গাজওয়ায়ে হিন্দ বা হিন্দুস্হানের যুদ্ধের ব্যাপারে আলেমদের বহু অভিমত পাওয়া যায়। কারো মতে তা ঘটে গেছে বিশেষ করে মুহাম্মদ বিন কাসিমের সময় আবার কারো মতে খলিফা মাহাদী (হাফিঃ)-এর নেতৃত্বে হবে আবার কারো অভিমত এটা গুরুত্বপূর্ণ হলে এর সম্পর্কে সহীহ হাদীস নেই কেন।
আসুন হাদীসগুলো দেখি আগে-
● হজরত আবু হুরাইরা রাদিআল্লাহু আনহুর দ্বিতীয় হাদিস
হজরত আবু হুরাইরা রাদিআল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আলোচনা করলেন এবং বললেন, “অবশ্যই তোমাদের একটি দল হিন্দুস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে। আল্লাহ তা’আলা ঐ মুজাহিদদেরকে বিজয় দান করবেন। এমনকি ঐ মুজাহিদরা হিন্দু শাসকদেরকে ডাণ্ডাবেড়ি পড়িয়ে বন্দি করে নিয়ে আসবে। এই মহান জিহাদের বরকতে ঐ মুজাহিদদেরকে ক্ষমা করে দেওয়া হবে। অতঃপর যখন সেই বিজয়ী মুসলিমরা ফিরে আসবে তখন ঈসা ইবনে মারইয়াম আলাইহিস সালামকে সিরিয়াতে পারে। হজরত আবু হুরাইরা রাদিআল্লাহু আনহু বলেন আমি যদি সেই গাজওয়া পেয়ে যাই, তাহলে আমি আমার নতুন ও পুরাতন সকল সম্পদ বিক্রি করে দেবো এবং তাতে অংশগ্রহণ করবো। যখন আল্লাহ তা’আলা আমাকে বিজয় দান করবেন এবং আমি ফিরে আসবো, তখন আমি এক মুক্ত আবু হুরাইরা হয়ে ফিরে আসবো। যে সিরিয়াতে এমন মর্যাদা নিয়ে ফিরে আসবে, সে সেখানে ঈসা ইবনে মারইয়াম আলাইহিস সালামকে পাবে।
হে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঐ সময় আমার একান্ত ইচ্ছে হলো, যে আমি তাঁর নিকট পৌঁছে তাঁকে বলবো, যে আমি আপনার সাহাবী। (বর্ণনাকারী বলেন) নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আবু হুরাইরা রাদিআল্লাহু আনহুর একথা শুনে মুচকি হাসলেন এবং হাসি দিয়ে বললেন, অনেক কঠিন।” এই হাদিসটি নাঈম ইবনে হাম্মাদ রহ. তার কিতাবুল ফিতানে বর্ণনা করেছেন।
● ইসহাক ইবনে রাহুবিয়া রহ. ও তার মুসনাদে উল্লেখ করেছেন। তার বর্ণনায় কিছুটা সংযোজন রয়েছে। তাই তার বর্ণনাটিও আমরা নিম্নে হুবহু উল্লেখ করে দিচ্ছি।
“হজরত আবু হুরাইরা রাদিআল্লাহু আনহু বলেন, একদিন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হিন্দুস্তানের আলোচনা করতে গিয়ে বললেন, নিশ্চয়ই তোমাদের একটি দল হিন্দুস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে এবং আল্লাহ তা’আলা ঐ মুজাহিদদেরকে বিজয় দান করবেন। এমনকি ঐ মুজাহিদরা হিন্দুদের শাসকদেরকে ডাণ্ডাবেড়ি পড়িয়ে বন্দি করে নিয়ে আসবে। আল্লাহ তা’আলা ঐ সকল মুজাহিদকে ক্ষমা করে দেবেন। অতঃপর যখন তারা ফিরে আসবে, তখন ঈসা ইবনে মারইয়াম আলাইহিস সালামকে সিরিয়াতে পাবেন।
● হজরত সাফওয়ান ইবনে আমর রাদিআল্লাহু আনহুর হাদিস
