মসজিদ, মাদ্রাসার নাম লক্ষীপুর, দুর্গাপুর, নারায়নের নামে। আর নামগুলো মসজিদ, মাদ্রাসার দেওয়ালে স্থান পায়। আমরা আজ পর্যন্ত মসজিদ হতে শিরককে মুক্ত করার সাহস অর্জন করতে পারি নি। কিভাবে রাষ্ট্রে ইসলাম প্রতিষ্ঠা করবো?
দূর্গা ও লক্ষী শিরকী দেবীর নাম আর পুর মানে শহর। আজ কোন মুসলিম তার সন্তানের নাম যদি দূর্গা, লক্ষী, নারায়ন রাখে তাকে কাফের ফাতওয়া দেওয়ার মানুষের অভাব হবে না। অথচ আল্লাহর পবিত্র ঘর মসজিদ ও দ্বীন শিক্ষার স্থান মাদ্রাসার পাশে এসব নাম স্থান পায় তখন সবাই চুপ। রসুল (সাঃ) ইয়াসরিবের নাম বদলে রাখেন মদীনা তাইয়্যেবা বা পবিত্র স্হান। মক্কা বিজয়ের পর কাবার মূর্তিগুলো ভেঙ্গে পেলেন।
মসজিদের সভাপতি অধিকাংশ হলো তাগুতের গোলাম। ক্ষমতাসীন এমন লোকও সভাপতি যারা পূজার সময় বিভিন্ন পূজামণ্ডপ উদ্বোধনসহ বিভিন্ন শিরকে সহায়তা করে। ঈমাম অর্থ নেতা, সভাপতি অর্থও নেতা। আসলে মসজিদের প্রকৃত সভাপতি বা নেতা হল ঈমাম সাহেব, তার ফাতওয়া ও তার নেতৃত্বে শুরা অনুযায়ী মসজিদ পরিচালিত হবে।
এদেশের অনেক জায়গা হতে ইসলামী নামগুলো কেটে দেওয়া হচ্ছে সাম্প্রদায়িকতার নাম করে (মুসলিম মেডিকেল হতে মুসলিম বাদ, ঢাকা ভার্সিটি হতে ইকরা বাদ)। অথচ আজও আমরা মসজিদ হতে শিরকী নাম বাতিল করতে ব্যর্থ। এখন অনেকে বলবে এগুলো তেমন সমস্যা না! আচ্ছা কোন মুসলিমের নাম দুর্গা, রাম, লক্ষন রাখলে তখন শিরকী নাম বলে ফাতওয়া দেওয়ার লোকের অভাব হবে না। আজও মসজিদের দেওয়ালে শিরকী নাম বুঝার তৌফিক হয়নি অথচ আশা করেন দাজ্জাল আসলে তার কপালে কাফের লেখা বুঝবেন!!
তাহলে মসজিদ, মাদ্রাসার মত পবিত্রস্থানের নাম রাখলে কেন শিরকী নাম হবে না!? একদল দরবারী আলেম আছে প্রচার করে – হাসান, হুসাইন, আলী নাম রাখলে নাকি শিয়াদের অতিভক্তির অনুসরন হয় প্রচার করে অথচ এসব ক্ষেত্রে নিরব!!