রাসুল (সা:) মানা করেছিলেন বিধর্মীদের রীতির অনুসরণ করতে। আজ বেশিরভাগ মুসলিমরা ওদের অনুসরণ করে চলছে।
বর্তমানে কোন আলেম মরলে যতটা না মুসলিমরা শোক করে তারচেয়ে বেশি শোক প্রকাশ করে তাদের প্রিয় তারকা, নেতার মৃত্যুতে যদিও সে নাস্তিক, পাপী হোক না কেন। আর অনেকে তাদের জন্য দোয়া করতে বলেন আর স্ট্যাটাস দেন RIP (Rest In Peace)। কিন্তু RIP লেখাটা বিধর্মীয় একটি রীতি আর মুসলিম দোয়া করবে রাসুলের (সা:) সুন্নাহ অনুযায়ী।
আল্লাহপাক কাফের, নাস্তিকদের জন্য দোয়া করতে নিষেধ করেছেন। রাসুলের (সা:) জীবনী হতে: বায়হাকীর হাদীস হতে- হযরত বুরয়াদা (রা:) বলেছেন- “একদিন রাসুল (সা:) একটি কবরের নিকট গিয়ে বসে পড়েন। দেখাদেখি লোকেরা তার পাশে বসে পড়ে। বসে রাসুল (সা:) মাথা নাড়তে নাড়তে কাঁদতে লাগল। উমর (রা:) তার নিকট এগিয়ে বলল আপনি কাঁদছেন ইয়া রাসুলুল্লাহ (সা:)? নবী করীম (সা:) বলেন- ‘এটি আমার মা আমেনা বিনতে ওহব এর কবর। আমার রব এর নিকট আমি তার এই কবরটি জিযারতের অনুমতি চাই, তিনি অনুমতি দেন, কিন্তু তার মাগফেরাতের আবেদন জানালে তিনি তাতে সম্মতি দিলেন না। মায়ের কথা ভেবে আমি কাঁদছি।'” (বিস্তারিতঃ আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া ২য় খন্ড, ৫১০পৃ)।
আল্লাহ পাক বলেন- “আত্মীয়-স্বজন হলেও মুশরিকের জন্য দোয়া প্রার্থনা করা নবী ও মুমিনদের জন্য সংগত নয় যখন একথা সুস্পষ্ট হয়ে গেছে তারা জাহান্নামি। ইব্রাহীম তার পিতার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেছিল, তাকে এর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল বলে। অতঃপর যখন তার নিকট সুস্পষ্ট হল সে আল্লাহর শত্রু তখন ইব্রাহিম তার সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করল। ইব্রাহীম (আ:) তো কোমল হৃদয় ও সহনশীল” (সুরা তাওবা -১১৩-১৪)।
আর আজ যেসব দেওয়ানবাগী, শিয়া ও আশেকে রাসুল (সা:) দাবীদাররা বাড়াবাড়ি করে বিভিন্ন কুফর, শিরক করছে আর জান্নাতের স্বপ্ন দেখছে তাদের স্বপ্ন মরিচিকা ছাড়া কিছুই নয়।
রাসুল (সা:)কে তার মা, তার চাচা আবুতালেব ও দাদা আবদুল মুত্তালিব আমৃত্যু ভালোবেসেছিল কিন্তু ঐ ভালোবাসা তাদের জাহান্নাম হতে মুক্তি দিতে পারে নি অথচ একসময় রাসুল (সা:) ও ইসলামের মহাশত্রু আবু সুফিয়ান (রা:) ও আবু জাহেলের সন্তান ইকরিমা (রা:) ঈমান আনে এবং আল্লাহর পথে মৃত্যুবরণ করে জান্নাতে নিজের ঠিকানা করে নেন। কারণ রাসুলের (সা:) মা, চাচা ও দাদা ব্যক্তি রাসুলকে (সা:) ভালোবাসতেন নিজেদের মত করে আর সাহাবীরা ভালোবাসছিলেন আল্লাহর জন্য এবং আল্লাহর নির্দেশনা অনুসরন করে। আসলে রাসুলকে (সা:) প্রকৃত ভালোবাসা হল তার সুন্নাহ অনুসরন করা।
হযরত আনাস (রা:) হতে বর্ণিত- “এক ব্যক্তি রাসুলকে (সা:) জিজ্ঞেস করল ইয়া রাসুল (সা:) বলুন তো আমার আব্বা কোথায়? নবী করীম (সা:) বললেন জাহান্নামে। একথা শুনে লোকটা ফিরে যেতে চাইলে রাসুল (সা:) বললেন তোমার পিতা ও আমার পিতা উভয়ই জাহান্নামী।” (মুসলিম-)।
বায়হাকির অপর হাদীসে রয়েছে- এক বেদুঈন নবীর (সা:) নিকট এসে বলল, আমার বাবা আত্মীয়-বৎসল ছিল, তার অমুক অমুক গুণ ছিল। এখন তিনি কোথায় আছেন, নবী(সা:) বললেন জাহান্নামে। একথা শুনে বেদুঈন অস্হির হয়ে পড়ে এবং বলে ইয়া রাসুল (সা:) আপনার পিতা কোথায়? নবী (সা:) বলল- তুমি যখন কোন কাফিরের কবর অতিক্রম করবে তাকে জাহান্নামের সংবাদ দিবে। বর্ণনাকারী বলেন- তারপর লোকটি মুসলিম হয়ে যায়।”
তারমানে প্রতিটি ভালো আমল বা কাজ মূল্যহীন যদি তা আল্লাহর পথ ও রাসুলের (সা:) সুন্নাহ অনুযায়ী না হয়।