গণতান্ত্রিক প্রতিরোধ ও জেরুজালেম বিজয়

আজ মুসলিম ভুলে গেছে কোনটা জেহাদ ও কোনটা গণতান্ত্রিক আন্দোলন। কারণ মানুষ ইসলামের জ্ঞান অর্জন করে মিডিয়া হতে, কুরআন হাদীস হতে নয়। সারাবিশ্বে মুসলিম নির্যাতন হলে দুধরনের চিত্র দেখা দেয়। একধরণের মুসলিম তাদের ক্যারিয়ার, সন্তান, সম্পদ সব ছেড়ে মুসলিমদের জন্য সশস্ত্র সংগ্রামে নামে তারা উপাধি পায় জঙ্গি, সাধারণ মুসলিমও তাই ভাবে। আরেক ধরণের মুসলিম শিশু, নারী নিয়ে রাস্তায় নেমে গণতান্ত্রিক আন্দোলন করে রক্তাক্ত হয়, গ্রেফতার হয়, মারা যায় তাদের উপাধি দেওয়া হয় শহীদ।মিডিয়া চায় মুসলিমরা এভাবে মরুক ফলে তারা প্রচার করে এভাবে বিজয় সম্ভব। বিশ্বের কোন ভূখণ্ড এভাবে মুক্ত হয়েছে কিনা আজ পর্যন্ত? এটা কি রসুলের সুন্নাহ, নাকি কাফেরদের দেখানো পথ? খন্দক যুদ্ধ ছিল রসুল ও সাহাবীদের জন্য সবচেয়ে বিপজ্জনক যেখানে সারাবিশ্বের কাফের শক্তি ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল অল্প কয়জন মুসলিমদের বিশ্ব হতে নিশ্চিহ্ন করে দিতে। তখনও রসুল (সাঃ) নারী ও শিশুদের নিরাপত্তার অবস্থা করে আসেন। যার উপর সালাতই ফরজ হয়নি তাকে বিপদে ঠেলে দেয় খুনীর সামনে। এই কোন জেহাদ করছে আজ মুসলিমরা? যে নারীর ইজ্জত রক্ষায় মুসলিম জীবন দিত, আজ নারীদের রাস্তায় নামিয়ে নাকি প্রতিরোধ গড়ে তুলছে। কোন জাল হাদীসেও কি এর স্বরুপ দলিল আছে? অথচ হাদীসে বিজয়ের পথ কিভাবে রচিত তা সুস্পষ্ট উল্লেখ আছে। হযরত আবদুল্লাহ ইবনে হারিস (রাঃ) হতে বর্নিত- রসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেন, “পূর্বদিক হতে কিছু লোক বের হয়ে আসবে, যারা ইমাম মাহদীর খেলাফত প্রতিষ্ঠায় সাহায্য করবে, এবং খেলাফত সহজ করে দিবে। (মুসলিম শরীফ- ২৮৯৬, সুনানে ইবনে মাজা- ৪০৮৮)। হাদীসে আরো আছে- যখন তোমরা দেখবে কালো পতাকাগুলো খোরাসানের দিক থেকে হতে এসেছে, তখন তাদের সাথে যুক্ত হয়ে যেও। কেননা তাদের মাঝে আল্লাহর খলিফা মাহাদী থাকবে। (মুসনাদে আহমদ ৫ খন্ড, ২৭৭ পৃ, মিশকাত)। এছাড়াও উল্লেখ আছে পূর্বদিকে একটি দল বের হবে যারা ২/৩ বার ইসলামী শাসন চাইবে কিন্তু তৎকালীন শাসকরা তা দিবে না। পরে তারা মাহাদীকে ক্ষমতা দিবে, তিনি বিশ্বে শান্তি ফিরিয়ে আনবেন।(আবু আমর আদ দাইনিঃ ৫৪৭)। রসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেন- যখন কালো পতাকাগুলো পূর্বদিক হতে বের হবে, তখন কোন বস্তু তাদের প্রতিহত করতে সক্ষম হবে না। এমনকি এই পতাকাকে ইলিয়ায় (বায়তুল আকসা) উত্তোলন করা হবে। (সুনানে তিরমজি ২২৬৮, মুসনাদে আহমদ ৮৭৬০)। রসুল (সাঃ) বলেছেন- একলোক মাআরউন্নাহর (উজবেকিস্তান, কাজাকিস্তান, তুর্কমেনিস্তান) হতে আসবে যাকে হারস হাররাস ডাকা হবে। তবে তার পূর্বে জৈনিক ব্যক্তি আসবেন। যার নাম হবে মানসুর, যে মুহাম্মদ (সাঃ) এর বংশের জন্য পথ সুগম করবে। যেমন কুরাইশ আল্লাহর রসুলকে ঠিকানা দান করেছিল, তার ডাকে সাড়া দেওয়া প্রত্যেক মুসলিমের কর্তব্য বলে বিবেচিত হবে। (আবু দাউদ ৪২৯০)। জেরুজালেম বহুবার মুসলিমদের হাত ছাড়া হয়েছিল। দাউদ (আঃ), খালিদ বিন ওয়ালিদ, সালাউদ্দীন আইয়ুবীরা যেভাবে এটাকে মুক্ত করেছেন ঠিক সেপথে হারস হাররাস, মনসুর ইয়ামেনী, শোয়েব বিন সালেহরা মুক্ত করবেন ইনশাআল্লাহ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *