বিশিষ্ট সাহাবী হযরত আবু মুসা আশআরী (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) কিয়ামতের পূর্বে বিশেষ কিছু হত্যার কথা আলোচনা করেছেন, এমনকি মানুষ তার প্রতিবেশি, ভাই এবং চাচাতো ভাইকেও হত্যা করবে।
এক পর্যায়ে সাহাবায়ে কেরাম জিজ্ঞাসা করেন, সেদিন কি আমাদের সাথে আমাদের জ্ঞান থাকবে? জবাবে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বললেন, সে যুগের অধিকাংশ লোকের জ্ঞান ছিনিয়ে নেয়া হবে। মানুষের মধ্যে নির্বোধ ও বোকারাই বাকি থাকবে। তারা নিজেদেরকে খুবই তুচ্ছ মনে করবে, আসলেই তারা অত্যন্ত তুচ্ছ হবে।
[আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ – ১১৫]
বর্তমানে মানুষ সম্পদসহ অন্যান্য কারণে প্রতিবেশী, আত্মীয়দের হত্যা করছে যা পূর্বের চেয়ে অনেক বেশি।
মুসলিম ইবনে আবু বাক্বা (র) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আমার পিতাকে বর্ণনা করতে শুনেছি, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: দাজলা (তাইগ্রিস) নদীর তীরবর্তী নিচু এলাকায় ‘বসরা নামক স্থানে আমার উম্মতের কতক লোক বসতি স্থাপন করবে। সেই নদীর উপরে সেতু থাকবে আর নাগরিকের সংখ্যা হবে প্রচুর। আর এটা হবে মুহাজিরদের শহরসমূহের একটি। শেষ যমানায় চওড়া মুখমণ্ডল ও ছোট চোখবিশিষ্ট ‘কানতূরা’ (পাশ্চাতৎবাদী) গোত্র সেই নদীর অববাহিকায় ঘাঁটি স্থাপন করবে এবং উক্ত শহরের বাসিন্দারা তিন দলে বিভক্ত হয়ে যাবে।
এক দল গরুর লেজ ধরে মরুভূমিতে যাবে এবং ধ্বংস হয়ে যাবে। দ্বিতীয় দল নিজেদের জন্য নিরাপদ স্থান খুঁজবে এবং কাফের হয়ে যাবে। তৃতীয় দল তাদের পিছনে পরিবার-পরিজন ও সন্তানাদি রেখে শত্রুবাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত হবে এবং শহীদ হবে। (আবু দাউদ, ৪৩০৬)।
অনেক আলেমের অভিমত- ঘটনাগুলো ঘটেছে,
অনেকে নিজেদের জীবন বাচাতে গিয়ে শরনার্থী শিবিরসহ বিভিন্নভাবে ঈমানহারা হচ্ছে।
মালহামা
হাসসান ইবনে আতিয়া (র) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, মাল ও ইবনে আবু যাকারিয়া (র) খালিদ ইবনে মা’দান-এর নিকট যেতে রওয়ানা হলে আমিও তাদের সাথে গেলাম। তারা জুবাইর ইবনে নুফাইরের সূত্রে আমাদের নিকট হাদীস বর্ণনা করলেন সন্ধি সম্পর্কে। তিনি বলেন, জুবাইর (র) বললেন, আপনি আমাদের সাথে নবী (সা)-এর সাহাবী যু-মিখবার (রা)-র কাছে চলুন।
অতএব আমরা তার নিকট উপস্থিত হলে জুবাইর (র) তাকে সন্ধি সম্পর্কে জিজ্ঞেস করেন। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সা)-কে বলতে শুনেছি: অচিরেই তোমরা রোমানদের সাথে সন্ধি স্থাপন করবে। অতঃপর তোমরা ও তারা একত্র হয়ে তোমাদের পশ্চাৎবর্তী একদল শত্রুর মোকাবিলা করবে। তোমরা তাতে বিজয়ী হবে, গনীমত লাভ করবে এবং নিরাপদে ফিরে আসবে। শেষে তোমরা টিলাযুক্ত একটি মাঠে যাত্রাবিরতি করবে।
অতঃপর খৃস্টানদের মধ্য থেকে এক ব্যক্তি ক্রুশ উপরে উত্তোলন করে বলবে, ক্রুশ বিজয়ী হয়েছে। এতে মুসলমানদের মধ্যকার এক ব্যক্তি উত্তেজিত হয়ে তাকে হত্যা করবে। তখন রোমানরা চুক্তি ভঙ্গ করবে এবং যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি নিবে। (আবু দাউদ, ৪২৯২)।
তার মানে বিশ্বে পশ্চাৎবর্তী (অনেক আলেমের মতে চীন, রাশিয়া) একদল বাহিনী শক্তিশালী হবে আর যাদের বিরুদ্ধে প্রথমে রুম (গ্রীস, তুরস্ক সহ বাইজানটাইন সাম্রাজ্যের দেশগুলো) লড়াই করতে হবে।