আমরা প্রতিদিন এমন অনেক শব্দ ব্যবহার করি কথাবার্তায় ইসলাম অনুযায়ী যা শোভনীয় নয়।
লীলাখেলাঃ অনেকে এই শব্দ ব্যবহার করেন অবাক করা ব্যাপার বুঝাতে। এমনকি আল্লাহর লীলাখেলা বলে থাকেন অনেকে। অথচ- বাংলা অভিধান ‘bangladict.com/লীলা’-এ শব্দটির অর্থ দেয়া আছে-
লীলা বি. ১ কেলি, প্রমোদ, প্রমোদপূর্ণ ক্রীড়া; ২ হাবভাব (লীলায়িত, সলীল); ৩ অন্তরের আনন্দ বাইরে প্রত্যক্ষগোচর করার মনোবৃত্তি; ৪ দেবতার খেলা (রাসলীলা); ৫ দেবতা বা মানুষের নির্দিষ্টকালব্যাপী কার্যকলাপ (জীবলীলা, ভবলীলা, কৃষ্ণের নরলীলা); ৬ গূঢ় ধর্মপূর্ণ কেলা বা কাজ (‘কে বোঝে তোমার লীলা লীলাময়ী তারা’)। এর কোনোটিই মহান আল্লাহ সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।
আর আল্লাহ সুমহান, তিনি কোনকিছু খেলাচ্ছলে করেন না বরং তার সবকিছুই সুপরিকল্পিত।
আল্লাহ বলেন- যিনি সাত আকাশ সৃষ্টি করেছেন সুবিন্যস্তভাবে। তুমি পরম করুণাময়ের সৃষ্টিতে কোনো অসামঞ্জস্য দেখতে পাবে না। তারপর তুমি দৃষ্টি ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে নাও, তুমি কি কোনো ফাটল দেখতে পাচ্ছ? অতঃপর তুমি বার বার তাকিয়ে দেখ-তোমার দৃষ্টি ব্যর্থ ও পরিশ্রান্ত হয়ে তোমার দিকে ফিরে আসবে। (সুরা মুলক)।
লক্ষী, অলক্ষীঃ লক্ষ্মী হল, যাকে হিন্দুরা ধন-ঐশ্বর্য্য ও সৌভাগ্যের অধিষ্ঠাত্রী দেবী মনে করে। তাই এ শব্দ দিয়ে তারা উক্ত বিশ্বাসকে স্মরণ করে থাকে। আর কোন মুসলমান কোন দেব দেবীকে ধন-সম্পদ ও সৌভাগ্যদাতা বিশ্বাস করতেই পারে না। করলে তার ঈমান থাকবে না।
أَوَلَمْ يَعْلَمُوا أَنَّ اللَّهَ يَبْسُطُ الرِّزْقَ لِمَنْ يَشَاءُ وَيَقْدِرُ إِنَّ فِي ذَلِكَ لَآيَاتٍ لِقَوْمٍ يُؤْمِنُونَ
আল্লাহ বলেন, “তারা কি জানে না, আল্লাহ যার জন্য ইচ্ছা রিযিক প্রশস্ত করেন যার জন্য ইচ্ছা সীমিত করেন। এতে রয়েছে মুমিনদের জন্য নিদর্শন।” (সূরা যুমার, ৫২)।
আর কাউকে কুলক্ষণে ভাবা ইসলামে জায়েজ নয়। রাসুল (সঃ) বলেছেন, ‘কোন বস্তুকে কুলক্ষণ মনে করা শিরক।’ আল্লাহ বলেন- মনে রাখ তাদের অলক্ষণ যে, আল্লাহরই এলেমে রয়েছে, অথচ এরা জানে না। [সুরা আরাফ: ১৩১]
সে অনেকদিন বাচবেঃ কারো নাম নিয়ে কথা বলেন বা স্মরণ করলেন হঠাৎ ঐ সময় সে সম্মুখে চলে এল তখন অনেকে বলে উঠে- সে অনেকদিন বাচবে। এগুলো অন্ধবিশ্বাস ছাড়া কিছুই নয়। কে কয়দিন বাচবে শুধু আল্লাহর জ্ঞানেই রয়েছে। এসব বলা হতে বিরত থাকা উচিত।