দেশদ্রোহিতা ও ইসলাম

দীর্ঘদিন ক্ষমতায় টিকে থাকা যদি সফলতা হয় তাহলে নমরুদ, ফেরাউনরাও সফল ছিলেন। জালেম শাসকের কুফর, শিরক ও নিয়মনীতির বিরোধীতা করা যদি দেশদ্রোহিতা হয় তাহলে নবীরা দেশদ্রোহী ছিলেন। মুসা (আ:) ফেরাউন, ইব্রাহীম (আ:) নমরুদ, সালেহ (আ:), লূত(আ:) সহ নবীরা তাদের তৎকালীন শাসক, দেশীয় কুফরী সংস্কৃতি, নিয়মনীতি ও আইনের বিরোধিতা করেছিলেন। আবার রাষ্ট্র যখন কুরআনের আইন অনুযায়ী চলে তা মানা ফরজ, তার বিরোধীতা ইসলামদ্রোহীতা। যদি কারো কারাবান্দী হওয়া বা বেশিরভাগ মানুষের দৃষ্টিতে খারাপ হওয়া অপরাধী হওয়ার প্রমাণ হয় তাহলে ইউসুফ (আ:) অপরাধী ছিলেন। আর মরিয়ম (আ:) এর বিরুদ্ধে সবচেয়ে বেশি অপবাদ দেওয়া হয় অথচ স্বয়ং আল্লাহ তাদের শ্রেষ্ঠতম ঘোষনা করেছেন। জনপ্রিয়তা, শক্তি, ক্ষমতা এগুলো যদি কাউকে শ্রেষ্ঠত্ব দেয় তাহলে দাজ্জাল ও ইয়াজুজ-মাজুজ শ্রেষ্ঠ। ইয়াজুজ-মাজুজ যাদের শক্তি ও সংখ্যা বেশি হবে আর যাদের অধিকাংশ জাহান্নামের বাসিন্দা হবে। অথচ এদের সাথে কেউ লড়াই করতে পারবে না, আল্লাহই তাদের মহামারি দিয়ে হত্যা করবেন। শুধু সম্পদই যদি কোন ব্যক্তিকে মর্যাদাবান করে তাহলে কারুনও সম্মানের অধিকারী ছিল, আর রসুল (সাঃ) ও সাহাবীরা ছিলেন অতি দারিদ্র্য। তাই অন্যের সমালোচনার পরোয়া না করে নিজের চরিত্রকে কুরআনের আলোকে বিচার করুন তাহলে বুঝবেন আল্লাহর দৃষ্টিতে আপনি সফল না ক্ষতিগ্রস্হ। কুরআনে সব চরিত্রের মানুষের বর্ননা রয়েছে, যেমনঃ সিদ্দিক, মুমিন, শহীদ, মুসলিম, পাপী মুসলিম, মুনাফিক, কাফের, মুশরিক, প্রবৃত্তি পূজারী ইত্যাদি। আসলে প্রকৃত সফলতা হল তাকওয়া ও আল্লাহ যাকে ভালোবাসেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *