মুসলিম সদা আশাবাদী

কাউকে দ্বীনের পথে ডাকছেন সে কারণে উপহাস, অপমানিত হয়েছেন। হতাশ, দুঃখী নয় বরং খুশি হন, কারণ আপনি নবীদের পথে চলছেন। দ্বীনের কারণে তারাও উপহাস, কষ্ট, পাগল, কবি, ওঝা অপবাদে ভূষিত হয়েছেন। কেউ সমালোচনা করল আপনার মন্দ কাজের রাগ না করে কৃতজ্ঞতা জানান আল্লাহর কাছে। তিনি আপনাকে সত্য পথে ডাকছেন। অনেক চেষ্টা, দোয়া করলেন তবু আপনার ইচ্ছে পূরন হল না, তাহলে ভাবুন আপনি সফল। কারণ আল্লাহর ইচ্ছে পূরন হয়েছে। আল্লাহর চেয়ে উত্তম কে জানে কি আমাদের জন্য কল্যানকর? আপনার ইচ্ছে পূরণ হলে হয়তো দোয়া করা ছেড়ে দিতেন তাহলে নেক আমল করা হতে বঞ্চিত হতেন। সৎ থাকার কারণে চাকরিতে উন্নতি নেই বা বেকার, মনে রাখুন হালাল আয়ে সফলতা আর হারামে অভিশপ্ত জাহান্নাম। আপনার আপনজন বন্ধুরা দূরে সরে গেছে একাকী অনুভব করছেন, হয়তো আল্লাহ অবসরের রহমত দিয়েছেন তার দ্বীন শেখার বা জানাবার। তাই অবসরে, একাকীত্বে কুরআন পড়ুন ও আল্লাহকে স্মরণ করুন। রিযিকের পেরেশানী, ভাবছেন আপনার আয় না হলে পরিবার কিভাবে চলবে, সৎ পথে চেষ্টা চালান। হতাশ হওয়ার কিছু নেই, পরিবারের রিযিক আল্লাহর কাছে আপনার হাতে নয়। আপনার দায়িত্ব শুধু চেষ্টা করা যে দায়িত্ব আল্লাহ দিয়েছেন। প্রিয় রসুল (সাঃ) যখন দুঃখ ভারাক্রান্ত আল্লাহ সুসংবাদ দেন ও অতীতকে স্মরণ করিয়ে দেন। আল্লাহ বলেন- “আপনার পালনকর্তা আপনাকে ত্যাগ করেনি আপনার প্রতি বিরূপ হয় নি। আপনার জন্য পরকাল, ইহকাল অপেক্ষা শ্রেয়। আপনার পালনকর্তা আপনাকে স্বত্বর দান করবেন, অতঃপর আপনি সন্তুষ্ট হবেন। তিনি আপনাকে এতিমরূপে পাননি? অতঃপর আশ্রয় দেন। তিনি আপনাকে পেয়েছেন পথহারা, অতঃপর পথ প্রর্দশন করেছেন। তিনি আপনাকে পেয়েছেন নিঃস্ব অতঃপর অভাবমুক্ত করেন।” (সুরা আদ দুহা)। প্রিয় রাসুল (সা:) যখন এতিম ছিলেন তখন চারপাশে জাহেলী নিয়মকানুন তাকে মর্মাহত করত কিন্তু সমাধানের পথ জানতেন না। কুরআনের নিয়মে চাইতে পারেননি তখনও (রসুল হওয়ার পূর্বে)। তবুও আল্লাহ তার নিরাপদ আশ্রয় আর রিযিকের ব্যবস্থা করেন। আর এখন তিনি রাসুল (সা:), আল্লাহ তাকে প্রার্থনা করতে শিখিয়েছে। তাই নিরাশ হওয়ার কিছু নয়। নিশ্চয়ই আল্লাহ তাকে আরও উত্তম রহমত দিবেন ইহকালে, পরকালে। তাই তো আবু তালেব, আবদুল মুত্তালিব রসুল হওয়ার আগে এতিম বালককে ভালোবাসেছেন প্রতিপালন করেছেন। আর রাসুল হওয়ার কারণে আল্লাহর জন্য তাকে খাইয়ে, রাসুলকে (সাঃ) রক্ষার্থে জীবন বিলিয়ে সাহাবীরা খুশি হতেন আর এর বিনিময়ে জান্নাত পেয়েছেন। এরচেয়ে সম্মানজনক উত্তম রিযিক কি হতে পারে? আমরা ছোটবেলায় আল্লাহর কাছে চাইতে শিখেনি তবুও তিনি রিযিক, ভালোবাসা দিতে কার্পণ্য করেন নি। অথচ এখন আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করতে শিখেছি, নিরাশ না হয়ে আশাবাদী হওয়া উচিত। তিনি আমাদের অনেক দিবেন, আর আমাদের জন্য পরকাল ও ইহকাল অপেক্ষা উত্তম হোক সে দোয়াই করা উচিত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *