লাখো মুসলিমের এদেশে আজ মানুষ মুসলিম কি, ইসলাম কি তাও বুঝে না। ইসলাম আজ নাম শুধু, প্রকৃত অর্থ অপরিচিত হয়ে গেছে। ৪০ বছর ধরে সালাত পড়া লোকটা জানে না, তাগুত কি। অথচ তাগুত বর্জন ছাড়া ঈমান গ্রহণ হয় না, কেউ মুসলিম হতে পারে না। আল্লাহপাক বলেন- “আমি প্রত্যেক জাতির কাছে রসুল প্রেরণ করেছি এই আদেশ দিয়ে যে, (হে মানুষ!) তোমরা আল্লাহর ইবাদত কর এবং তাগুত হতে দূরে থাক। (সুরা আন- নাহলঃ ৩৬)। হাজারো আলেম কয়জন তাগুত, আল ওয়ালা ওয়াল বারা, আহলে বায়াতের মর্যাদা, খেলাফতের ওয়াজ করে? ইসলামের মূল ব্যাপার ছেড়ে ওরা কিসের ওয়াজ করছে? ছোট মাসয়ালার জন্য পরস্পরকে কাফের, মুনাফেক আখ্যায়িত করে অথচ মূল বিষয় জানানো হচ্ছে না তাগুতের ভয়ে ও দুনিয়ার লোভে। আল্লাহ বলেন – “হে ঈমানদারগণ! তোমরা স্বীয় পিতা ও ভাইদের অভিভাবকরূপে গ্রহণ করো না যদি তারা কুফরকে ঈমানের উপর প্রাধান্য দেয়। তোমাদের মধ্য হতে যারা তাদেরকে অভিভাবকরূপে গ্রহণ করবে তারাই জালেম। (সুরা তওবাঃ ২৩)। আল ওয়ালা ওয়াল বারার শর্ত হল শুধুমাত্র আল্লাহর জন্য শত্রুতা ও আল্লাহর জন্য ভালোবাসতে হবে। প্রতিদিন দূরূদে কতবার আহলে বায়াতের জন্য দোয়া করে আর বাস্তবে ওদের গালি দিচ্ছে নিজেও জানে না। রসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেনঃ তোমাদের মধ্যে আমি এমন জিনিস রেখে গেলাম যা তোমরা শক্তভাবে ধারণ করলে আমার পরে কখনও পথভ্রষ্ট হবে না। তার একটি অন্যটির তুলনায় বেশি মর্যাদাপূর্ন ও গুরুত্বপূর্ণঃ আল্লাহ তাআলার কিতাব যা আকাশ হতে মাটি পর্যন্ত দীর্ঘ এক রশি এবং আমার পরিবার অর্থাৎ আহলে বায়াত। এ দুটি কখনও আলাদা হবে না কাওসার নামক ঝর্নায় আমার সাথে একত্রিত না হওয়া পর্যন্ত। অতএব তোমরা লক্ষ্য কর আমার পরে দুজনের সঙ্গে তোমরা কিভাবে আচরন করবে। (তিরমিযি ৩৭৮৮)। প্রকৃত ইসলাম এখন গারীব (অপরিচিত)। রসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন “ইসলামের শুরু হয়েছে এক গারীব (অপরিচিত/ আত্মীয়-বান্ধবহীন) বিষয় হিসেবে। এটা আবার ফিরে যাবে গারীব অবস্থায়। আর সে সময় গুরাবাদের জন্য সুসংবাদ। “বলা হলো” হে আল্লাহর রসুল (সাঃ) কারা গুরাবা? তিনি বললেন – “যারা অপরিচিত/ বান্ধবহীন অবস্থায়, যখন লোকেরা ইসলামের মধ্যে বিপর্যয় সৃষ্টি করবে সে সময় ওরা সংশোধন করবে।”(মুসনাহে আহমদ, মুসলিম, ইবনে মাজাহ)।