দ্বীনের পথে সবসময় দুঃখ,কষ্ট, ভয়ভীতি জড়ানো থাকে। হতাশ হওয়ার কিছু নেই আল্লাহর উপর ভরসা রাখতে হবে। আমাদের পুরস্কার জান্নাতের তুলনায় এসব কষ্ট অতি নগন্য। কিন্তু যখন দেখবেন এসব পরীক্ষায় সাধারণ মানুষ নয়, বহু আলেম পরাজিত হচ্ছে তখন হতাশ হবেন না বরং আল্লাহর কাছে পানাহ চাইবেন।
আর নিশ্চিত থাকুন বিজয় অতি নিকটবর্তী, অন্ধকারে চাঁদের আলোর মূল্য বেশি, বহুদূরে পৌছে। নিজেরা আলেম হয়ে উঠেন, দ্বীনের প্রচার সর্বত্র ছড়িয়ে দিয়ে হয়ে উঠেন আল্লাহর নিকট অতি প্রিয়। ফেতনাকালীন সময়ে দ্বীনের পথে অটল যারা থাকবে তাদের জন্য রয়েছে উত্তম পুরস্কার। আর আল্লাহ সেই পরীক্ষা আমাদের করছেন তাই শোকরিয়া ও তার সাহায্য চাওয়া উচিত।
আবু হুরাইরাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন তোমরা অন্ধকার রাতের টুকরোসমূহের মত (যা একটার পর একটা আসতে থাকে এমন) ফিতনাসমূহ আসার পূর্বে নেকীর কাজ দ্রুত করে ফেল। মানুষ সে সময়ে সকালে মুমিন থাকবে এবং সন্ধ্যায় কাফের হয়ে যাবে অথবা সন্ধ্যায় মুমিন থাকবে এবং সকালে কাফের হয়ে যাবে। নিজের দ্বীনকে দুনিয়ার সম্পদের বিনিময়ে বিক্রয় করবে। [মুসলিম ১১৮, তিরমিযি ২১৯৫, আহমদ ৭৯৭০, ৮৬৩১, ৮৮২৯]
বহু আলেম, মুসলিমকে দেখবেন কাল যেটাকে কুফর, শিরক বলতো তারা মামলা, হামলার ভয়ে বা লোভে সেটাকে ইসলাম প্রচার করছে অথবা এসব কুফরী আকীদার লোকদের সাথে জোট করছে। আবারও বলছি আশাবাদী হোন এটা খলিফা মাহাদী (হাফি) ও খেলাফত প্রতিষ্ঠার আলামত।
তিনি আসার আগে মুমিন বাহিনী ও অনেক কাফের, মুনাফেক বাহিনী আলাদা হয়ে যাবে। বাকীরা দাজ্জালের যুগে ঈমানহারা হয়ে ধ্বংস হবে। এসব পরীক্ষা ও ফেতনার মধ্যে আল্লাহ সুস্পষ্ট করে দেন – কারা প্রকৃত ইসলাম চায় আর কারা ধোকা দিতে চায়। আর এসব জোট না আল্লাহর আযাব হতে রক্ষা করতে পারবে, না তাদের উপর চিরকাল শাসকের ছায়া বা প্রিয় হয়ে থাকবে।
ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, নবী (ﷺ) বলেন, আমার উম্মাতের কতক লোক ধর্মীয় জ্ঞান অর্জন করবে, তারা কুরআন পড়বে এবং বলবে, আমরা শাসকদের নিকট যাবো তাদের নিকট থেকে পার্থিব স্বার্থ প্রাপ্ত হবো এবং আমাদের দ্বীন থেকে তাদের সরিয়ে রাখবো। এরূপ কখনো হতে পারে না। যেমন কাঁটাদার গাছ থেকে ফল আহরণের সময় হাতে কাঁটা ফুটবেই, তদ্রূপ তারা তাদের কাছে গিয়ে গুনাহ থেকে বাঁচতে পারে না। মুহাম্মাদ ইবনুস সাব্বাহ (রহঃ) বলেন, অর্থাৎ গুনাহ ব্যতীত তারা কিছুই লাভ করতে পারে না। (সুনানে ইবনে মাজাহ ২৫৫, মিশকাত ২৬২, মিশকাত হা/২৪৫, মিশকাতুল মাসাবিহ ৬৩)
তবুও আমরা সবার হেদায়েত কামনা করবো।