সৌদির অপচয় ও দুর্ভিক্ষের ইয়েমেনবাসী (ইয়েমেনের গুরুত্ব ও মর্যাদা)

Picsart 22 02 03 01 12 59 846

সৌদি আরবের বিপুল পরিমাণ খাদ্য অপচয়ের তথ্য উঠে এসেছে। খাদ্য অপচয় ও নষ্ট করায় শীর্ষ দেশগুলোর একটি ধরা হয় সৌদি আরবকে। বছরে যে পরিমাণ খাবার অপচয় হয় দেশটিতে, সেটি কল্পনাতীত। শনিবার (১৮ অক্টোবর) গালফ নিউজ জানিয়েছে, মধ্যপ্রাচ্যের দেশটিতে বছরে ৪০০ বিলিয়ন সৌদি রিয়েলেরও বেশি অর্থের (বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ৯ লাখ কোটি টাকারও বেশি) খাবার অপচয় হয়। সাউদি কোম্পানি ফর অ্যাগ্রিকালচার ইনভেস্টমেন্ট অ্যান্ড অ্যানিমাল প্রোডাকশন (এসএএলআইসি) এক টুইট বার্তায় জানিয়েছে, খাদ্য অপচয়ের মধ্যে এগিয়ে আছে মক্কা। এরপর পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ এবং রাজধানী রিয়াদ। তাদের শিশুগুলো খাবার অপচয় করছে আর তাদের পাশ্ববর্তী দেশ ইয়েমেনে দুর্ভিক্ষে হাজার শিশু মারা যাচ্ছে। ক্ষুধার কারণে কান্নার শক্তিটুকু নেই, মায়ের বুকের দুগ্ধ শুকিয়ে নবজাতকরা খাওয়া পাচ্ছে না। তবুও তাদের পর্দাশীলতা, দ্বীনদারিতা অতুলনীয়। ইয়েমেন সৌদির নিকটবর্তী মধ্যপ্রাচ্যের অত্যন্ত গরীব দেশ। রাসুলে পাক (সা:) ইয়েমেনবাসীর কল্যাণের জন্য দোয়া করেছেন (বুখারী ১৪৭, মুসলিম শরীফ)। এছাড়া রাসুলে পাক (সা:) বলেছেন, ইয়েমেনের মানুষগুলো নরম প্রকৃতির এবং হিকমাহ থাকবে ইয়েমেনে। ইয়েমেন হতে একধরনের আগুন বের হবে যা মানুষকে তাড়িয়ে বিচারের জন্য একত্রিত করবে (মুসলিম শরীফ ৬ খন্ড, বুখারী)। আজ ইয়েমেনে যুদ্ধ-অবরোধে চলছে ক্ষুধার্ত লাশের মিছিল কিন্তু আশ্চর্য্য কথা হল রাসুল পাক (সা:) এই বর্তমান পরিস্থিতির ব্যাপারে জানিয়েছিল যা আজ অধিকাংশ মুসলিমরাই জানে না। আশার বাণী হল এই- ইয়েমেনের আদন (আডেন), আবিয়ান হতে মুজাহিদ বাহিনী বের হয়ে আসবে যারা আল্লাহর দ্বীনকে বিজয়ী করবে এবং তারা হবে সর্বোত্তম মুসলিম। (আহমাদ ২৯১৮, ২০৭৩, তাবরানী ১১০২৯)।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *