কারবালার পথে পর্ব-১ (বায়াত ও আহলে বায়াত)

যুগ যুগ কারবালার আলোচনা হয় ও শেষ জমানার ওয়াজ করে অথচ বায়াত ও আহলে বায়াতের গুরুত্ব এড়িয়ে যায়।

জাবির ইবনু আবদিল্লাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে আমি তার বিদায় হজ্জে আরাফার দিন তার কাসওয়া নামক উষ্ট্রীতে আরোহিত অবস্থায় বক্তৃতা দিতে দেখেছি এবং তাকে বলতে শুনেছিঃ হে লোক সকল! নিশ্চয় তোমাদের মধ্যে আমি এমন জিনিস রেখে গেলাম, তোমরা তা ধারণ বা অনুসরণ করলে কখনও পথভ্রষ্ট হবে নাঃ আল্লাহ তা’আলার কিতাব (আল-কুরআন) এবং আমার ইতরাত অর্থাৎ আমার আহলে বাইত। (তিরমিজি-৩৭৮৬)।

রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন,

“আমার আহলে বাইতের জন্য আল্লাহ দুনিয়ার পরিবর্তে আখিরাতকে নির্বাচন করেছেন। আমার পরিবারের সদস্যরা আমার অবর্তমানে বিপদ, দেশান্তর ও অসহায়ত্বের শিকার হবে। এমনকি পূর্ব দিক থেকে এমন কিছু লোক আগমন করবে, যাদের পতাকা হবে কালো। তারা কল্যাণ (নেতৃত্ব) প্রার্থনা করবে; কিন্তু এরা (বনু হাশিম) দেবে না। অগত্যা তারা যুদ্ধ করবে ও জয়লাভ করবে। এবার তারা যা (নেতৃত্ব) প্রার্থনা করেছিল, (বনু হাশিম) তা প্রদান করবে। কিন্তু এবার তারা তা (নেতৃত্ব) গ্রহণ না করে আমার বংশের এক ব্যক্তি (ইমাম মাহদি) কে তা (নেতৃত্ব) ফিরিয়ে দিবে। সেই ব্যক্তি (ইমাম মাহদি) পৃথিবীটাকে ন্যায়নীতি দ্বারা এমনভাবে ভরে দিবে, যেমনটি পূর্বে তা অবিচারে পরিপূর্ণ ছিল। তোমাদের যে লোক সেই সময়টি পাবে, সে যেন উক্ত বাহিনীর সাথে যুক্ত হয়ে যায় বরফের উপর হামাগুড়ি দিয়ে গিয়ে হলেও”। (সুনানে ইবনে মাজা, খণ্ড ২, পৃষ্ঠা ১৩৬৬)

আর রসুলল্লাহ’(সা:) পরবর্তী কিছুবছর পর আহলে বায়াতের উপর অপবাদ ও নির্যাতন শুরু হয়েছিল। শিয়ারা বহু হাদীসের ভুল ব্যাখা ও আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত দাবিদাররা অনেক সহীহ হাদীস লুকিয়ে রেখেছে। বায়াত, আহলে বায়াত না জানলে কারবালা ও শেষ জমানা বুঝা সম্ভব না।

‘আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

নাবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কন্যা ফাতেমাহ (রাঃ) আবূ বাকর (রাঃ)-এর নিকট রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর পরিত্যক্ত সম্পত্তি মদিনা্ ও ফাদাক-এ অবস্থিত ফাই (বিনা যুদ্ধে প্রাপ্ত সম্পদ) এবং খাইবারের খুমুসের (পঞ্চমাংশ) অবশিষ্ট থেকে মিরাসী স্বত্ব চেয়ে পাঠালেন।

তখন আবূ বাকর (রাঃ) উত্তরে বললেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলে গেছেন, আমাদের (নাবীদের) কোন ওয়ারিশ হয় না, আমরা যা ছেড়ে যাব তা সদাকাহ হিসেবে গণ্য হবে। অবশ্য মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর বংশধরগণ এ সম্পত্তি থেকে ভরণ-পোষণ চালাতে পারবেন। আল্লাহর কসম! রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সদাকাহ তাঁর জীবদ্দশায় যে অবস্থায় ছিল আমি সে অবস্থা থেকে এতটুকুও পরিবর্তন করব না। এ ব্যাপারে তিনি যেভাবে ব্যবহার করে গেছেন আমিও ঠিক সেভাবেই ব্যবহার করব। এ কথা বলে আবূ বাকর (রাঃ) ফাতেমাহ (রাঃ)-কে এ সম্পদ থেকে কিছু দিতে অস্বীকার করলেন।

