বিশ্ব ও মুদ্রার ভবিষ্যৎ!! স্বর্ণ যেভাবে মুদ্রায় রূপান্তর হতে পারে

আধুনিক ব্যাংক ব্যবস্হার ধারনার মূল কারিগর হল নাইট টেম্পলাররা। নাইট টেম্পলাররা ছিল সন্ন্যাসী যোদ্ধা। যাদের মিশন ছিল ধর্মীয় আদেশ, নীতিমালা ও অন্যান্য কার্যাবলী সাধন করা এবং নিজ ধর্ম ও মানুষদের রক্ষার্থে জীবন দেওয়া।

টেম্পলাররা জেরুজালেমে খ্রিস্টান তীর্থযাত্রীদের প্রতিরক্ষার জন্য নিজেদের উৎসর্গ করেছিল। শহরটি ১০৯৯ সালে প্রথম ক্রুসেডের মাধ্যমে খ্রিস্টানদের দখলে চলে যায় এবং তীর্থযাত্রীরা ইউরোপ জুড়ে হাজার হাজার মাইল ভ্রমণ করে সেখানে যেতে শুরু করেছিল।

এই তীর্থযাত্রীদের কোনো না কোনোভাবে মাসের পর মাস খাদ্য, পরিবহন এবং বাসস্থানের জন্য তহবিল আবশ্যক ছিল যাতে বিপুল পরিমাণ নগদ টাকা বহন করা এড়াতে পারে। কারণ এটি তাদের ডাকাতদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করবে।

টেম্পলাররা সেই দায়িত্ব গ্রহণ করেছিল। একজন তীর্থযাত্রী লন্ডনের টেম্পল চার্চে তার নগদ অর্থ রেখে যেতে পারতেন এবং জেরুজালেমে গিয়ে তা তুলে নিতে পারতেন। টাকা বহনের পরিবর্তে তিনি ক্রেডিট চিঠি বহন করতেন। চিঠি বক্তব্য সোজা বাংলায় এই- ‘চাহিবা মাত্র প্রাপকে তার সম্পদ দিতে হবে’ অনেকটা আধুনিক চেকের মতো। নাইট টেম্পলারার ছিল বর্তমানের টাকা পাঠানোর কোম্পানিদের মত।

যদিও টেম্পলাররা এই ধরনের পরিসেবা প্রদানকারী বিশ্বের প্রথম সংস্থা ছিল না। কয়েক শতাব্দী আগে, চীনের ট্যাং রাজবংশ “ফেইকুয়ান” – উড়ন্ত অর্থ – ব্যাবহার করত। এটি ছিল দুই-অংশের একটি নথি যা ব্যবসায়ীরা আঞ্চলিক অফিসে জমা দিত এবং রাজধানীতে তাদের নগদ টাকা ফেরত পেত।

কিন্তু সে ব্যবস্থা সরকার পরিচালনা করত। টেম্পলাররা একটি প্রাইভেট ব্যাংকের অনেক কাছাকাছি ছিল – যদিও এটি পোপেদের মালিকানাধীন ছিল। ইউরোপ জুড়ে রাজা ও রাজকুমারদের সাথে মিত্রতা এবং দারিদ্র্যের শপথ নেওয়া সন্ন্যাসীদের অংশীদারিত্ব দ্বারা পরিচালিত হত এই সিস্টেম।

নাইটস টেম্পলাররা দীর্ঘ দূরত্বে অর্থ স্থানান্তরের চেয়েও অনেক বেশি কাজ করেছিল। ইউরোপ হতে জেরুজালেম পৌছতে দীর্ঘসময় লাগতো তীর্থযাত্রীদের। পক্ষান্তরে টেম্পলরা ঘোড়া দিয়ে পরস্পর যোগাযোগ করে সহজে পৌঁছে যেতে পারতো। তাই তারা এমন করত – তীর্থযাত্রীদের রেখে যাওয়া আমানত সম্পদ বা মুদ্রা সুদের বিনিময়ে নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত ধার দিত।
এভাবে তারা সম্পদশালী হয়ে গিয়েছিল। আর জেরুজালেম পৌছে তীর্থযাত্রী সম্পদ নেওয়ার আগে তা পোছে দিত। অনেক সময় অনেক তীর্থযাত্রী নিরাপত্তার জন্য সম্পদ দেরিতে তুলতেন। এভাবে তারা অন্যের টাকা, সম্পদ দ্বারা নিজেরা সমৃদ্ধ হতো। আবার অনেক তীর্থযাত্রী মাঝপথে মারা যেত তাতেও তাদের লাভ হতো।

বর্তমানে ব্যাংকগুলো তাই করে অন্যের সম্পদ দ্বারা তারা ব্যবসা করে আমানত ভাঙ্গিয়ে। তারপর দেখা যায় চার্চের অনুমতিক্রমে অনেকে সম্পদ না তুলে চিরকুট/চিঠি চেক সদৃশ্য কাগজের মাধ্যমে জমি, পণ্য কেনাবেচা করত। প্রথমে সালাউদ্দিন আইয়ুবী ও পরে খ্রিস্টানরা ওদের অত্যাচার, ফেতনা ও জুলুমের জন্য উচ্ছেদ করে। ধারনা করা হয় তাদের বংশধররাই আধুনিক ব্যাংক ব্যবস্হা তৈরি করেছে।

নাইট টেম্পলাররা চিরকাল ইউরোপের ব্যাংক ছিল না। ১২৪৪ সালে ইউরোপীয় খ্রিস্টানরা জেরুজালেমের নিয়ন্ত্রণ সম্পূর্ণভাবে হারিয়ে ফেলার পরে ১৩১২ সালে টেম্পলাররা শেষ পর্যন্ত ভেঙে যায় এবং পরে তাদের অস্তিত্ব বিলীন হয়ে যায়।

এখন প্রশ্ন হল এসব বক্তব্যের সাথে ইসলাম ও বিশ্বপরিক্রমায় কি সম্পর্ক!? দেখুন তখনও সম্পদের বিনিময়ে চেক সদৃশ কাগজ দেওয়া হতো। যাতে যেকোন সময় চেক ভাঙ্গিয়ে সম্পদ নেওয়া যেত, তাই বর্তমান মুদ্রার মত তা উঠানামা করত না। কেউ চাইলে অবরোধ দিয়ে মুদ্রা বা কাগুজে চেককে সাধারণ কাগজে পরিণত করতে পারতো না।

ব্যাংক রান

ব্যাংক রান হচ্ছে এমন একটি অবস্থা যখন ব্যাংকগুলোর মধ্যে টাকার অর্থাৎ ক্যাশের সংকট দেখা যায়। এটি সাধারণত তখন হয়ে থাকে যখন গ্রাহকেরা অস্বাভাবিকভাবে টাকা উঠানো শুরু করে বিভিন্ন পরিস্থিতি বা বিপর্যয়ের কারণে।

প্রতিদিনই ব্যাংকে মানুষ অসংখ্য টাকা জমা রাখে। তার তুলনায় খুব নগণ্য টাকাই উঠানো হয়। ব্যাংক এই টাকার সবটুকু নিজেদের কাছে রাখে না। তারা এই টাকার কিছু অংশ বিভিন্ন ব্যবসা-বণিজ্য, সুদ ও আরো অনেক কাজে ব্যায় করে থাকে। তাই ব্যাংক নিজেদের কাছে বেশি টাকা জমা রাখতে পারেনা। তাছাড়া অনেক টাকা একসাথে রাখার অনেক ঝুঁকিও রয়েছে। তাই প্রত্যেক ব্যাংকে দৈনিক কি পরিমাণ ক্যাশ রাখা যাবে তা পূর্ব নির্ধারিত থাকে কি পরিমাণ টাকা উত্তোলন হবে সেটার উপর অনুমান করে। আর বাকি টাকা বিভিন্ন কাজে লাগানো হয়।

যেহেতু ব্যাংক নিজেদের কাছে সীমিত পরিমাণ টাকা জমা রাখে সেহেতু অনেক মানুষ একসাথে টাকা উঠাতে আসলেই ঘটে ব্যাংক রান। ব্যাংক রান বিভিন্ন কারণে ঘটতে পারে। যেমনটা ঘটছে ইউক্রেনে ও রাশিয়ায়। ইউক্রেনে যখন যুদ্ধ শুরু হল মানুষগুলো ব্যাংক হতে তাদের টাকা তুলে ইউরোপে পালাতে শুরু করলো ফলে ব্যাংক হতে টাকা খালি হতে লাগলো।

অন্যদিকে ব্যাংক যাদের লোন দিয়েছিল এখন তাদের কাছ হতে টাকাও নেয়া যাবে না। ফলে অনেকে তার প্রাপ্য টাকা তুলতে পারবে না অন্যদিকে সম্পদের অভাবে ব্যাংক দেউলিয়া হয়ে যাচ্ছে। বিপরীত চিত্র রাশিয়ায়- আবরোধের কারণে তাদের মুদ্রা প্রতিদিন নামছে, তাই সবাই টাকা তুলে ইলেকট্রনিকসসহ স্বর্ণও কিনে রাখছে যাতে পরবর্তীতে ইউরোপ বা অন্য কোথাও বিক্রি করতে পারে এই আশায়। এজন্য দেখুন বিশ্ববাজারে স্বর্ণ ও রূপার দাম বাড়বে।

যখন ব্যাপক আকারে মুদ্রাস্ফীতি ঘটে বা মুদ্রার দাম কমতে থাকে তখন নিজেদের টাকার মান ঠিক রাখার জন্য জনগণ টাকা উঠিয়ে অন্যান্য জিনিস কিনে যেগুলোর মূল্য বেশি সময় স্থির থাকে যেমন স্বর্ণ। মোটকথা হল, ব্যাংক রান তখনই ঘটে যখন মানুষ ব্যাংকের উপর থেকে আস্থা হারিয়ে পেলে।

SWIFT এর পূর্ণরূপ Society for Worldwide Interbank Financial Telecommunications. ২০০ এর অধিক দেশ এই সিস্টেম ব্যবহার করে লেনদেন করে। প্রত্যেক দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক এই সিস্টেমের সাথে সংযুক্ত থাকে। অর্থাৎ লেনদেনের এক ব্যাংকের টাকা অন্য ব্যাংকে এই সিস্টেমের মাধ্যমেই গিয়ে থাকে। প্রত্যেক ব্যাংকের ১১ ডিজিটের একটি SWIFT কোড থাকে। যার প্রথম চার ডিজিট ব্যাংকের নাম, পরের দুটি দেশের কোড, পরের দুটি লোকেশান কোড এবং পরের তিনটি শাখা কোড নির্দেশ করে। যখন এক ব্যাংক থেকে অন্য ব্যাংকে টাকা পাঠানো হয় SWIFT কোড ব্যাবহার করে পাঠানো হয়।

তাই যখন SWIFT সিস্টেম থেকে কোন দেশকে বের করে দেওয়া হয়, তাদের ব্যাংকিং ও লেনদেনে বিপর্যয় নেমে আসে। তাই ইউরোপের কোন ব্যক্তি রাশিয়ায় আর রাশিয়ার কোন লোক ইউরোপে টাকা পাঠাতে পারবে না। এসব শুনে ভাবছেন রাশিয়া দুর্বল হয়ে যাবে, জনগণ দারিদ্র্যতার জন্য আন্দোলন শুরু করবে। বরং রাশিয়া, চীন পরমশক্তি হয়ে উঠতে পারে।

● হাসসান ইবনু ‘আত্বিয়্যাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, মাকহুল ও ইবনু আবূ যাকারিয়া (রাঃ) খালিদ ইনবু মা’দান-এর নিকট যেতে রওয়ানা হলে আমিও তাদের সঙ্গে গেলাম। তারা জুবাইর ইবনু নুফাইরের সূত্রে আমাদের নিকট হাদীস বর্ণনা করলেন সন্ধি সম্পর্কে।
তিনি বলেন, জুবাইর (রাঃ) বললেন, আপনি আমাদের সঙ্গে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)- এর সাহাবী যু-মিখবার (রাঃ)-র নিকট চলুন।
সুতরাং আমরা তার নিকট উপস্থিত হলে জুবাইর (রাঃ) তাকে সন্ধি সম্পর্কে প্রশ্ন করেন। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলতে শুনেছিঃ অচিরেই তোমরা রোমানদের সঙ্গে সন্ধি করবে।
অতঃপর তোমরা ও তারা একত্র হয়ে তোমাদের পশ্চাৎবর্তী একদল শত্রুর মোকাবেলা করবে। তোমরা বিজয়ী হবে, গনীমাত অর্জন করবে এবং নিরাপদে ফিরে আসবে। শেষে তোমরা টিলাযুক্ত একটি মাঠে যাত্রাবিরতি করবে। অতঃপর খৃস্টানদের মধ্য হতে এক ব্যক্তি ক্রুশ উপরে উত্তোলন করে বলবে, ক্রুশ বিজয়ী হয়েছে। এতে মুসলিমদের মধ্যকার এক ব্যক্তি উত্তেজিত হয়ে তাকে হত্যা করবে। তখন রোমানরা চুক্তি ভঙ্গ করবে এবং যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি নিবে।

সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং ৪২৯২
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস

বেশিরভাগ আলেমদের অভিমত মুসলিম ও রুম যুদ্ধবিরতি চুক্তি করে যাদের সাথে যুদ্ধ করবে বা পশ্চাৎদিকের শত্রুকে পরাজিত করবে তাহল রাশিয়া, চীন। কারণ মদীনার পশ্চাতে তাই হয় এরপর হবে রুমের সাথে মালহামা। তবে এই চুক্তি হবে মালহামার আগে, এখনই নয়। মুসলিমদের একক নেতা হিসেবে মাহাদী (হাফিঃ) চুক্তি করবেন হয়তো।

এক্ষেত্রে রাশিয়া ইরান-ভারতের মত নীতি গ্রহণ করতে পারে- ইরানেও অবরোধ আছে তাই ইরান ও ভারত ডলার বাদ দিয়ে পারস্পরিক মুদ্রায় লেনদেন করে।

তাই ইরান, রাশিয়া, চীনসহ জোটবদ্ধ দেশগুলো হয় পারস্পরিক মুদ্রায় লেনদেন করবে অথবা পূর্বের লিবিয়ার মত স্বর্ণের বিনিময়ে তেল, গ্যাসসহ পণ্য লেনদেন করবে। আর দেশের ভিতরে সাধারণ জনগনের জন্য নিজস্ব মুদ্রানীতি ঠিক রাখবে। ফলে স্বর্নের চাহিদা বৃদ্ধি পেতে পারে কারণ তা আর অলংকার হয়ে শোভা পাওয়ার পণ্য হবে না, হয়ে উঠবে মুদ্রা।
ফলে ফোরাতে স্বর্ণের পাহাড় উঠলে যুদ্ধ ব্যাপক আকার ধারণ করবে।

এখন বলতে পারেন – ইরান, রাশিয়া, চীন অবরোধের মাঝে কিভাবে পণ্য বা স্বর্ণ লেনদেন করবে!?

চীন ও রাশিয়ার বর্ডার কাছাকাছি। চীনের সাথে পাকিস্তানের সেতুসহ সড়কের কাজ চলছে। চীনের আগের বেশিরভাগ কলকারখানা ছিল দক্ষিন কোরিয়ার নিকটবর্তী ফলে তারা পণ্য নিয়ে সাগর পেতে গেলেও ইউরোপসহ তাদের জোটগুলো বাধা দিতে পারতো। চীন বর্তমান তার কলকারখানা সব নিয়ে আসছে জিনজিয়াং, উইগুরসহ তুর্কমেনিস্তান, কাজাকিস্তান, তাজাকিস্তান, সীমানার কাছে।

উইগুরে মুসলিম নির্যাতনের অন্যতম কারণও এটা। কারণ তারা ভয় পায় মুসলিমরা বিদ্রোহ করলে তাদের মদদে পশ্চিমারা এলে চীনের জন্য বিপদজনক হবে। তাই চীন, রাশিয়া, ইরান, কাজাকিস্তান, উজবেকিস্তান, তুর্কমেনিস্তান, তাজাকিস্তান মানে আমুদরিয়া দিয়ে পরস্পর বানিজ্য করতে পারে। চীন রাশিয়ার সাথে গ্যাস চুক্তি করেছে বিপুল পরিমাণে।

আলরেডি আমুদরিয়ার চীন-রাশিয়া ব্রীজ নির্মাণ করেছে আর ট্রেন চলাচলের জন্য উম্মুক্ত করা হয়েছে। তাই চীন, রাশিয়া যেকোন মূল্যে এসব এলাকায় প্রভাব বজায় রাখতে চাইবে। অন্যদিকে তাদের বিরোধিরা চাইবে এসব পথে বাধা সৃষ্টি হোক। ফলে এসব দেশে গৃহযুদ্ধসহ যুদ্ধ হতে পারে। এরপর হয়তো মুসলিমদের বিজয় বাহিনী বের হওয়া সহজ হবে।

● আবূ ইসহাক্ব (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, ‘আলী (রাঃ) বলেছেন, আর তিনি তার ছেলে হাসানের প্রতি দৃষ্টিপাত করে বলেছেন, নিশ্চয়ই আমার এই ছেলেকে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যেরূপ নেতা আখ্যায়িত করেছেন, অচিরেই তার বংশ হতে জনৈক ব্যক্তি আবির্ভূত হবে। তোমাদের নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নামে তার নাম হবে, স্বভাব-চরিত্রে তাঁর মত হবে; কিন্তু গঠন আকৃতি অনুরূপ হবে না।
অতঃপর ঘটনা বর্ণনা করে বলেন, সে পৃথিবীকে ন্যায়বিচারে ভরে দিবে।
হারুণ (রাঃ) বলেন, ‘আমর ইবনু আবূ ক্বাইস পর্যায়ক্রমে মুতাররিফ ইবনু তরীফ, হাসান ও হিলাল ইবনু ‘আমর হতে বর্ননা করে বলেন, আমি ‘আলী (রাঃ)-কে বলতে শুনেছি, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ নদীর পেছন দিক থেকে জনৈক ব্যক্তি আবির্ভূত হবে।
তাকে হারিস ইবনুর হাররাস বলে ডাকা হবে, তার আগে জনৈক ব্যক্তি আসবেন, যার নাম হবে মানসূর। তিনি মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর পরিজনকে আশ্রয় দিবেন, যেরূপ কুরাইশরা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে স্থান দিয়েছিল। সুতরাং প্রত্যেক মু’মিনের কর্তব্য হবে তার সাহায্যে এগিয়ে আসা, তার ডাকে সাড়া দেয়া। [৪২৮৯]

ফুটনোটঃ
[৪২৮৯] আবূ দাঊদ এটি একক ভাবে বর্ণনা করেছেন

এছাড়া আল ফিতানসহ বহু হাদীসে মনসুর ইয়ামেনী ও হাররাস হাররাসের নাম এসেছে।

ইসলামের পরিভাষায়, আমু নদীর ওপারে অবস্থিত মধ্য এশিয়ার দেশগুলোকে ইসলামের পরিভাষায় ‘মা-আরউন্নহর’ বা ‘নদীর ওপার’ বলা হয়। উজবেকিস্তান, তাজাকিস্তান, তুর্কমেনিস্তান, কাজাকিস্তান এর অন্তর্ভুক্ত যা কিনা বৃহত্তর খোরাসানের একটি অংশ।

এই পোস্ট হাদীস, ইতিহাস, বিশ্বপরিক্রমার ভিত্তিতে ধারণা দেওয়া, আল্লাহ ভালো জানেন কি হতে পারে!!? তাই নিজেরাও গবেষণা করুন ও মেলান কি হতে পারে!!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *