তখনো জ্বলেনি রবি, হয় নি তখনো পূর্ন আলো। চাঁদেরও মায়া বদন নিয়ে ছুটছিল বালিকা পথশিশু কিছু খাবারের আশায়। ভয়ে ভয়ে তাকায় সে চারপাশে, পাড়ার কুকুরগুলো বড় যে পাগলাটে, রোজ খাবার নিয়ে উভয়ের যুদ্ধ যে চলে। হঠাৎ ডাস্টবিনের ধারে খুঁজে পায় সে একটা বোতল তরলে ভরা, দামী কোন পানীয় ভেবে গিলল সে তরল, নিমিষেই জ্বলে গেল তার কন্ঠনালী, ফুসফুস, অল্পসময়েই শেষ হল তার জীবন। এসিডের বোতল কে যেন ফেলে গেছে ডাষ্টবিনের কাছে। তারপর হয়েছে দুপুর, ডাষ্টবিনের পাশে মানুষের জটলা। পড়ে আছে পথশিশুর বেওয়ারিশ লাশটা, দাফন কি হবে তার!? মরেই বেঁচেছে শিশুটি টোকাই জীবনের অসহ্য যন্ত্রণা হতে। তারও যে বহু আগে মরে গেছে এ সমাজের মানুষের বিবেক। জানি তোমার শেষ নি:শ্বাসটুকুও অভিশাপ দিয়ে গেছে আমাদের। আমাদের কাছে যেটা নিকৃষ্ট ময়লা ফেলার জায়গা সেটা অনেকের কাছে দুই বেলা খাওয়া পাবার জায়গা। এমনিতে ওদের অধিকার প্রতিষ্ঠা না করায় কখন আযাব আসে বা কেয়ামতে প্রশ্নের উত্তর কি দিবো!! ভাবুন যখন আল্লাহ বলবেন- হে আদম সন্তান! আমি তোমার কাছে খাবার চেয়েছিলাম, তুমি আমাকে খাবার দাও নি। সে বলবে, হে প্রভু! আমি আপনাকে কিভাবে খাবার দেব, আপনি তো সারা জাহানের প্রভু? আল্লাহ বলবেন, তোমার কি জানা ছিল না যে, আমার অমুক বান্দা তোমার কাছে খাবার চেয়েছিল, কিন্তু তাকে তুমি খাবার দাও নি? তোমার কি জানা ছিল না যে, যদি তাকে খাবার দিতে, তাহলে অবশ্য তা আমার কাছে পেতে? (মুসলিম -২৫৬৯,আহমদ -৮৯৮৯)। একটু সতর্ক হোন বিষাক্ত ও ধারালো বস্তুগুলো ফেলার ব্যাপারে।