এতে ফাতিমাহ (রাঃ) (মানবোচিত কারণে) আবূ বাকর (রাঃ)-এর উপর নাখোশ হলেন এবং তাঁর থেকে সম্পর্কহীন থাকলেন। তাঁর মৃত্যু অবধি তিনি আবূ বাকর (রাঃ)-এর সঙ্গে কথা বলেননি। নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর পর তিনি ছয় মাস জীবিত ছিলেন।

তিনি ইন্তিকাল করলে তাঁর স্বামী ‘আলী (রাঃ) রাতের বেলা তাঁকে দাফন করেন। আবূ বাকর (রাঃ)-কেও এ খবর দিলেন না এবং তিনি তার জানাযার সালাত আদায় করে নেন।[১] ফাতেমাহ (রাঃ)-এর জীবিত অবস্থায় লোকজনের মনে ‘আলী (রাঃ)-এর মর্যাদা ছিল। ফাতিমাহ (রাঃ) ইন্তিকাল করলে ‘আলী (রাঃ) লোকজনের চেহারায় অসন্তুষ্টির চিহ্ন দেখতে পেলেন। তাই তিনি আবূ বাকর (রাঃ)-এর সঙ্গে সমঝোতা ও তাঁর কাছে বাইআতের ইচ্ছা করলেন।

এ ছয় মাসে তাঁর পক্ষে বাই‘আত গ্রহণের সুযোগ হয়নি। তাই তিনি আবূ বাকর (রাঃ)-এর কাছে লোক পাঠিয়ে জানালেন যে, আপনি আমার কাছে আসুন। (এটা জানতে পেরে) ‘উমার (রাঃ) বললেন, আল্লাহর কসম! আপনি একা একা তাঁর কাছে যাবেন না। আবূ বাকর (রাঃ) বললেন, তাঁরা আমার সঙ্গে খারাপ আচরণ করবে বলে তোমরা আশঙ্কা করছ? আল্লাহর কসম! আমি তাঁদের কাছে যাব। তারপর আবূ বাকর (রাঃ) তাঁদের কাছে গেলেন। ‘আলী (রাঃ) তাশাহুদ পাঠ করে বললেন, আমরা আপনার মর্যাদা এবং আল্লাহ আপনাকে যা কিছু দান করেছেন সে সম্পর্কে ওয়াকেবহাল। আর যে কল্যাণ (অর্থাৎ খিলাফাত) আল্লাহ আপনাকে দান করেছেন সে ব্যাপারেও আমরা আপনার উপর হিংসা পোষণ করি না।

তবে খিলাফাতের ব্যাপারে আপনি আমাদের উপর নিজস্ব মতামতের প্রাধান্য দিচ্ছেন অথচ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকটাত্মীয় হিসেবে খিলাফাতের কাজে আমাদেরও কিছু পরামর্শ দেয়ার অধিকার আছে।

এ কথায় আবূ বাকর (রাঃ)-এর চোখ থেকে অশ্রু উপচে পড়ল। এরপর তিনি যখন আলোচনা আরম্ভ করলেন তখন বললেন, সেই সত্তার কসম যাঁর হাতে আমার প্রাণ, আমার কাছে আমার নিকটাত্মীয় চেয়েও রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর আত্মীয়বর্গ অধিক প্রিয়। আর এ সম্পদগুলোতে আমার এবং আপনাদের মধ্যে যে মতবিরোধ হয়েছে সে ব্যাপারেও আমি কল্যাণকর পথ অনুসরণে পিছপা হইনি। বরং এ ক্ষেত্রেও আমি কোন কাজ পরিত্যাগ করিনি যা আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে করতে দেখেছি।

তারপর ‘আলী (রাঃ) আবূ বাকর (রাঃ)-কে বললেনঃ যুহরের পর আপনার হাতে বাই‘আত গ্রহণের ওয়াদা রইল। যুহরের সালাত আদায়ের পর আবূ বাকর (রাঃ) মিম্বারে বসে তাশাহুদ পাঠ করলেন, তারপর ‘আলী (রাঃ)-এর বর্তমান অবস্থা এবং বাই‘আত গ্রহণে তার দেরি করার কারণ ও তাঁর পেশকৃত আপত্তিগুলো তিনি বর্ণনা করলেন। এরপর ‘আলী (রাঃ) দাঁড়িয়ে আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে তাশাহুদ পাঠ করলেন এবং আবূ বাকর (রাঃ)-এর মর্যাদার কথা উল্লেখ করে বললেন, তিনি যা কিছু করেছেন তা আবূ বাকর (রাঃ)-এর প্রতি হিংসা কিংবা আল্লাহ প্রদত্ত তাঁর মর্যাদাকে অস্বীকার করার জন্য করেননি। (তিনি বলেন) তবে আমরা ভেবেছিলাম যে, এ ব্যাপারে আমাদেরও পরামর্শ দেয়ার অধিকার থাকবে। অথচ তিনি [আবূ বাকর (রাঃ)] আমাদের পরামর্শ ত্যাগ করে স্বাধীন মতের উপর রয়ে গেছেন। তাই আমরা মানসিক কষ্ট পেয়েছিলাম। মুসলিমগণ আনন্দিত হয়ে বললেন, আপনি ঠিকই করেছেন। এরপর ‘আলী (রাঃ) আমর বিল মা‘রূফ-এর পানে ফিরে আসার কারণে মুসলিমগণ আবার তাঁর নিকটবর্তী হতে শুরু করলেন। [৩০৯২, ৩০৯৩] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৯১৩, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৩৯১৭)

ফুটনোটঃ
[১] ফাতিমাহ (রাঃ) মৃত্যুর পূর্বে ওয়াসিয়াত করেন যে, তার মৃত্যু হলে যেন অনতিবিলম্বে দাফন করা হয়। লোকজন ডাকাডাকি করলে তাতে পর্দার ব্যাঘাত ঘটবে, সেজন্য ‘আলী (রাঃ) রাতের ভিতরেই সব কাজ সমাধা করেছেন।

সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৪২৪১
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
Source: আল হাদিস অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ, IRD

প্রথমমত- ফাতেমা (রা:) একটু মনে কষ্ট পায় এটা মানবিক স্বভাব –

কিন্তু আবুবকর (রা) এর বিচার সঠিক ছিল। রসুলল্লাহ’র (সা) মৃত্যুর পর আলী (রা) তার দাফন নিয়ে ব্যস্ত ছিল, অন্যদিকে খেলাফত প্রশ্নে বিভক্তির সম্ভাবনা দেখা দিয়েছিল তখন উমর (রা:) সহ পরস্পর আলোচনার (শুরা) ভিত্তিতে খেলাফতের দায়িত্ব আবুবকর (রা:) এর কাছে তুলে দেন তখন আলী (রা:)-কে জানানো সম্ভব ছিলো না। আর খলিফা নির্বাচনে দেরি হলে বিভক্তি ও মুসলিমদের শত্রুরা নেতাবিহীন উম্মাহর আক্রমণ করার সাহস পেত।

আর খেলাফতসহ মুসলিমদের প্রতিটি গুরুত্বপূর্ন সিদ্ধান্তে আহলে বায়াতের হক্ব, মর্যাদা জানিয়ে দিয়েছেন আলী (রা:) সবার সম্মুখে। আবুবকর (রা), উমর (রা) এর খেলাফতে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তে আলী (রা) এর সাথে পরামর্শ করতেন এবং উমর (রা) এর মৃত্যুর পূর্বে ঘোষিত কমিটির মধ্যে আলী (রা) ছিল একজন।

দেখুন- আলী (রা) ৬ মাস বায়াত নেন নি এছাড়া কিছু সাহাবী, আবুবকর (রা) ও উমর (রা) এর বায়াত নেওয়া হতে দূরে থাকেন, কিন্তু কখনো বিরোধিতা ও বিদ্রোহ করেননি ফলে খলিফারাও তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয় নি।

তার মানে বৈধ খলিফার বায়াত না নিলেও সমস্যা নাই কিন্তু বিদ্রোহ করা হারাম। আর ইয়াজিদ মজলিসে শুরা দ্বারা নিযুক্ত খলিফাই ছিলেন না।

সাফীনাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহ ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ নবুওয়্যাতের ভিত্তিতে পরিচালিত খিলাফত ত্রিশ বছর অব্যাহত থাকবে। অতঃপর আল্লাহর যাকে ইচ্ছা রাজত্ব বা তাঁর রাজত্ব দান করবেন। সাঈদ (রহঃ) বলেন, আমাকে সাফীনাহ (রাঃ) বলেছেন, হিসেব করো, আবূ বকর (রাঃ) দুই বছর, ‘উমার (রাঃ) দশ বছর, ‘উসমান (রাঃ) বারো বছর ও আলী (রাঃ) এতো বছর খিলাফতের দায়িত্ব পালন করেছেন। সাঈদ (রহঃ) বলেন, আমি সাফীনাহ (রাঃ) -কে বললাম, এরা ধারণা করে যে, ‘আলী (রাঃ) খলীফাহ ছিলেন না। তিনি বলেন, বনী যারকা অর্থাৎ মাওয়ানের বংশধরগণ মিথ্যা বলেছে।

সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং ৪৬৪৬
হাদিসের মান: হাসান সহিহ
Source: আল হাদিস অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ, IRD

অধিকাংশ শিয়ারা যে মতামতে আহলে বায়াতের মর্যাদাক্ষুন্ন করেছিল তা মিথ্যা বরং আবুবকর (রা) নিজ পরিবারের চেয়ে রসুলকে (সা:) বেশি ভালোবাসতেন। আর আলী (রা) এর বিচক্ষণতায় খেলাফতসহ বিভিন্ন প্রসঙ্গে আহলে বায়াতের মর্যাদা (কেয়ামত পর্যন্ত থাকবে) জনসম্মুখে জানিয়েছেন, তিনি যদি গোপনে বায়াত নিতেন তাহলে আবুবকর (রা:) এর বিরুদ্ধে অভিযোগ আরও শক্তিশালী হত।

দেখুন হাদীসের বর্ননাকারী আয়েশা (রা)। তিনিই আহলে বায়াতের মর্যাদার হাদীস বর্ননা করেছেন এবং আলীর (রা) মর্যাদা সম্পর্কে সচেতন ছিলেন। তবে আহলে বায়াত কারা, তাদের ফজিলতের এত হাদীস কেন বলা হচ্ছে না একটু ভাবুন অথচ ছোট ছোট মাসয়ালার কত ওয়াজ, তর্ক, বিতর্ক।

তাহলে বিতর্ক সৃষ্টি হবে বলে এসব হাদীস এড়িয়ে যাওয়া অযৌক্তিক নয় কি!! আর সাহাবীরা ইসলামকে সবচেয়ে বেশি ভালোবাসতেন ও বুঝতেন বিতর্ক সৃষ্টির জন্য তারা বর্ননা করেনি বরং সমাধানের জন্য করেছেন।

ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, আবূ বকর (রাঃ) বললেন, মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সন্তুষ্টি তাঁর পরিবারবর্গের (প্রতি সদাচরণের) মাধ্যমে অর্জন কর। জামি’ তিরমিযি ও মুসতাদরাক লিল হাকিমের বর্ণনায়: ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমরা আল্লাহ্ তা’আলাকে মহব্বত কর। কেননা তিনি তোমাদেরকে তাঁর নিয়ামাতরাজি খাবার খাওয়াচ্ছেন। আর আল্লাহ্ তা’আলার মহব্বতে তোমরা আমাকেও মহব্বত এবং আমার মহব্বতে আমার আহলে বাইতকেও মহব্বত কর। [সহীহ বুখারী: ৩৭৫১, জামে’ আত-তিরমিজি: ৩৭৮৯, শায়খ যুবায়ের আলী যাঈ হাদিসটিকে সহীহ বলেছেন, মুসতাদরাক লিল হাকিম: ৪৭১৬, ইমাম হাকিম ও যাহাবী বলেন: এর সনদ সহীহ]

তাহলে জঙ্গে জামাল, সিফফিন, কারবালা কেন হয়েছিল!! ইনশাআল্লাহ ধাপে ধাপে আসবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *