ধর্ষণ ও ইসলামে নারীর মর্যাদা

পত্রিকায় ও মিডিয়ায় সর্বত্রই শুধু ধর্ষণের ঘটনা। আজ এদেশে ইংরেজ, পাকিস্তানিরা কেউই নেই তবু কোলের শিশুও নিরাপদ নয়। এর প্রকৃত কারণ হল এদেশে ইসলামী বিধান ও শাসনব্যবস্হা নেই। যদিও সৌদি আরব সম্পূর্ণ ইসলামিক রাষ্ট্র নয় তবুও সৌদতে কয়টা ধর্ষন ঘটছে!!? (একেবারে কম) কারণ সেখানে এখনও ধর্ষণের বিচার হয় ইসলামিক নিয়মে। রাসুলের (সা:) যুগে এক মুসলিম রমনী মদীনায় বনু কাইনুকার বাজারে গেলে এক ইহুদি দোকানদারের কুটকৌশলের কারণে তার কাপড় খুলে যায় এবং উপস্হিত সবাই তা নিয়ে হাসি-ঠাট্টা করে। সেই মুসলিম মহিলা চিৎকার করলে এক মুসলিম তা দেখে দোকানদারকে হত্যা করে ফলে ইহুদিরা ঐ মুসলিমকে হত্যা করে। ফলে মুসলিম ও ইহুদিরা পরস্পর যুদ্ধে মুখোমুখি হয়। ইহুদিদের আগ্রাসী আচরনের ফলে স্বয়ং রাসুল (সা:) এসে তাদেরকে পনের দিনের অবরোধ দেয় পরে তাদেরকে মদীনা হতে বের করে দেওয়া হয়।
তারিক বিন জিয়াদ- স্পেনের রাজা রডারিক, সে জুলিয়ান নামক এক খ্রিষ্টান ব্যক্তির কন্যাকে ধর্ষণ করে। জুলিয়ান মুসলিমদের গভর্নর মুসাইব বিন নুসাইরের কাছে যান, প্রথমে ধর্ষণের কথা গোপন রেখে বিভিন্ন লোভ দেখিয়ে স্পেন আক্রমণ করতে বলেন। তাতে রাজি না হলে তিনি নিজ মেয়ের নির্যাতনের কথা বলে কেঁদে ফেলেন। এরপর মুসাইব তার সেনাপতি তারিক বিন জিয়াদকে স্পেন অভিযানে পাঠান। তারিক মোট ১২০০০ সৈন্য নিয়ে রডারিকের ১ লক্ষ সৈন্যের মোকাবিলায় নামলেন। তারিক বিন জিয়াদ তার সমস্ত জাহাজ পুড়িয়ে ফেলেন যেন তার সৈন্যরা ফিরে যেতে না পারে। এরপর তারিক বক্তব্য দেন- “হে আমার সৈন্যদল, কোথায় পালাবে তোমরা? তোমাদের পিছে সাগর, সামনে শত্রু। যদি তোমরা মৃত্যুকে তুচ্ছ করে যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড় তাহলে বিজয় সুনিশ্চিত। ভেবোনা আমি তোমাদের বিপদের মুখে রেখে পালিয়ে যাব। আমি সবার সামনে থাকবো আমার বাচার সম্ভাবনা অতি ক্ষীন।” তারিক বিন জিয়াদের নেতৃত্বে মুসলিমরা স্পেন বিজয় করে এবং ৭০০ বছর শাসন করে। পূর্বের মুসলিমরা ইসলাম প্রতিষ্ঠা ও বিধর্মী নারীদের বিচার প্রতিষ্ঠার জন্যও শহীদ হতেন আর এখন এদেশে মুসলিম ভাইদের হাতে বোনেরা নির্যাতিত হচ্ছে। যে সমাজে কন্যাশিশুকে জীবন্ত পুতে পেলত, রাসুলের (সা:) দ্বীনের দাওয়াতের ফলে সেই সমাজের সাহাবীরা নারীর ইজ্জত রক্ষার্থে জীবন বিলিয়ে দিতে প্রস্তুত ছিলেন। স্বয়ং রাসুল (সা:) যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়েছেন, নেতৃত্ব দিয়েছেন যখন তার বয়স ৫৫ এর উপরে। সাহাবীদের যুগে, তারিক বিন জিয়াদ, সালাউদ্দিন আইয়ুবীদের সময় মুসলিমদের সংখ্যা কম ছিল তবু তারা বিজয়ী ছিল কারণ তাদের ঈমান পরিপূর্ণ ছিল। অথচ এখন মুসলিমের সংখ্যা বেশি অথচ কয়টা ধর্ষণের বিচার হয়? আর এদেশে লাখো টাকায় ওয়াজ করা বক্তা লাখো ভক্ত নিয়ে গর্ব করে অথচ কোলের শিশুও ধর্ষিত হয়। কয়জন ধর্ষকের বাড়ি ঘেরাও, বিচারের দাবি করেছে উক্ত আলেম ও তার ভক্তরা? স্বয়ং রাসুল (সা:), সাহাবীরা বয়স্ক অবস্হায় জেহাদ করেছেন। তারা অল্পই খেতেন ও অতি দারিদ্র্য জীবন কাটিয়েছেন। আর বর্তমানে আপনার প্রিয় বক্তাদের দিকে তাকিয়ে দেখুন ওদের খাওয়া, বিলাসী পোষাক ফিটনেসবিহীন শরীর বলে দেয় ওরা জেহাদের নেতৃত্ব তো দূরে থাক দশমিনিট দৌড়ার ক্ষমতা নেই। রাসুলুল্লাহ (সা) বলেন- “যে ব্যক্তি জেহাদ না করে বা জেহাদের ইচ্ছে পোষন না করে মারা গেল সেই মুনাফিক অবস্হায় মরল।” (মুসলিম, অধ্যায়-৩৩, আবু দাউদ- কিতাবুল জেহাদ অধ্যায়- হাদীস নং-২৫০২)। এদের যদি জেহাদের ইচ্ছে থাকত তাহলে জেহাদের প্রস্তুতি নিত, নূন্যতম জেহাদের সঠিক ওয়াজটুকু করত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *