কোরআনে কেনো দাজ্জালের নাম আসে নি?

Image Editor Output Image179818015 1642026394724

দাজ্জাল মহাবিশ্বের বড় ফেতনা অথচ কুরআনে তার নাম আসেনি। এর অন্যতম কারণ দাজ্জালের ফেতনা নির্দিষ্ট সময়ের জন্য সবচেয়ে বড় ফেতনা হবে যখন সে বের হবে। আর শয়তানের ফেতনা সর্বযুগে রইবে। আর তাই কুরআনে বার বার শয়তান হতে সতর্ক করা হয়েছে। দাজ্জাল কোন মুমিনকে প্রতারিত করতে পারবে না, অথচ ইবলিশ আদম (আঃ) কে প্রতারিত করেছেন। দাজ্জালকে হত্যা করা যাবে অথচ কেয়ামত পর্যন্ত ইবলিশ জীবিত থাকবে। দাজ্জালের ষড়যন্ত্র ইবলিশের ষড়যন্ত্রের পূর্ণরূপ। দাজ্জালের হাতে জান্নাত ও জাহান্নাম থাকবে, তাকে অস্বীকার করলে আগুনে ফেলা হবে। ইবলিশ দুনিয়ার সুখকে জান্নাতের মত স্হায়ী ধারণা দেয় আর দুনিয়ার ক্ষতিকে জাহান্নামের মত ভয় দেখায়। আর ইবলিশের অনুসারীরা আসহাবে উখদুদ ও ইব্রাহিম (আঃ) কে আগুনে ফেলেছিল সমকালীন তাগুতকে অস্বীকার করায়।দাজ্জালের সময় দুর্ভিক্ষ হবে ফলে খাদ্য, সাহায্য ও ভয়ভীতি দেখিয়ে তাদের ধর্মান্তরিত করে দাজ্জালের অনুসারী বানানো হবে। বিভিন্ন দেশের শরণার্থী ও উপজাতিদের খাদ্য, সাহায্য ও ভয়ভীতি দেখিয়ে বর্তমানে কি ধর্মান্তরিত করা হচ্ছে না?!সুলাইমান (আঃ) এর বাহন ছিল, দাজ্জালকে আল্লাহ বাহন দিবেন মানুষকে পরীক্ষার জন্য। এখন গাধা উড়লে এটা আশ্চর্য না বিমান!? নূহ (আঃ) হতে শুরু করে সব নবী-রাসূল ও সাহাবীরা দাজ্জাল হতে সতর্ক করেছে যতবার তারচেয়ে বহুগুন বেশি শয়তান, তাৎকালীন জালেম শাসক ও শিরকের বিরোধিতা করেছেন। দাজ্জাল আসার পূর্বে শয়তান মুসলিমদের মনোবল ভাঙ্গার জন্য তার বের হওয়ার গুজব ছড়াবে। (মুসলিম,আল ফিতান)। একটা সময় যখন চেঙ্গিস খানের বাহিনী মুসলিমদের পরাজিত করে ভূখন্ডগুলো দখল করে তখন অনেক আলেমরা ফাতেয়া দেন ওরা ইয়াজুজ মাজুজ, যেহেতু ইয়াজুজ মাজুজের সাথে কেউ লড়াই করতে পারবে না, পালাতে হবে তাই লড়াই বন্ধ করে অনেকে পালালো, মুমিনরা লড়লো ও বিজয়ীও হল। তেমনি দাজ্জাল হতে পালাতে বলছে আর লড়াই করে তাকে পরাজিত করা যাবে না তাই এখন যদি এই ধারণা প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হয় এটাই দাজ্জালের ফেতনা তাহলে মুসলিমদের একটা সময় জেহাদবিমুখ করা যাবে। মূলত খলিফা মাহাদীও জানবেন না দাজ্জাল ঠিক কোন সময় (দিন, ঘন্টা) বের হবেন। আসলে দাজ্জাল যখন বের হবে শয়তান নিজে ও তার সঙ্গীরা (ক্বারিন, ইউফ্রেত্রিস, সোলাইমন (আঃ) সময় বন্দীকৃত জিনরা মুক্ত হয়ে, ও অন্যান্য জিন শয়তান) দাজ্জালের সাথে যোগ দিবে যাতে মানুষের উপর চরম ফেতনা সৃষ্টি করা যায়। এমনিতে শয়তান বড় ফেতনা তার উপর দাজ্জাল ও শয়তানের সম্মলিত বাহিনীর ফেতনা। তাই সেই সময় দাজ্জাল হবে বিশ্বের বড় ফেতনা। বর্তমানের ফেতনার কারিগর শয়তান, দাজ্জাল নয় যা সে বহুযুগ ধরে করে আসছে। মুমিনরা আজও তা মেকাবিলা ও লড়াই করে পরাজিত করতে পারবে অথচ দাজ্জাল হতে পালাতে বলা হয়েছে। ঈসা (আঃ) এর সময় অল্পকিছু মুমিন মুজাহিদ দাজ্জালের বাহিনীর উপর বিজয়ী হবে। দাজ্জালের সাথে সম্পর্ক শিরকের এখন বর্তমান শিরকী রাষ্ট্রনীতি, আলেম নির্যাতন বাদ দিয়ে দাজ্জাল নিয়ে আজগুবি কাহিনী বলে। রসুলের (সাঃ) সুন্নাহের অনুসরণ না করে শয়তানের কাজটাই সহজ করছে অনেক বক্তাই জনপ্রিয়তার জন্য।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *