রসুলুল্লাহ (সাঃ) মদিনায় হিজরতের পর দুটি উৎসব উদযাপন বন্ধ করেন। একটি হল নওরোজ বা বছরের প্রথম দিন, অন্যটির নাম ছিল মিহিরজান (বায়হাকী, খন্ড -২)। এই উৎসবের বিপরীতে মুসলিমদের আনন্দ উৎসব নির্ধারিত হয় দুই ঈদে। রসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন- “যে ব্যক্তি কোন সম্প্রদায়ের সাদৃশ্য অবলম্বন করলো সে তাদের অন্তর্ভুক্ত।” (আহমদ, আবু দাউদ, মিশকাতঃ ৪৩৪৭)। যারা থার্টি ফাস্ট মানছে তারা মনের অজান্তে শিরকী উৎসবে জড়াচ্ছে। রসুল ও সাহাবীরা কখনও মহররম মাসে নববর্ষ উৎসব পালন করেননি, সেখানে আমরা কাফেরদের নববর্ষ উদযাপন ও শিরকী নামের বছরকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। খ্রিস্টপূর্ব ৪৬ সালে জুলিয়াস সিজার ইংরেজি নববর্ষ প্রচলন করেন। তারপর পহেলা জানুয়ারি নববর্ষের দিন হিসেবে নির্দিষ্ট হয় ১৫৮২ সালে গ্রেগরিয়ান পঞ্জিকা অনুসারে। মূল ব্যাপার হল আরবি মাস ছাড়া সব মাসের নাম মূলত শিরকী দেব-দেবীর নামে। যেমন- জানুয়ারি নামকরণ হয় জানুস হতে, যিনি রোমান দেবতা। তাদের বিশ্বাস অনুযায়ী জানুসকে বলা হয় গড অফ ডোরস (কোনকিছু শুরু করার দরজা)। বিভিন্ন জাদুঘরে এই দেবতার দুদিকে দুটো মুখবিশিষ্ট মূর্তি আজও আছে। ওদের বিশ্বাস ছিল উনি ভূত ও ভবিষ্যৎ দুটোই দেখতে পেতেন। তাই মনে করা হয় আগের বছরের শেষ আর নতুন বছরের শুরুর দিকে ঘোরানো তার দুই মুখ। জানুসের নামে তারা বিভিন্ন উৎসব, পূজা করত। ১৫৩ খ্রীস্টপূর্বাব্দ থেকে জানুয়ারির প্রথম দিনে প্রধান বিচারপতিরা তাদের কার্যালয়ে কাজ শুরু করতেন জানুসের প্রার্থনার মাধ্যমে। যেকোন শুভকাজের শুরতে তারা জানুসকে স্মরণ করত ও পূজা করত। বর্তমান থার্টি ফাস্ট নাইট আর কিছু নয় জানুসকে (জানুয়ারি) স্বাগত জানাবার আধুনিক রূপ। আসলে আমরা নিজেদের যতটা ডিজিটাল ভাবি, শয়তান তারচেয়ে বেশি ডিজিটাল ফেতনা নিয়ে আমাদের সমানে হাজির হয়।