মসজিদের সামনে শহীদ মিনার। সকাল হতে হাজারো লোক শহীদ মিনারে এল মসজিদে গেল না। তোমাদের সম্মান, ভালোবাসা কার প্রতি বেশি হওয়া উচিত মৃতদের প্রতি না চিরঞ্জীব, মহাজ্ঞানী, সর্বশক্তিমান ও শহীদদের পুরস্কারদাতা আল্লাহর প্রতি!? এটাই হল মহাব্বতের শিরক। আল্লাহ বলেন- “যদি তোমরা আল্লাহকে ভালোবাসো, তবে নবী (সাঃ) কে অনুসরণ কর, তাহলে আল্লাহ তোমাদের ভালোবাসবেন এবং তোমাদের পাপসমূহ ক্ষমা করবেন।” (আল ইমরান-৩১)।
আল্লাহ বলেন- “আর মানুষের মধ্যে এমনও আছে যারা আল্লাহ ছাড়া অন্যকে আল্লাহর সমকক্ষরূপে গ্রহণ করে, তারা তাদের ভালোবাসে আল্লাহকে ভালোবসার মতই, পক্ষান্তরে যারা ঈমান এনেছে তারা আল্লাহকে সর্বাধিক ভালোবাসে। আর যারা যুলুম করেছে যদি তারা আযাব দেখতে পেত, সমস্ত শক্তি আল্লাহরই। আর নিশ্চয় আল্লাহ শাস্তি দানে কঠোর। (সুরা বাকারাহ -১৬৫)।
যে যার বিধান পছন্দ করে সে তার বিধান মানে প্রাধন্য দেয় এভাবে তাকে বিধানদাতা মানে। মুখে বলবে আমাদের বিধানদাতা আল্লাহ অথচ জাহেলিয়াতের বিধান মেনে চলবে তাহলে বুঝতে হবে অন্তরে নেফাক (রোগ) রয়েছে। আর আল্লাহ ছাড়া কি মানবজাতির কোন বিধানদাতা রয়েছে নাউজুবিল্লাহ!?
বিধানদাতা/হুকুমদাতা একমাত্র আল্লাহ। আল্লাহ বলেন-
ﺇِﻥِ ﺍﻟْﺤُﻜْﻢُ ﺇِﻻ ﻟِﻠَّﻪِ ﻳَﻘُﺺُّ ﺍﻟْﺤَﻖَّ ﻭَﻫُﻮَ ﺧَﻴْﺮُ ﺍﻟْﻔَﺎﺻِﻠِﻴﻦَ
আল্লাহ ছাড়া কোন বিধানদাতা নেই; তিনি সত্য বর্ণনা করেন আর তিনিই সর্বোত্তম ফায়সালাকারী। (আল-আন‘আম, ৬/৫৭)।
ﻓَﺎﻟْﺤُﻜْﻢُ ﻟِﻠَّﻪِ ﺍﻟْﻌَﻠِﻲِّ ﺍﻟْﻜَﺒِﻴﺮِ
বিধান/হুকুম দেওয়ার মালিক আল্লাহ- যিনি সর্বোচ্চ, মহান। (আল-মুমিন, ৪০/১২)।
إِنّهَ يَحْكُمُ مَا يُرِيدُ
নিশ্চয় আল্লাহ যা ইচ্ছা হুকুম করেন। (আল-মায়িদাহ, ৫/১)
ﻭَﻻ ﻳُﺸْﺮِﻙُ ﻓِﻲ ﺣُﻜْﻤِﻪِ ﺃَﺣَﺪًﺍ
আর তিনি (আল্লাহ) তাঁর শাসন/কর্তৃত্বে কাউকে অংশীদার করেন না। (আল-কাহ্ফ, ১৮/২৬)।
ﺃَﻻ ﻟَﻪُ ﺍﻟْﺨَﻠْﻖُ ﻭَﺍﻷﻣْﺮُ ﺗَﺒَﺎﺭَﻙَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﺭَﺏُّ ﺍﻟْﻌَﺎﻟَﻤِﻴﻦَ
জেনে রাখ, সৃষ্টি তাঁরই আর আদেশও চলবে তাঁরই, বিশ্বজগতের প্রতিপালক আল্লাহ বরকতময়। (আল-আ‘রাফ, ৭/৫৪)।
ﺇِﻥِ ﺍﻟْﺤُﻜْﻢُ ﺇِﻻ ﻟِﻠَّﻪِ ﺃَﻣَﺮَ ﺃَﻻ ﺗَﻌْﺒُﺪُﻭﺍ ﺇِﻻ ﺇِﻳَّﺎﻩُ ﺫَﻟِﻚَ ﺍﻟﺪِّﻳﻦُ ﺍﻟْﻘَﻴِّﻢُ ﻭَﻟَﻜِﻦَّ ﺃَﻛْﺜَﺮَ ﺍﻟﻨَّﺎﺱِ ﻻ ﻳَﻌْﻠَﻤُﻮﻥَ
আল্লাহ ছাড়া কোন বিধানদাতা নেই; তিনি আদেশ করেছেন যে, ‘তোমরা তাঁকে ছাড়া অন্য কারো ইবাদত করবে না’। এটিই সরল-সঠিক দীন, কিন্তু অধিকাংশ মানুষ জানে না। (ইউসুফ, ১২/৪০)
ﺇِﻥِ ﺍﻟْﺤُﻜْﻢُ ﺇِﻻ ﻟِﻠَّﻪِ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﺗَﻮَﻛَّﻠْﺖُ ﻭَﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻓَﻠْﻴَﺘَﻮَﻛَّﻞِ ﺍﻟْﻤُﺘَﻮَﻛِّﻠُﻮﻥَ
আল্লাহ ছাড়া কোন বিধানদাতা নেই; আমি তাঁর উপরই নির্ভর করি আর নির্ভরকারীগণ যেন তাঁর উপরই নির্ভর করে। (ইউসুফ, ১২/৬৭)।
ﻭَﻫُﻮَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻻ ﺇِﻟَﻪَ ﺇِﻻ ﻫُﻮَ ﻟَﻪُ ﺍﻟْﺤَﻤْﺪُ ﻓِﻲ ﺍﻷﻭﻟَﻰ ﻭَﺍﻵﺧِﺮَﺓِ ﻭَﻟَﻪُ ﺍﻟْﺤُﻜْﻢُ ﻭَﺇِﻟَﻴْﻪِ ﺗُﺮْﺟَﻌُﻮﻥَ
আর তিনিই আল্লাহ, তিনি ছাড়া কোন (সত্য) উপাস্য নেই, দুনিয়া ও আখেরাতে সকল প্রশংসা তাঁরই; আর বিধান তাঁরই, আর তোমরা তাঁর দিকেই প্রত্যাবর্তিত হবে। (আল-কাসাস, ২৮/৭০)।
ﺛُﻢَّ ﺭُﺩُّﻭﺍ ﺇِﻟَﻰ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻣَﻮْﻻﻫُﻢُ ﺍﻟْﺤَﻖِّ ﺃَﻻ ﻟَﻪُ ﺍﻟْﺤُﻜْﻢُ ﻭَﻫُﻮَ ﺃَﺳْﺮَﻉُ ﺍﻟْﺤَﺎﺳِﺒِﻴﻦَ
তারপর তাদের সকলকে তাদের সত্যিকার অভিভাবক আল্লাহর কাছে প্রত্যাবর্তিত করানো হবে; সাবধান! বিধান তাঁরই আর তিনি হচ্ছেন দ্রুত হিসাব গ্রহণকারী। (আল-আন‘আম, ৬/৬২)।
ﺃَﻭَﻟَﻢْ ﻳَﺮَﻭْﺍ ﺃَﻧَّﺎ ﻧَﺄْﺗِﻲ ﺍﻷﺭْﺽَ ﻧَﻨْﻘُﺼُﻬَﺎ ﻣِﻦْ ﺃَﻃْﺮَﺍﻓِﻬَﺎ ﻭَﺍﻟﻠَّﻪُ ﻳَﺤْﻜُﻢُ ﻻ ﻣُﻌَﻘِّﺐَ ﻟِﺤُﻜْﻤِﻪِ ﻭَﻫُﻮَ ﺳَﺮِﻳﻊُ ﺍﻟْﺤِﺴَﺎﺏِ
তারা কি দেখে না আমি জমিনকে চতুর্দিক থেকে সংকীর্ণ করে আনছি আর আল্লাহই হুকুম দেন আর তাঁর হুকুম প্রত্যাখ্যান করার কেউ নেই এবং তিনিই দ্রুত হিসাব গ্রহণকারী। (আর-রাদ, ১৩/৪১)।
এ বিষয় অন্য সূরার আয়াত দেখুনঃ আল-কাসাস, ২৮/৮৮
আল্লাহর সার্বভৌমত্বের স্বীকৃতি দেওয়া ফজরে আযানকে সাড়া না দিয়ে যারা মানুষের আইন বা সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছে তাদের প্রচলিত নিয়মে সংগীত ও ফুল দিবেন আবার নিজেকে মুমিন দাবি করবেন এটা আহাম্মকী ছাড়া কিছু নয়।