সারাবিশ্বে মুসলিমদের মত নির্যাতিত, অত্যাচারিত আজ কেউ নেই। যে জাতিকে আল্লাহ সম্মানের অধিকারী করেছেন তারা কেন আজ এত অবহেলিত, অপমানিত?
১. কুরআন বলে- “মুমিনরা পরস্পর পরস্পর ভাই ভাই।” (সুরা হুজরাত-১০)। আল্লাহ বলেন- জালেমরা একে অপরের বন্ধু আর আল্লাহ হল মুত্তাকীদের বন্ধু। অথচ জাতীয়তাবাদের কুফরে লিপ্ত আমরা নিজ দেশের কাফের যারা আল্লাহর শত্রু তাদেরকে ভালোবাসি অথচ দূর দেশের কোন মুমিনকে ভালোবাসলে আমরা দেশদ্রোহী। অথচ রাসুল (সা:) ও সাহাবীরা নিজ জন্মভূমি ও বংশের কাফেরদের বিরুদ্ধচারন করেন আর দূর মদীনার সাহাবীদের আজীবন ভালোবেসেছেন।
২. অধিকাংশ মুসলিমরা এখন রোগ-শোক, দুনিয়ার বিপদ-আপদকে বেশি ভয় পায় অথচ আখেরাতের ভীতি তাদের মনে তেমন স্হান পায় না। তারা সব দুনিয়ার সমৃদ্ধির স্বপ্নে মত্ত আর জান্নাতের প্রশান্ত জীবনের কথা ভুলে যায়।
৩. অধিকাংশ মুসলিমরা আজ দীর্ঘজীবন কামনা করে অথচ স্বয়ং রাসুল (সা:) ও সাহাবীরা শহীদী মৃত্যু কামনা করতেন।
৪. যে মুসলিমরা ভারতের মুসলিম নির্যাতনের বিরোধিতা করে অথচ তারাই সারাদিন ভারতীয় নাচ-গান, সিনেমায় বিভোর তাদের হেয়ার-স্টাইল হতে শুরু করে পোষাক সবই বলিউড, হলিউড ও কাফের ক্রীড়া তারকাদের অনুকরনে করে।
৫. অতীতে মুসলিম যুবকরা একজন নেককার বিবির জন্য দোয়া করত যেন মুজাহিদ সন্তান জন্ম দিতে পারে, আর এখন প্রেম করার জন্য ভালো মেয়ে খুজে অথচ এটা বুঝে না প্রকৃত দ্বীনদার মেয়েরা কখনো বিবাহ বহিঃভূত প্রেমে জড়াবে না।
৬. পূর্বের মুসলিমরা জীবন বিলিয়েছেন। শত অত্যাচারেও ইসলামের পথ ছাড়েন নি, দুনিয়ার সবকিছুর চেয়ে আল্লাহ, রাসুল ও ইসলামই ছিল তাদের কাছে অতি প্রিয়। ফলে আল্লাহ তাদের বিজয় দিয়েছেন আর এখন মুসলিমরা দুনিয়ার লোভে ইসলাম হতে দূরে সরে যাচ্ছে ফলে আল্লাহ তাদের অপমানিত করছেন। আল্লাহপাক বলেন- “বল, তোমাদের নিকট যদি তোমাদের পিতা, তোমাদের ভাই, তোমাদের পত্নী, তোমাদের গোত্র, তোমাদের অর্জিত ধনসম্পদ, তোমাদের ব্যবসা যা বন্ধ হয়ে যাওয়ার ভয় কর এবং তোমাদের বাসস্হান যাকে তোমরা পছন্দ কর- আল্লাহ, তার রাসুল ও তার রাহে জেহাদ করা হতে অধিক প্রিয় হয়, তবে অপেক্ষা কর আল্লাহর বিধান আসা পর্যন্ত। আল্লাহ কাফেরদের হেদায়েত দেন না।” (সুরা তওবা আয়াত-৯:২৪)।
৭. অনেক দেশে মসজিদে দান ও খেদমতের মর্যাদার ওয়াজ তো হয় কিন্তু বিশ্বের ৩য় মর্যাদাবান মসজিদ, মুসলিমদের পূর্বের কেবলাহ, রাসুলের (সা:) মেরাজের স্হান, সকল নবী-রাসুল যেখানে আমাদের রাসুলের (সা:) পিছনে সালাত আদায় করেছেন তার মর্যাদা ও উদ্ধারের জন্য লড়াইয়ের ওয়াজ হয় না। যারা আল্লাহর প্রিয় মসজিদ হেফাজতের প্রচেষ্টা করবে তারাই বিজয়ী হবে। ইনাশাল্লাহ মনসুর ইয়ামেনী, হারস হাররাসরা খোরাসান হতে বাহিনী নিয়ে বের হবেন ও শুয়াইব বিন সালেহরা জেরুজালেম (বায়তুল আকসা) বিজয় করবেন এবং জেরুজালেম বিজয়ের পর তাদের একটা দল হিন্দ (ভারত, বাংলাদেশ, মায়ানমার, শ্রীলংকা, নেপাল, ভুটান) ও সিন্ধ (পাকিস্তান, চীন) বিজয় করবেন। (আবু দাউদ ৪২৯০, আল -ফেতান, মুসনাদে আহমদ -খন্ড-৫- পৃ-২৭৭, সহিহ মুসলিম ২৮৯৬, সুনানে ইবনে মাজাহ ৪০৮৮)। কারণ এই দলের লক্ষ্য হবে আল্লাহর নিকট পবিত্র ও প্রিয় ভূমি ও মসজিদকে রক্ষা করা। তারা কোন ভূখন্ড, সম্পদ বা বীরত্বের জন্য লড়াই করবে না। তারা কোন সমালোচনাকারীর পরোয়া করবে না।