাহ! গোত্রের প্রতি ভালোবাসা কি গোত্রবাদের অন্তর্ভুক্ত? তিনি বললেন না- বরং নিজ গোত্রকে জুলুমের উপর সাহায্য করা গোত্রবাদের অন্তর্ভুক্ত। (৩৮৫২৯, মুসান্নাফে ইবনে আবি শাইবা)
তাই কোন জালেমের সমর্থন করা হতে বিরত থাকুন তা নিজ গোত্র বা দেশের হলেও।