রোগীকে টেনশনমুক্ত থাকতে বলা ডাক্তার রোজ ডিপ্রেশনের ঔষধ খায়। ধৈর্য্য ধরতে বলা লোকটাকে দেখলাম সহজে রেগে যেতে। চোর, দুর্নীতি বিরোধী কথা বলা আমলা, মন্ত্রীরা যে সবচেয়ে বড় দুর্নীতিবাজ। কত ওয়াজে শুনি মধুর বয়ান মিতব্যয়ীতা ও দানের বরকত অথচ তাদের খাবারের বিলীসিতা বিস্ময়কর!! তার উপর চলে দিনে কতবার পান-জর্দা চিবানো। অবৈধ প্রেমকে পবিত্র বলা তরুন-তরুনী নিজের পছন্দনীয় ব্যক্তির প্রশংসায় আবেগ প্লাবিত হয়, কিছুদিন পর সম্পর্কের অবনতিতে গীবত ও নিন্দার ইতিহাস রচনা করে। কাউকে সাহায্য বা উপকার করলে আগে মানুষ কৃতজ্ঞতা জানাত এখন আরও বেশি দাবি করে। সুদ, ঘুষ, হারাম টাকায় গাড়ি-বাড়ি করা লোকটা সম্মান পায় আর হালাল আয় করা পাঁচ ওয়াক্ত সালাত পড়া গরীব রিকশাচালক কত অবহেলিত!! তার দিনশেষে অল্প আয় হতে ১০ টাকার মসজিদে দানটুকু কারোও প্রশাংসা পায় না অথচ চাদাবাজি, টেন্ডারবাজি, তাগুতের গোলামি করা লোকটা এখন হাজী সাহেব নাম নিয়ে মসজিদ কমিটির সভাপতি, তার কথামত ঈমামকে চলতে হয়। আজব সমাজ!! সব আজব নীতি!! যে গান শুনতে চায় না তবু তাকে শুনতে হয় হারাম গান, অথচ যে কুরআনের তেলাওয়াত/ জ্ঞান অর্জন করতে চায় তার জন্য কত অনুমতির প্রয়োজন হয়। ৫ হাজার টাকা দিয়ে গৃহশিক্ষক রেখে বাংলা, ইংরেজি শিখাতে রাজি অভিভাবক আর ৫০০ টাকা দিয়ে কুরআনের তাফসীর কিনতে কতবার চিন্তা করে।হঠাৎ ইচ্ছে হল চুলের কত বিজাতীয় স্টাইল করেন বা ন্যাড়া হন অনেকে বাহবা দিবে আর হঠাৎ দাড়ি রাখলে নামধারী মুসলিমরাই উপহাস করে। যৌবনে নাচ-গান, খেলাধুলা নিয়ে মত্ত থাকেন মিডিয়াসহ অনেকে আধুনিক ভাববে, কিন্তু যৌবনে ইসলাম নিয়ে গবষেণা করেন মিডিয়াসহ অনেকে জঙ্গি ভাবতে শুরু করবে।