তুর্কি কুর্দিস্তান (ইংরেজি ভাষায়: Turkey Kurdistan; অর্থ “তুর্কি কুর্দিদের দেশ”), বলতে তুরস্কের দুটি প্রশাসনিক অঞ্চল পূর্ব আনাতোলিয়া ও পশ্চিম আনাতোলিয়া অঞ্চলদ্বয়কে বুঝায়। মধ্যপ্রাচ্যে অবস্থিত ভৌগোলিক ও সাংস্কৃতিকভাবে একতাবদ্ধ একটি অঞ্চল কুর্দিস্তানের তুরস্ক নিয়ন্ত্রাধীন অংশ। এখানকার সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণ কুর্দি জাতি যারা কুর্দি ভাষায় কথা বলে ও কুর্দি সংস্কৃতি লালন করে। মানচিত্রে এটির অবস্থান সেলজুক তুর্কি সুলতান সাঞ্জার সম্ভবত সর্বপ্রথম ১২শ শতকে কুর্দিস্তান নামটি সরকারীভাবে ব্যবহার করেন। তিনি সে সময় কুর্দিদের আবাসভূমি বিজয় করেছিলেন এবং কুর্দিস্তান নামের একটি প্রদেশ গঠন করেছিলেন। এর রাজধানী ছিল বাহার শহর, যা বর্তমান ইরানি হামাদান শহরের কাছেই অবস্থিত। আধুনিককালে কুর্দিস্তান চারভাগে বিভক্ত। তুর্কি কুর্দিস্তান ছাড়াও অপর তিনটি হচ্ছে ইরাকের উত্তরের কিছু অংশ (ইরাকী কুর্দিস্তান), দক্ষিণ-পশ্চিম ইরান (ইরানি কুর্দিস্তান) এবং উত্তর সিরিয়ার (সিরীয় কুর্দিস্তান)।ভৌগলিকভাবে কুর্দিস্তান অঞ্চলটি জগ্রোস পর্বতমালার উত্তর-পশ্চিম অংশ এবং তোরোস পর্বতমালার পূর্বাংশ নিয়ে গঠিত। আজারবাইজান ও আর্মেনিয়ার সামান্য কিছু এলাকাকেও কুর্দিস্তানের অন্তর্গত গণ্য করা হয়। ইরাকের কুর্দিস্তান সমৃদ্ধ রাজ্য আছে যারা ৭০ ভাগ তেল রপ্তানি করে ইসরায়েলের নিকট।
ইয়াজিদি (ভয়ংকর শত্রু)- না ইয়াজিদিদের সাথে ইয়াজিদ ইবনে মুয়াবিয়ার কোন সম্পর্ক নেই। ড্রুসদের সাথে ওদের অনেক মিল থাকলেও ওদের আকীদা আরও ভয়ংকর। ইয়াজিদিদের বেশিরভাগেরই বসবাস ইরাকে কুর্দিস্তানে এমনকি নাদিয়া মুরীদ নোবেল পুরস্কারকৃত তিনিও ওখানকার বাসিন্দা। ইয়াজিদিরা যদিও বলে ওরা কুরআন, বাইবেল মানে মূলত ওরা শয়তানপূজারী। ইয়াজিদিরা বিশ্বাস করে- স্রষ্টা পৃথিবী, আদম-হাওয়াকে সৃষ্টি করতে সাহায্য করার জন্য সাতজন ফেরেশতা সৃষ্টি করেন। এরপর সাতজন ফেরেশতাকে বলে আদমকে সিজদাহ দিতে, সবাই দিলেও একজন দিলো না, তাই স্রষ্টা তাকে ময়ূর বেশে পৃথিবীতে নির্বাসিত করলো, সে হল মালাইক আত- তাউস (ময়ূর ফেরেশতা)। পরবর্তীতে তাকে সকল ফেরেশতা ও মানুষের দায়িত্ব দেওয়া হলো। তাই তারা তার ও ময়ূরের পূজা করে। এছাড়া ওরা সূর্যের দিকে তাকিয়ে পূজা করে, দিনে ৫ বার মালাইকা বা শয়তানের পূজা করে। বাস্তবে ওরা যে মালাইক আত তাউসের কথা বলে সে হল ইবলিশ। তাদের যুক্তি ইবলিশ এজন্য সিজদাহ দেয়নি যে সিজদাহ পাওয়ার মালিক শুধু স্রষ্টা। ইয়াজিদিদের সর্বোচ্চ দেবতার নাম ইয়াজাদান। এরা দিনে ৫ বার মালিক তাউস বা ইবলিশের পূজা করে। ওদের মালিক তাউস যে ইবলিশ তা শুধু মুসলিম নয়, ইহুদি, খ্রিস্টানও একমত। কেন কুর্দী, ইয়াজিদিরা মিডিয়া আলোচনায় আসলো!? যখন সিরিয়া যুদ্ধে বাশারের বিদ্রোহী দলগুলো বিজয় লাভ করছিল, পশ্চিমা মিডিয়া তাদের পক্ষ নিয়েছিল কারণ তারা চেয়েছিল বাশারের পতন হলে রাশিয়া, ইরানের শক্তি কমে যাবে। কিন্তু বিদ্রোহীদের একটা দল ঘোষণা দিল তারা শুধু সিরিয়া নয় ফিলিস্তিনও মুক্ত করবে। তখন ইসরায়েলের জেনারেল বলল, যদি দামাস্কাসে ইসলাম প্রতিষ্ঠা হয় তাহলে ইসরায়েলের তখন পতন হবে। তখন মিডিয়ার ফাতওয়া বদলে গেল, বিদ্রোহীরা জঙ্গি হলো। সৌদি, কাতারসহ বহু আলেমদের ফাতওয়া বদলে গেল। ৭৯ দেশ জোটবদ্ধ হয়ে মুসলিমদের আক্রমণ করলো। আর দীর্ঘদিন হতে অবহেলিত কুর্দীদের অস্ত্র, সাহায্য দিয়ে হিরো করলো। তাদের ইরাক, সিরিয়া, তুরস্ক সীমানার মধ্যবর্তী রাষ্ট্র করার প্রতিশ্রুতি দিল যদিও তা বাস্তবায়ন করলো না। ইরাক, সিরিয়ায় (Sdf, ypg) ও তুরস্কের pkk সব কুর্দীদের শাখাগুলোকে সিরিয়ায় প্রতিষ্ঠিত করলো। ওদের সিরিয়ায় তিন বর্ডারের (ইরান, ইরাক, তুরস্ক) মধ্যবর্তী রাখা হলো। দীর্ঘদিন হতে pkk তুরস্কে স্বাধীন কুর্দী রাষ্ট্র দাবি করছিল, যা নিয়ে যুদ্ধ ও দ্বন্দ্ব চলছিল। অলরেডি তুরস্ক সিরিয়া ঢুকে কুর্দীদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছে। আসলে আমরা শেষ জমানার হাদীস গবেষণা না করলেও ওরা ঠিকই করে। ভবিষ্যতে ফিলিস্তিনে আক্রমণ হলেও ইরান, ইরাক, খোরাসান, তুরস্কের মুসলিমরা এখানে যেতে হলে কুর্দীদের সাথে যুদ্ধ করতে হবে। অপরদিকে যদি সিরিয়া, লেবানন কেউ ইসরায়েল অভিযানে যেতে চায় ড্রুসদের স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বপ্ন দেখাবে যারা সিরিয়া, লেবানন, ইসরায়েল সীমান্তে বসবাস করে এবং ভয়ংকর যোদ্ধা জাতি, তারা বাধা হয়ে দাড়াবে। ড্রুসরা অনেকে ইসরায়েল সেনাবাহিনীতে অংশগ্রহণ করেছে। এমনকি দুর্বল হাদীস অনুযায়ী – ইসলামের শত্রু সুফিয়ানী ইন্দর হতে আসবে যা ড্রুসদের এলাকা যা বর্তমান ইসরায়েলে। কমেন্টে একটা হাদীস আছে- যা বর্তমান পরিস্থিতির সাথে মিলে।