মেসি, নেইমার, রেনোলদোর মত ভিনদেশী কাফেরের কষ্টে ব্যথিত হলে ফুটবলপ্রেমী আর অন্যদেশের মুসলিমের জন্য ভালোবাসা দেখালে আল্লাহ ও মুসলিম প্রেমিক না বলে জঙ্গি উপাধি দেয়। এটা অন্যদেশের ব্যাপার বলে এড়িয়ে যাওয়া মুনাফেকের অভাব নেই। মেসি, নেইমার কোন দেশের!? আল্লাহপাক বলেন- “মুমিনরা পরস্পর ভাই ভাই।” (সুরা হুজরত আয়াত-১০)। রসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেন- “তোমরা মুমিন না হলে জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না, আর ততক্ষন পর্যন্ত তোমরা মুমিন হতে পারবে না যতক্ষণ না তোমরা পরস্পরকে ভালোবাসবে। আমি কি তোমাদের জানিয়ে দেব না কী করে পরস্পরের ভালোবাসা সৃষ্টি হবে? তোমরা পরস্পরকে সালাম দিবে।” (সহীহ মুসলিম)। রসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেন- “সব মুসলিম একটি দেহের মতো, যদি তার চোখ অসুস্থ হয় তাহলে পুরো শরীর অসুস্থ হয়ে যায়, যদি তার মাথা অসুস্থ হয় তাহলে পুরো শরীর অসুস্থ হয়ে যায়।” (মুসলিম -৬৭৫৪)। আল্লাহ বলেন- “এবং তিনি তাদের (মুমিনদের) পরস্পরের হৃদয়ের মধ্যে প্রীতি স্হাপন করেছেন। পৃথিবীর যাবতীয় সম্পদ ব্যয় করলেও তুমি তাদের হৃদয়ে প্রীতি স্হাপন করতে পারতে না, নিশ্চয়ই তিনি পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়।” (সুরা আনফল, আয়াত: ৬৩)। মুমিনদের প্রতি ভালোবাসা আল্লাহ সৃষ্ট ও তাদের দুঃখে ব্যথিত হওয়া ঈমানের প্রকাশ আর কাফেরের প্রতি ভালোবাসা অন্তরে মুনাফেকের আলামত। আল্লাহ বলেন- “মুহাম্মদ আল্লাহর রসুল, তার সহচররা অবিশ্বাসীদের প্রতি কঠোর এবং নিজেদের মধ্যে পরস্পরের প্রতি সহানুভূতিশীল।” (সুরা ফাতাহ, আয়াতঃ ২৯)। আমরা রসুলের গর্বিত উম্মত দাবি করি, অথচ আমাদের চরিত্র সাহাবীদের বিপরীত। আমরা মুসলিমদের প্রতি কঠোর আর কাফেরের প্রতি সহানুভূতিশীল। আল ওয়ালা ওয়াল বারা কি জানি না যা ইসলামের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিধানের অন্যতম।