হজরত সাফওয়ান ইবনে আমর রাদিআল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত এবং হুকুমের দিক থেকে মারফু দরজার অন্তর্ভুক্ত। তিনি বলেন, তাকে কিছু লোকে বলেছেন, নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “আমার উম্মতের কিছু লোক হিন্দুস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে। আল্লাহ তা’আলা ঐ মুজাহিদদেরকে বিজয় দান করবেন। এমনকি ঐ মুজাহিদরা হিন্দুদের শাসকদেরকে ডাণ্ডাবেড়ি পড়া অবস্থায় পাবে। আল্লাহ তা’আলা ঐ সকল মুজাহিদদেরকে ক্ষমা করে দেবেন। যখন তারা সিরিয়াতে ফিরে আসবে, তখন ঈসা ইবনে মারইয়াম আলাইহিস সালামকে সেখানে পাবে।” এই হাদিসটি নাঈম ইবনে হাম্মাদ রহ. তার কিতাবুল ফিতানে বর্ণনা করেছেন।
● হজরত আবু হুরাইরা রাদিআল্লাহু আনহুর প্রথম হাদিস
সর্বপ্রথম হাদিস আবু হুরাইরা রাদিআল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, “আমার প্রাণপ্রিয় বন্ধু রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাকে বলেছেন, এই উম্মতের মাঝে সিন্দ এবং হিন্দের দিকে বাহিনী রওয়ানা হবে। আমার যদি এমন কোন বাহিনীতে অংশগ্রহণের সুযোগ হয় এবং আমি তাতে অংশগ্রহণ করে শহীদ হয়ে যাই তাহলে ঠিক আছে। আর যদি ফেরত আসি তাহলে আমি একজন মুক্ত আবু হুরাইরা হবো। যাকে আল্লাহ তা’আলা জাহান্নাম থেকে মুক্ত করে দিয়েছেন।”
এই বাক্যের সাথে এই হাদিসটি শুধুমাত্র ইমাম আহমাদ ইবনে হাম্বল রহ. তার মুসনাদে বর্ণনা করেছেন এবং ইবনে কাসীর রহ. তাঁর উদ্ধৃতিতেই “আল-বেদায়া ওয়ান-নেহায়া”তে বর্ণনা করেছেন।
কাজী আহমাদ শাকের মুসনাদে আহমাদের ব্যাখ্যাগ্রন্থে এই হাদিসকে হাসান আখ্যা দিয়েছেন।
● ইমাম নাসাঈ রহ. তার কিতাব “আস-সুনানুল মুজতবা” ও “আস-সুনানুল কুবরা” উভয়টিতে নিম্নের বাক্যের সাথে বর্ণনা করেছেন।
“নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদের সাথে গাজওয়াতুল হিন্দের ওয়াদা করেছেন। হজরত আবু হুরাইরা রাদিআল্লাহু আনহু বলেন, আমি যদি তাতে অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়ে যাই, তাহলে আমি আমার জীবন ও সম্পদ তাতে খরচ করবো। আর যদি নিহত হয়ে যাই তাহলে আমি সর্বোত্তম শহীদদের অন্তর্ভুক্ত হবো। আর যদি ফেরত আসি তাহলে এক মুক্ত আবু হুরাইরা হবো।”
ইমাম বাইহাকী রহ.ও “আস-সুনানুল কুবরা”তে এই বাক্যের সাথেই বর্ণনা করেছেন। তাঁর অন্য একটি বর্ণনায় আরেকটু অতিরিক্ত বাক্যও রয়েছে। মুসাদ্দাদ ইবনে দাউদের উদ্ধৃতিতে ইমাম আবু ইসহাক ফাজারী ইবরাহীম ইবনে মুহাম্মাদ রহ. মুহাদ্দিসে শাম এবং মুজাহিদ আলেম, মৃত্যু ১৮৮ হি. এর সম্পর্কে বলেছেন, তিনি বলতেন, “আমার ইচ্ছা হলো, হায়! আমি যদি ঐ সকল গাজওয়াসমূহের পরিবর্তে যা আমি রোম দেশে লড়েছি, মারেবদ অর্থাৎ আরব থেকে হিন্দুস্তান পর্যন্ত পূর্ব দিকের কোন অঞ্চলে সংঘটিত গাজওয়াসমূহে অংশগ্রহণ করতে পারতাম।”
মন্তব্য – এই হাদীসগুলো যদি সত্যি হিসেবে ধরা হয় –
তাহলে এখানে শুধু হিন্দুস্হান নয় বরং তার পূর্বে জেরুজালেম বিজয়ের কথা বলা হয়েছে আর জেরুজালেম বিজয় হবে হাদীস দ্বারা প্রমাণিত। এরপর জেরুজালেমের খলিফা হিন্দ ও সিন্ধে বাহিনী পাঠাবেন।
● হযরত আবদুল্লাহ ইবনে হারিস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “পূর্বদিক (খোরাসান) থেকে কিছু লোক বের হয়ে আসবে, যারা ইমাম মাহদির খিলাফত প্রতিষ্ঠায় সাহায্য করবে এবং খিলাফত প্রতিষ্ঠা সহজ করে দিবে”। (সহিহ মুসলিম, খণ্ড ৩, হাদিস নং ২৮৯৬; সুনানে ইবনে মাজা, খণ্ড ৩, হাদিস নং ৪০৮৮, মুসনাদে আহমাদ, খণ্ড ৫, পৃষ্ঠা ২৭৭; কানজুল উম্মাল, খণ্ড ১৪, পৃষ্ঠা ২৪৬; মিশকাত শরীফ, কেয়ামতের আলামত অধ্যায়)
● “পূর্বদিক (খোরাসান) থেকে কিছু লোক বের হয়ে আসবে, যারা ইমাম মাহদির খিলাফত প্রতিষ্ঠায় সাহায্য করবে এবং খিলাফত প্রতিষ্ঠা সহজ করে দিবে”। (সহিহ মুসলিম, খণ্ড ৩, হাদিস নং ২৮৯৬; সুনানে ইবনে মাজা, খণ্ড ৩, হাদিস নং ৪০৮৮)
● “যখন তোমরা দেখবে, কালো পতাকাগুলো খোরাসানের দিক থেকে এসেছে, তখন তাদের সাথে যুক্ত হয়ে যেও। কেননা, তাদেরই মাঝে আল্লাহর খলীফা মাহদি থাকবে”। (মুসনাদে আহমাদ, খণ্ড ৫, পৃষ্ঠা ২৭৭; কানজুল উম্মাল, খণ্ড ১৪, পৃষ্ঠা ২৪৬; মিশকাত শরীফ, কেয়ামতের আলামত অধ্যায়)
● “ঐ দিক থেকে একটি দল আসবে (হাত দিয়ে তিনি পূর্ব দিকে ইশারা করলেন)। তারা কালো পতাকাবাহী হবে। তারা সত্যের (পূর্ণ ইসলামী শাসনের) দাবী জানাবে, কিন্তু তাদেরকে দেওয়া হবে না। দুইবার বা তিনবার এভাবে দাবী জানাবে, কিন্তু তখনকার শাসকগণ তা গ্রহণ করবে না। শেষ পর্যন্ত তারা (ইসলামী শাসন ব্যবস্থার দায়িত্ব) আমার পরিবারস্থ একজন লোকের (ইমাম মাহদির) হাতে সোপর্দ করে দিবে। সে জমিনকে ন্যায় এবং নিষ্ঠার মাধ্যমে ভরে দিবে, ঠিক যেমন ইতিপূর্বে অন্যায় অত্যাচারের মাধ্যমে ভরে দেওয়া হয়েছিল। সুতরাং তোমাদের মধ্যে যদি কেউ ঐ সময় জীবিত থাকো, তবে অবশ্যই তাদের দলে এসে শরীক হয়ে যেও – যদিও বরফের উপর কনুইয়ে ভর দিয়ে আসতে হয়”। (আবু আ’মর আদ দাইনিঃ ৫৪৭, মুহাক্কিক আবু আবদুল্লাহ সাফেঈ হাদিসটিকে সহীহ বলেছেন)
● “যখন কালো পতাকাগুলো পূর্ব দিক (খোরাসান) থেকে বের হবে, তখন কোন বস্তু তাদেরকে প্রতিহত করতে সক্ষম হবে না। এমনকি এই পতাকাকে ইলিয়ায় (বাইতুল মুকাদ্দাসে) উত্তোলন করা হবে (খেলাফত প্রতিষ্ঠা করবে)”। (সুনানে তিরমিজি)
● হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “যখন কালো পতাকাগুলো পূর্ব দিক (খোরাসান) থেকে বের হবে, তখন কোন বস্তু তাদেরকে প্রতিহত করতে সক্ষম হবে না। এমনকি এই পতাকাকে ইলিয়ায় (বাইতুল মুকাদ্দাসে) উত্তোলন করা হবে (খেলাফত প্রতিষ্ঠা করবে)”। (সুনানে তিরমিজি, হাদিস নং ২২৬৯;মুসনাদে আহমাদ, হাদিস নং ৮৭৬০)
● হযরত ছওবান (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, “তোমাদের ধনভাণ্ডারের নিকট তিনজন বাদশাহের সন্তান যুদ্ধ করতে থাকবে। কিন্তু ধনভাণ্ডার তাদের একজনেরও হস্তগত হবে না। তারপর পূর্ব দিক (খোরাসান) থেকে কতগুলো কালো পতাকাবাকী দল আত্মপ্রকাশ করবে। তারা তোমাদের সাথে এমন ঘোরতর লড়াই লড়বে, যেমনটি কোন সম্প্রদায় তাদের সঙ্গে লড়েনি”। বর্ণনাকারী বলেন, তারপর নবীজি (সাঃ) আরও একটি বিষয় উল্লেখ করে বললেন, “তারপর আল্লাহর খলীফা মাহদির আবির্ভাব ঘটবে। তোমরা যখনই তাঁকে দেখবে, তাঁর হাতে বাইয়াত নেবে। যদি এজন্য তোমাদেরকে বরফের উপর দিয়ে হামাগুড়ি খেয়ে যেতে হয়, তবুও যাবে। সে হবে আল্লাহর খলীফা মাহদি”। (সুনানে ইবনে মাজা; খণ্ড ২, পৃষ্ঠা ১৩৬৭; মুসতাদরাকে হাকেম, খণ্ড ৪, পৃষ্ঠা ৫১০)
● হযরত ইবনুল হানাফিয়্যাহ (রহঃ) থেকে বর্নিত, তিনি বলেন, খোরাসান থেকে কালো ঝান্ডাবাহী দল এবং শুয়াইব ইবনে সালেহ ও মাহদীর আত্নপ্রকাশ এবং মাহদীর হাতে ক্ষমতা আসার বাহাত্তর মাসের (৬ বছরের) মধ্যেই সংঘটিত হবে।
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ – ৮০৪ ]
তার মানে বুঝা যায়, এই যুদ্ধ শেষ জমানার সাথে সম্পর্কিত। আর মুহাম্মদ বিন কাসিম মুলতানসহ সিন্দ বিজয় করেছেন পুরো হিন্দ নয়।
রসুল (সাঃ)-এর যুগে হিন্দ বলতে (ভারত, বাংলাদেশ, শ্রীলংকা, মায়ানমার, নেপাল, ভুটান) বুাঝাত আর সিন্ধ ছিল (পাক) আর তিব্বত বলতে লাদাখসহ চীনকে বুঝাত। ইংরেজরা এসে পাকিস্তানকেও প্রথম হিন্দ বলে অভিহত করে।
মুহাম্মদ বিন কাসিমকে পাঠানো হয় বসরা হতে জেরুজালেম হতে নয় আর হাজ্জাজ বিন ইউসুফ তাকে পাঠিয়েছিলেন। নিঃসন্দেহে হাজ্জাজ জালেম ছিল অথচ বহু হাদিসে গাজওয়ায়ে হিন্দ বিজয়ী দলের নেতার প্রশংসা করা হয়েছে।
এবার আসি যেহেতু যুদ্ধে বিজয়ী দল ও বিজয় জেরুজালেম বিজয়ের পরে হবে তাই অনেক আলেমের অভিমত খলিফা মাহাদী (হাফিঃ)-এর সময় শুরু হবে। আসলে হাদীসে বিজয় ও বিজয়ের কথা বলা হয়েছে শুরু হবার কথা আসেনি। যেমন – মক্কাবিজয় বা বিজয়ী দল অল্প সময় হলেও তার পটভূমি ছিল বহু পূর্বে বদর, উহুদের যুদ্ধ হয়েছিল। তেমনি গাজাওয়া হিন্দের সূচনা হয়তো বহু পূর্বে হবে।
আসলে মূল ব্যাপার হল জাতীয়তাবাদ। মায়ানমারের রোহিঙ্গা সব মরে গেলেও আমাদের আলেমরা গাজাওয়া হিন্দ বলবে না আবার বাংলাদেশের দুজন সেনা সদস্য মরলে তারা গাজওয়া হিন্দের সূচনা বলে প্রচার করবে। ঠিক তেমনি কাশ্মীর, উইঘুরের সব মুসলিম মারা গেলেও পাকিস্তান গাজওয়া হিন্দ বলবে না কিন্তু পাকিস্তান-ভারত যুদ্ধে যদি কিছু সেনা মারা যায় গাজওয়া হিন্দের সূচনা বলে প্রচার করবে। মায়ানমার, কাশ্মীরের মুক্তিকামীরা প্রচার করছে -তারা গাজওয়া হিন্দ লড়ছে।
এবার আসি, গাজওয়া হিন্দ যদি এতই গুরুত্বপূর্ণ হয় তাহলে তেমন সহীহ হাদীস নেই কেন!?
কারণ কুরআনে ৪০০ এর উপরে জেহাদের আয়াত রয়েছে। সাহাবী, তাবেয়ীরা, বড় আলেমগণ গাজওয়া হিন্দের আশায় বসেছিলেন না, বরং কুরআন-সুন্নাহ অনুযায়ী জেহাদ ও দাওয়াত চালিয়েছেন। আর জালেম শাসকের বিরুদ্ধে সত্যি বলা উত্তম জেহাদ আর এজন্য শহীদ হলে সর্বোত্তম শহীদ যা নবীরা হতেন। তাই গাজওয়া হিন্দ হোক বা নাই হোক কুরআন-সুন্নাহ অনুযায়ী জেহাদ ফরজ হয় কিনা সেটাই জানা ফরজ।