অনেকে নিজেদের সহীহ আকীদার দাবি করেন আর সালাফদের নিয়মনীতি অনুসরণ করার দাবি রাখেন। অথচ ঠিকই নির্দিষ্ট আলেমের ফাতওয়া মেনে চলেন। সাহাবীদের মত পার্থক্য দেখা দিলে কুরআন, সুন্নাহ বা হাদীস অনুযায়ী সমাধান করতেন। অথচ সালাফদের মত পার্থক্যের ক্ষেত্রে আপনারা কুরআন, সুন্নাহ না মেনে মনমতো ফাতওয়া মানেন। তাহলে হকপন্থী হলেন কিভাবে, না নফসপন্হী বা অনুসারী হলেন?
আর আপনাদের সালাফের পরিধি কতটুকু? আহলে বায়াত রক্ত দিয়ে হক্ব জানিয়ে গেছেন তারা কি সালাফ নয়? তাদের আদর্শ, সুন্নাহ, হাদীসের বিপরীত ফাতওয়া এনে বলবেন আমরা সহীহ আকীদার অনুসারী – অবান্তর।
কতজন আলেমের বই বা হাদীস পড়ছেন। বরং পছন্দনীয় বক্তার লেকচার শুনে ভাবছেন আপনারা সব জেনে গেছেন। তাহলে ভাববো আপনারা অন্ধ অনুসারী। পার্থক্য একটাই, কেউ ভন্ড পীরের আর কেউ শায়েখের।
অনেক সালাফ বা আলেমের নাম জানেন ও বলেন অথচ আহলে বায়াত হক্বের দলিল তা জানেন না। আবদুল্লাহ ইবনে যুবায়ের রাঃ, ঈমাম যায়েদ রহ, মুহাম্মদ ইবনে আবদুল্লাহ রহ-এর আত্মত্যাগ জানেন না! নাম জানেন না। কোন সালাফ আছে তাদের চেয়ে দ্বীন বেশি বুঝতো বা মেনেছে। সাহাবীদের পর তারাই শ্রেষ্ঠ, যাদের হাতে বায়াত দিয়ে আবু হানিফা রহ, ঈমাম মালেক রহ জুলুমের শিকার হয়েছেন।
তাহলে স্বীকার নেন আপনারা ততটুকু জানেন যতটুকু আপনাদের শায়েখরা বলে- অথচ তাদের মতে শ্রেষ্ঠ তাফসীর ইবনে কাসীর আর তার লেখা সীরাত গ্রন্হ আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া। হক্ব জানতে চাইলে জেনে নিন ৭, ৮, ৯, ১০, ১১ তম খন্ডে আহলে বায়াতের হক্বে অটল থাকার কাহিনী, আত্মত্যাগের ঘটনা যা ঈসা আ. আসা পর্যন্ত চলবে।
না এগুলো আজ আমরা লিখেছি বরং শত শত বছর ধরে হক্বপন্থী আলেমরা লিখেছেন। আর আপনাদের শায়েখরা কাটসাট করে জানায় আর বহু হক্ব লুকিয়ে রাখে। আপনার সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ ঈমানকে কেন নির্দিষ্ট ব্যক্তির কাছে তুলে দিচ্ছেন? নিজেরা গবেষণা করুন।
অথচ আপনার দুনিয়ার আসহাব বিশ্বাস করে অন্যের হাতে তুলে দেন না! তাহলে যাদের মিম্বার হতে এই সকল হাদীস বর্ননা হয় না, আর আপনারা ভাবছেন তারা দ্বীনের সবচেয়ে বড় সেবক। কারা সত্যি বলছে কারা মিথ্যা বলছে যাচাই করুন অযথা গালি, বিরুপ মন্তব্য না করে। প্রকৃত জাহেল সেই নয় যে জানে না, বরং সেই যাকে দাওয়াহ দিলে যাচাই বাচাই না করে পছন্দের অনুসরণ করে।
ফেতনার সাগরে বেচে থাকতে হলে নিজেকে সাতার কাটা, নৌকা চালানো শিখাতে হবে, কতদিন অন্যদের নৌকার ভরসায় থাকবেন? ওরা আপনাদের ডুবাবে! নিজেও ডুববে।
আর কেউ আহলে বায়াত দাবি করলে তাকে কুরআন, সুন্নাহর বিপরীত গিয়ে সমর্থন করি না তেমনি সাহাবী, আহলে বায়াতের আমলের বিপরীত যত শায়েখের ফাতওয়া বাতিল মনে করি। আমরা দ্বীন দিয়ে খ্যাতি, অর্থ চাই না। আমাদের বিনিময় দিবে আল্লাহ বরং ফিরকামুক্ত হয়ে মুসলিম পরিচয়ে আমাদের ঐক্য হোক এই কামনা করি।