ইয়ারমুকে যুদ্ধ চলছে রোমানদের সাথে। তবু খালিদ বিন ওয়ালিদের সাথে রোমান বাহিনীর জারজাহ নামে এক কমান্ডার কথা বলতে এল। তিনি তাকে অনুমতি দিলেন। জারজাহ বললোঃ খালিদ, আমাকে একটি সত্যি কথা বলুন, মিথ্যা বলবেন না। আল্লাহ কি আকাশ হতে আপনাদের নবীকে কোন তরবারি দিয়েছেন। যার দ্বারা আপনি বিজয়ী আর শত্রুরা পরাজিত হচ্ছে। খালিদ বিন ওয়ালিদ বললেন – না।জারজাহর সাথে খালিদের কিছুক্ষণ কথা হল যার সারসংক্ষেপ হল খালিদ (রাঃ) বলেন- আল্লাহ আমাদের মাঝে রসুল পাঠালেন। কেউ মানলো, কেউ মানলো না। শেষোক্ত দলে আমি। পরে আল্লাহ আমার অন্তর ঘুরিয়ে দেন। আমি রসুলের হাতে ঈমান এনে বায়াত নিলাম। তিনি আমার জন্য দোয়া করেন, তিনি আমাকে আল্লাহর তরবারি ঘোষণা করেন। জারজাহ বলল- তিনি কিসের আহ্বান করেন? খালিদ বলল- আল্লাহর একত্ব ও ইসলামের দিকে। জারজাহ বলল- আজ যে ব্যক্তি ইসলামে প্রবেশ করবে সে কি তোমাদের মত সওয়াব ও প্রতিদান পাবে। খালিদ (রাঃ) বলেন- এরচেয়ে বেশি পাবে। এরপর সে খালিদ (রাঃ) এর নিকট ইসলাম গ্রহণ করে দু রাকাত সালাত পড়ে নিজ জাতি রোমানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে শহীদ হন। এটাই ইসলামের সৌন্দর্য্য, জেহাদের ময়দানেও দাওয়াত দিত সুযোগ থাকলে। আর ইসলাম মানলে চিরশত্রুও বন্ধু হয়ে যায়। আজ হাজারো পুলিশ, সেনাবাহিনী, বিজিবি প্রশাসনের লোকেরা জানে না তাওহীদ কি, তাগুত কি!? জানে না কুফর কি, শিরক কি! জানে না কি করলে ঈমান ভেঙ্গে যায়?! এর কারণ অধিকাংশ আলেমরা দীর্ঘদিন সত্য চেপে রেখেছে। আজও ওদের সন্তানের কুরআন শিখার দায়িত্ব আপনাদের কাছে দেয়। ওদের স্বজনের জানাজা ও বিবাহ আপনারাই পড়ান। বিপদে, দুঃখে আপনাদের কাছে দোয়া চায়। ওদের ভালোবাসা, বিশ্বাস ইসলাম ও আপনাদের প্রতি আছে তাই। আপনারা সুস্পষ্ট করে ঈমান ও কুফর কি জানান, তাওহীদ ও তাগুত, আল ওয়ালা ওয়াল বারা, আহলে বায়াত ও খেলাফত কি জানান। ইনশাআল্লাহ, যারা আজ সামান্য চাকরির জন্য আপনাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ধরছে তাদের অনেকে হেদায়েত প্রাপ্ত হয়ে আপনাদের পাশে দাড়াবে।