আল্লাহপাক রব্বুল আলামিন ভালোবেসে আমাদের আদি পিতা আদমকে তৈরি করেছেন ও অন্যান্য প্রাণীদের চেয়ে তাকে শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছেন। আল্লাহ বলেন- “হে ইবলিস! যাকে আমার নিজ হাতে তৈরি করেছি তাকে সিজদাহ করতে তোমাকে কিসে বাধা দিল। ‘তুমি কি অহংকার করলে, না তুমি অধিকতর উচ্চ মর্যাদাসম্পন্ন।” (সুরা সোয়াদ-৭৫)। আর আদমের মত করে আমাদের সৃষ্টি করেছেন আর “মানুষকে দিয়েছেন সর্বোত্তম আকৃতি।”(সুরা আত-তীন-৪)। অথচ এখন মানুষগুলো যেন আল্লাহর দেওয়া স্বাভাবিক, সুন্দর চেহারাতে সন্তুষ্ট না, তাই নিজের ও মানুষের চেহারা বিকৃত করছে অথচ চেহারা বিকৃত করা শয়তানের কাজ। আল্লাহ বলেন- “(শয়তান বলল) তাদেরকে পথভ্রষ্ট করবো, তাদেরকে আশ্বাস দেব, তাদের পশুদের কর্ণ ছেদন করতে বলব, তাদেরকে আল্লাহর সৃষ্টি আকৃতি পরিবর্তন করতে আদেশ দেব। যে কেউ আল্লাহকে ছেড়ে শয়তানকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করে, সে প্রকাশ্য ক্ষতিতে পতিত হয়।” (সুরা নিসা-১১৯)। এখন অনেকে ফেসবুকসহ বিভিন্ন জায়গায় মানুষের স্বাভাবিক, সুন্দর চেহারা বিকৃত করে শয়তানের পদাংক অনুসরন করছে। অনেকে আবার App এর ভবিষ্যৎবানী প্রচার করছে এত সালে এটা হবে, বৃদ্ধবয়সে তার চেহারা এমন হবে। দুমিনিট বাচার নিশ্চায়তা নেই অথচ এসব ফেতনামূলক প্রচার হচ্ছে। অথচ অদৃশ্য বা ভবিষ্যতের জ্ঞান শুধু আল্লাহর কাছে (সুরা ইউনুস-২০, আন নামল-৬৫)। এছাড়াও হাদীসে রয়েছে – যে ব্যক্তি কোনো গণকের নিকট গমন করে তার কথায় বিশ্বাস করল, সে মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উপর অবতীর্ণ বিষয় (কুরআন ও সুন্নাহ)-এর সাথে কুফুরী করল।” এ ধরণের মানুষ তাওবা না করে মারা গেলে কুফুরী অবস্থায় তার মৃত্যু হবে। গণককে পরীক্ষার জন্য এবং মানুষের সামনে তার ধোঁকাবাজির কথা তুলে ধরার জন্য তার কাছে যেতে কোনো অসুবিধা নেই। ইবন সায়্যাদ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে আগমণ করলে তিনি মনের মধ্যে একটি কথা গোপন করে ইবন সায়্যাদকে জিজ্ঞাসা করলেন, বল তো আমি কি গোপন করেছি? ইবন সায়্যেদ বলল, আদ-দুখ অর্থাৎ আদ-দুখান (ধোঁয়া)। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, অকল্যাণ হোক তোমার! তুমি তোমার সীমা অতিক্রম করতে পারবে না। (তিরমিজি, মুসলিম)। তখন সূরা দুখান নাযিল হয়েছিল, সে শয়তানের সাহায্যে জেনে বলতে চেষ্টা করছিল কিন্তু আল্লাহ তাকে সফল করেন নি। আসলে যুগের সাথে শয়তানের ফেতনা (ভবিষ্যবানী) ডিজিটাল হচ্ছে সর্তক হোন।