জিন ও শয়তান পর্ব-৩ (শয়তানের তথ্য চুরি ও মিথ্যার মিশ্রণ)

জ্বিনরা সাপের ছদ্মবেশে বেশি থাকে। “সাপ হল জ্বিনের বিকৃত আকৃতি। যেমন বানী ইস্রাঈল থেকে বানর ও শূকর পরিবর্তিত হয়েছিল। (তাবারানী, সিলসিলা আহাদীসুস সহীহা মাশা হা/১৮২৪)।

উক্ত হাদীসের অর্থ এই নয় যে, বর্তমানের সকল সাপ জ্বিনের বিকৃত রূপ। এর অর্থ হল, জ্বিন জাতির ভিতরে আকৃতি-বিকৃতির ঘটনা ঘটেছে। আর সে আকৃতি ছিল সাপের। যেমন বানী ইস্রাঈলের ভিতরে ঘটেছিল এবং তাদেরকে বানর ও শূকরে পরিণত করা হয়েছিল। তবে সেই বিকৃত জ্বিন ও বানী ইস্রাঈলের কোন বংশধর বেঁচে নেই।

● যেহেতু হাদীসে এসেছে, নবী (সা) বলেছেন,
“নিশ্চয় মহান আল্লাহ বিকৃত প্রাণীর কোন বংশধর বা উত্তরসূরি করেননি। তার পূর্বেও বানর ও শূকর বর্তমান ছিল। (আহমাদ, মুসলিম মাশা হা/৬৯৪১)।
“অবশ্যই মদীনায় কিছু জ্বিন আছে, যারা মুসলমান হয়েছে। সুতরাং তাদের কাউকে (সর্পাকারে) দেখলে তাকে তিন দিন সতর্ক কর। অতঃপর উচিত মনে হলে তাকে হত্যা কর। কারণ সে শয়তান।”

● মদীনার এক যুবক সাহাবী তাড়াহুড়া করে বাড়ির একটি সাপ মারার ফলে তিনিও মৃত্যুর শিকার হয়েছিলেন। একদা আবুস সায়েব আবূ সাঈদ খুদরী (রা) এর নিকট তাঁর বাড়িতে গেলেন। দেখলেন, তিনি স্বলাত পড়ছেন। তিনি বলেন, আমি তাঁর স্বলাত শেষ হওয়ার অপেক্ষা করতে লাগলাম। ইত্যবসরে বাড়ির এক প্রান্তে (ছাদে লাগানো) খেজুর কাদির ডালগুলিতে কিছু নড়া-সরা করার শব্দ শুনতে পেলাম। দৃষ্টি ফিরিয়ে দেখি, একটি সাপ। আমি লাফিয়ে উঠে তা মারতে উদ্যত হলাম। কিন্তু তিনি আমাকে ইশারা করে বললেন, ‘বসে যাও।’ সুতরাং আমি বসে গেলাম। অতঃপর স্বলাত শেষ হলে তিনি আমাকে বাড়ির ভিতরে একটা ঘর দেখিয়ে বললেন, ‘এ ঘরটা দেখছ?’ আমি বললাম, ‘জী।’ তিনি বললেন, ‘এ ঘরে আমাদেরই একজন নব্য বিবাহিত যুবক ছিল। আমরা রসূলুল্লাহ (সা) এর সাথে খন্দকের প্রতি বের হয়েছিলাম। সেই যুবক দুপুরে রসূলুল্লাহ (সা) এর নিকট অনুমতি নিয়ে নিজ বাসায় ফিরত। সে একদিন তাঁর নিকট অনুমতি নিল। তিনি বললেন, “তুমি তোমার অস্ত্র সঙ্গে নাও। তোমার প্রতি কুরাইযার আশঙ্কা হয়।”

সুতরাং সে নিজ অস্ত্র নিয়ে বাসায় ফিরল। দেখল তার (নতুন) বউ দরজার দুই চৌকাঠের মাঝে দাঁড়িয়ে আছে। সে ঈর্ষান্বিত হয়ে বর্শা তুলে তাকে আঘাত করত উদ্যত হল! তার স্ত্রী তাকে বলল, ‘আপনি আপনার বর্শা নিবারণ করুন। বাসায় প্রবেশ করুন, তাহলে দেখতে পাবেন, কে আমাকে বের করেছে?

সুতরাং সে বাসায় প্রবেশ করে দেখল, একটি বৃহদাকার সাপ বিছানায় কুন্ডলী পাকিয়ে বসে আছে! অতএব সে বর্শা দিয়ে আঘাত করে তাকে গেঁথে ফেলল। অতঃপর কক্ষ থেকে বের হয়ে বাড়ির (মাটিতে) বর্শাটিকে গেড়ে দিল। তৎক্ষণাৎ সাপটি ছট্‌ফট্ করে লাফিয়ে উঠে তার উপর হামলা করল অতঃপর জানা গেল না যে, কে আগে সত্বর মারা গেল; সাপটি, নাকি যুবকটি?

আমরা রসূলুল্লাহ (সা) এর নিকট গিয়ে এ ঘটনা বর্ণনা করলাম এবং বললাম, ‘আপনি আল্লাহর কাছে দু’আ করুন, যাতে তিনি ওকে বাঁচিয়ে তোলেন।’ তিনি বললেন, “তোমরা তোমাদের সঙ্গীর জন্য ক্ষমা প্রার্থনা কর।” অতঃপর বললেন, “অবশ্যই মদীনায় কিছু জ্বিন আছে, যারা মুসলমান হয়েছে। সুতরাং তাদের কাউকে (সর্পাকারে) দেখলে তাকে তিন দিন সতর্ক কর। অতঃপর উচিত মনে হলে তাকে হত্যা কর। কারণ সে শয়তান। (মুসলিম)।

সাপ মারার বিধান

● ইসহাক ইবনু মানসুর (রহঃ) … নাফি (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আবদুল্লাহ ইবনু উমার (রাঃ) একদিন তাঁর একটি ভেঙ্গে ফেলা দেয়ালের কাছে একটি সাপের খোলস দেখতে পেয়ে বললেন, একে খুজে বের করে মেরে ফেল। আবূ লুবাবা আনসারী (রাঃ) বললেন, আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছি যে, সে সব সাপ মেরে ফেলতে নিষেধ করেছেন যেগুলি বাড়ি-ঘরে থাকে; তবে লেজকাটা ও পিঠে দুটি সাদা রেখা বিশিষ্ট সাপ (মেরে ফেলতে বলেছেন)। কেননা এ দুটি এমন, যারা দৃষ্টিশক্তি ঝলসিয়ে দেয় এবং মহিলাদের গর্ভপাত ঘটায়। ( ইফা, সহীহ মুসলিমঃ ৫৬৩৮)।
আলেমদের মতে লেজকাটা সাপ দুষ্ট জ্বিন।

তথ্য চুরি ও ফেতনা ছড়ানো

জ্বিনেরা মহাকাশে ঊর্ধে আরোহণ করে আসমানী খবর চুরিছুপে শুনতে চায়। যাতে তারা ঘটনাঘটন ঘটার পূর্বেই জানতে পারে। কিন্তু সর্বশেষ নবী প্রেরিত হওয়ার পর মহাকাশের নিরাপত্তা সুদৃঢ় করা হয়। তাদের বিশ্বাসী এক দলের কথা,

“আমরা আকাশ পর্যবেক্ষণ করে দেখেছি, কঠোর প্রহরী ও উল্কাপিন্ড দ্বারা তা পরিপূর্ণ। আর পূর্বে আমরা আকাশের বিভিন্ন ঘাঁটিতে (সংবাদ) শুনবার জন্য বসতাম, কিন্তু এখন কেউ (সংবাদ) শুনতে চাইলে, সে তার উপর নিক্ষেপের জন্য প্রস্তুত জ্বলন্ত উল্কাপিন্ডের সম্মুখীন হয়।”

সূরা জিনঃ ৮-৯

আল্লাহ তাআলা যখন আসমানে পৃথিবীর কোন ঘটনার ফায়সালা করেন, ফিরিশতারা সে কথা শুনেন যেন পাথরের উপর শিকল পড়ার শব্দ। তাতে তাঁরা ঘাবড়ে যান বা মূর্ছিত হন। তাঁদের ঘাবড়ানি বা মূর্ছা দূর হলে একে অপরকে প্রশ্ন করেন, ‘আল্লাহ কী বললেন বা কী ফায়সালা করলেন?’ বলেন, ‘সত্য।’ ফিরিশতাগণের আপোসের আলোচনায় নিম্ন আসমানের ফিরিশতামন্ডলীও শামিল হন। তার কিছু চুরি-ছুপে শয়তান জ্বিন শুনে নেয় এবং তারাও একে অপরকে আপোসের মধ্যে জানিয়ে থাকে। আকাশের ধারে পাশে শুনতে গেলে উল্কা ছুটে এসে বাধা দেয়। আল্লাহ পাক আকাশকে অবাধ্য শয়তান হতে হিফাযতে রেখেছেন। ফলে সে ঊর্ধ্ব জগতের কিছু শ্রবণ করতে পারে না।

কিছু শয়তান সেই খবর পৃথিবীতে তাদের সহচর গণকদের মনে পৌঁছে দেয়। গণকরা তাদের অনুমান ও ধারণার আরো শত মিথ্যা জুড়ে বিশদভাবে প্রচার করে। ফলে যা সত্য তা সত্য ঘটে, কিছু আন্দাজও সঠিক হয়ে যায় এবং অধিকতরই মিথ্যা ও অবাস্তব। মহান আল্লাহ বলেছেন,

“আকাশে আমি গ্রহ-নক্ষত্র সৃষ্টি করেছি এবং ওকে করেছি দর্শকদের জন্য সুশোভিত। প্রত্যেক বিতাড়িত শয়তান হতে আমি ওকে নিরাপদ রেখেছি। আর কেউ চুরি করে সংবাদ শুনতে চাইলে ওর পশ্চাদ্ধাবন করে প্রদীপ্ত উল্কা।

সূরা সাফফাতঃ ৬-৮

উল্কাপাতের শরয়ী কারণ হল, আসমানী খবর চুরি করা থেকে শয়তান জ্বিনেদের বাধা দান করা। (বুখারী, সুরা আল হিজর)।
পূর্বে বলা হয়েছে জ্বিনরা সুলায়মান (আঃ) এট সময় ডুবুরির কাজ করত।

প্রকৃত কথা হল- জ্বিনদেরও আকাশ বাহিনী, জল বাহিনী, স্হল বাহিনী রয়েছে যারা বিভিন্ন স্হান হতে তথ্য চুরি করে গণকসহ তাদের অনুসারী মানব শয়তানদের দেয় ফেতনা সৃষ্টির জন্য। এ দুনিয়ার মানুষ দুই শ্রেণীরঃ রহমানের বন্ধুবান্ধব ও শয়তানের বন্ধুবান্ধব।

শয়তানের বন্ধুবান্ধব সকল শ্রেণীর কাফেররা। মহান আল্লাহ বলেছেন,

إِنَّا جَعَلْنَا الشَّيَاطِينَ أَوْلِيَاءَ لِلَّذِينَ لَا يُؤْمِنُونَ

“যারা বিশ্বাস করে না, শয়তানকে আমি তাদের অভিভাবক (বন্ধু) করেছি।”

সূরা আল আরাফ-৭:২৭

শয়তান তার সকল বন্ধুবান্ধবকে নিয়োজিত করেছে মু’মিনদেরকে নানা সন্দেহ ও সংশয়ে ফেলে ভ্রষ্ট করার জন্য। এ কথার সাক্ষ্য দিয়ে মহান আল্লাহ বলেছেন,

وَلَا تَأْكُلُوا مِمَّا لَمْ يُذْكَرِ اسْمُ اللَّهِ عَلَيْهِ وَإِنَّهُ لَفِسْقٌ ۗ وَإِنَّ الشَّيَاطِينَ لَيُوحُونَ إِلَىٰ أَوْلِيَائِهِمْ لِيُجَادِلُوكُمْ ۖ وَإِنْ أَطَعْتُمُوهُمْ إِنَّكُمْ لَمُشْرِكُونَ

“নিশ্চয় শয়তান তার বন্ধুদেরকে তোমাদের সাথে বিবাদ করতে প্ররোচনা দেয়। যদি তোমরা তাদের কথামতো চল, তাহলে অবশ্যই তোমরা মুশরিক (অংশীবাদী) হয়ে যাবে। “(সূরা আল আন’আম-৬:১২১)।

সূরা আল আন’আম-৬:১২১

বর্তমানে প্রাচ্যবিদ, প্রাচ্য ও প্রতীচ্যের বিভিন্ন অমুসলিম ও নাস্তিক লেখক-লেখিকারা মুসলিম ও ইসলামের বিরুদ্ধে এই শ্রেণীর সন্দেহ ও সংশয় সৃষ্টি করে তাদের সুপ্রিয় বন্ধুর সুন্দর খিদমত পেশ করছে। এ কথা সচেতন কোন মুসলিমের অবিদিত নয়।

শয়তান তার বন্ধুবান্ধবকে উৎসাহিত ও উত্তেজিত করে, যাতে তারা মু’মিনদেরকে মানসিক ও শারীরিক কষ্ট প্রদান করে। মহান আল্লাহ বলেছেন,

إِنَّمَا النَّجْوَىٰ مِنَ الشَّيْطَانِ لِيَحْزُنَ الَّذِينَ آمَنُوا وَلَيْسَ بِضَارِّهِمْ شَيْئًا إِلَّا بِإِذْنِ اللَّهِ ۚ وَعَلَى اللَّهِ فَلْيَتَوَكَّلِ الْمُؤْمِنُونَ

“এই গোপন পরামর্শ তো শয়তানেরই প্ররোচনা, যাতে বিশ্বাসীরা দুঃখ পায়। তবে আল্লাহর ইচ্ছা ব্যতীত শয়তান তাদের সামান্যতমও ক্ষতি সাধনে সক্ষম নয়। আর বিশ্বাসীদের কর্তব্য আল্লাহর উপরই নির্ভর করা।”

সূরা মুজাদালাহ:১০

তার বন্ধুবান্ধবদের গোপন পরামর্শ, গোপন বৈঠক ও সভা-সমাবেশ মুসলিমদেরকে চিন্তিত ও দুঃখিত করে। বরং সে চায় তার বন্ধুবান্ধবরা তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করুক। সুতরাং তাদেরকে মুসলিমদের বিরুদ্ধে লেলিয়ে দেয়। যুদ্ধ বাধিয়েও দেয়। মহান আল্লাহ বলেছেন,

اَلَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا یُقَاتِلُوۡنَ فِیۡ سَبِیۡلِ اللّٰهِ ۚ وَ الَّذِیۡنَ کَفَرُوۡا یُقَاتِلُوۡنَ فِیۡ سَبِیۡلِ الطَّاغُوۡتِ فَقَاتِلُوۡۤا اَوۡلِیَآءَ الشَّیۡطٰنِ ۚ اِنَّ کَیۡدَ الشَّیۡطٰنِ کَانَ ضَعِیۡفًا

“যারা বিশ্বাসী তারা আল্লাহর পথে যুদ্ধ করে এবং যারা অবিশ্বাসী তারা তাগূতের পথে যুদ্ধ করে। সুতরাং তোমরা শয়তানের বন্ধুদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ কর। নিশ্চয় শয়তানের কৌশল দুর্বল।”

সূরা নিসাঃ ৭৬

শয়তানের বড় ফেতনা হল শিরক ছড়ানো যাতে মানুষকে জাহান্নামে নেওয়া যায়। হযরত নূহ (আঃ) এর নবুয়তের দাওয়াতে মুষ্টিমেয় কয়েকজন লোক ছাড়া আর কেহই আল্লাহর উপর ঈমান আনলো না। বরং হযরত নূহ (আঃ) কে মিথ্যাবাদী বলল। আল্লাহ তুফান, বন্যার আযাব দিলেন। তারপর তুফানে সমস্ত পাপী মারা যায়।

এই তুফানে মূর্তিগুলি এক স্থান হতে অন্য স্থানে ভেসে গেল এবং পরিশেষে জেদ্দার তীরে এসে ঠেকল। পানি শুকিয়ে গেলে বালুর নিচে চাপা পড়ে গেল।

আমর ইবনে লুহাই নামক একজন কাহেন অর্থাৎ গণক ছিল। তার উপাধি ছিল আবু সামামা। একটি জিন তার মুয়াক্কেল ছিল। একদিন সেই জিন তাকে বলল— জেদ্দার তীরে যাও, সেখানে কয়েকটি মূর্তি পাবে। এগুলি সাথে করে নিয়ে আস। কাউকে ভয় না করে আরববাসীকে এগুলোর ইবাদত-বন্দেগী করতে বল।

এই নির্দেশমত আমর জেদ্দা যায় এবং জিনের নির্দেশমত ঐগুলি তালাশ করে নিয়ে আসে। এরপর সে কঠিন পীড়ায় আক্রান্ত হয়। জিন তাকে বলল—সিরিয়ার বালকা নামক স্থানে একটি উষ্ণ প্রস্রবণ আছে। এর পানিতে গোসল করলে তুমি সুস্থ হবে। পাপিষ্ঠ সেখানে গিয়ে উক্ত প্রস্রবণের পানি দ্বারা গোসল করে রোগমুক্ত হল (অবশ্যই আল্লাহর ইচ্ছায়)। সে দেখলো তথাকার লোক মূর্তিপূজা করতেছে।

সে তাদের নিকট হতে একটি প্রতিমা নিয়ে কাবার একপাশে স্থাপন করল। সবচেয়ে বড় প্রতিমার নাম ছিল ‘মানাত। আরবের সব লোক মূর্তিটিকে সম্মান করতো এবং তার নামে জীবজন্তু কুরবানী করতো। সকলের সম্মানিত উপাস্য থাকা সত্ত্বেও আউস ও খাযরাজ গোত্রদ্বয় ইহাকে অধিক সম্মান করিত। (ইবনে হিশাম, আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া)।

আজও দেখবেন বিভিন্ন ঝর্নার পাড়ে মূর্তি ও পূজা চলে। বর্তমানে বহু প্রন্ততাত্বিক নির্দশন অবিষ্কারের পিছনে জ্বিন-শয়তানের ভূমিকা আছে বলে অনেক আলেমের অভিমত। তারা তাদের অনুসারী মানুষদের তথ্য দিয়ে থাকে। যেহেতু ইবলিশ দীর্ঘদিন পৃথিবীতে রয়েছে বহু ইতিহাস সে জানে ও বহু জনপথের ধ্বংস সে দেখেছে।

কুরআনে উল্লেখ আছে – পূর্বজাতিকে শিরক ও মূর্তিপূজা, পাপাচারের কারণে ধ্বংস করা হয়েছে এবং আজ ঐতিহাসিক নিদর্শশনের নামে মূর্তিসহ বহু হারাম জিনিস সংরক্ষণ করা হচ্ছে। মানুষ পরিদর্শনে যাচ্ছে ও ছবি তুলছে, ওরা এসব নিদর্শন থেকে শিক্ষা না নিয়ে ওদের অবিষ্কার নিয়ে গর্ব ও বিস্ময়বোধ করছে।

জিন ও শয়তান সিরিজের সকল পোস্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *