বিপদে মুমিনের পরিচয় স্পষ্ট হয়

শামবাসী দীর্ঘদিন প্রিয় শিশু, স্বজনের লাশ দেখছে। দিনের পর দিন ক্ষুধার্ত পার করছে। অথচ সামান্য খাদ্য ফেলে ভাগাভাগি করে খাচ্ছে। আহ কত সুন্দর কৃতজ্ঞতা জানায়, অশ্রুসিক্ত সিজদাহ দিচ্ছে। হারানো সন্তান যেন শাহাদাতের মর্যাদা পায় ও জান্নাত পাওয়ার উসিলা হয় সেই দোয়া করছে।

হাদিসে এসেছে, হজরত আবু মুসা আশআরি (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যখন কারও সন্তান মারা যায়, তখন আল্লাহ তায়ালা ফেরেশতাদের ডেকে বলেন, ‘তোমরা আমার বান্দার সন্তানের জান কবজ করে ফেলেছ?’ তারা বলেন, ‘হ্যাঁ’।

আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘তোমরা তার কলিজার টুকরার জান কবজ করে ফেলেছ?’ তারা বলেন, ‘হ্যাঁ’। আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘আমার বান্দা কি বলেছে?’ তারা বলেন, ‘আপনার বান্দা এই বিপদেও ধৈর্য ধারণ করে আপনার প্রশংসা করেছে এবং ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন পড়েছে।’

তখন আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘তোমরা আমার এই বান্দার জন্য জান্নাতে একটি প্রাসাদ নির্মাণ কর এবং তার নামকরণ কর ‘বাইতুল হামদ’, অর্থাৎ, প্রশংসার ঘর।’ -(তিরমিজি, রিয়াজুস সালেহিন : ১৩৯৫)

আর দেখুন আমাদের অনেকে খাদ্য লুট করছে। শোকরিয়ার বদলে অভিযোগ করছে। তওবার বদলে নাফরামানী করছে। এটা ঈমান ও সবরকারী মুমিন আর সাধারণ বান্দার পার্থক্য! আজও তওবা না করে থাকলে বেঁচে থাকার জন্য শোকরিয়া জানান। আরও বড় বিপদ সামনে আসবে। হয়তো বন্যার পানি চলে যাবে ঠিকই কিন্তু আমাদের জীবনপদ্ধতি যদি পরিবর্তন না হয় জাহান্নামের বিপদ সম্মুখে!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *