দৃশ্যপট প্রায় একই, ব্যাখা দুরকম। এত হাজারো মানুষের সামনে শিশুটা মিছিল করছিল, গুলি হতে পারতো কেউ তাকে সতর্ক করলো না। অবুঝ শিশু আন্দোলন করছিল, দেশপ্রেমের কতটা বুঝ হয়েছিল!! আবেগে এসেছে জীবন দিয়েছে তবু চেতনাধারীরা আন্দোলনরতদের সতর্ক না করার জন্য দায়ী না করে বরং আন্দোলন ও শিশুর সাহসের প্রশংসা করেছে। তেমনি ইসলামের নামে আন্দোলনে অনেক মাদ্রাসার ছাত্র ও সাধারন মানুষ যোগ দেয়। হয়তো অনেকের পরিপূর্ন ইসলামী জ্ঞান হয় নি। তবে ইসলামকে ভালোবাসে ও আবেগ থাকে৷ আর যারা তাদের সতর্ক করে না তারাও দায়ী। আর যার জেহাদ ফরজ হয় নি, জেহাদের নাম ব্যবহার করে এসব আন্দোলনে ওদের ব্যবহার করাটা স্পষ্ট জাহেলিয়াত। এভাবে আন্দোলন করে ইসলাম আসে নি কোথাও আসবেও না। এটা যদি জেহাদ হয়, তাহলে জেহাদ হতে পালালে আল্লাহ ক্ষমা করেন না। যারা পুলিশের ভয়ে পালায় তাহলে কি তারা মুনাফেক!!? আমি সব আলেমকে দায়ী করছি না বরং যারা এটাকে জেহাদ আ্যাখা দিয়ে ভুল ব্যাখা করে তাদের বলছি। কিন্তু শুধু তারা একা কি দায়ী!! মিডিয়ার দ্বিমুখী আচরনে স্পষ্ট হয় এসব ঘটনায় আলেমদের উপর উগ্রবাদী আচরনের দোষ চাপায় আর গুলি খেয়ে শিশু/মানুষ মরলে মুসলিমদের উপর দোষ চাপায় প্রশাসনের উপর নয়। জালেম সবযুগে একই, জুলুমও। শুধু ক্ষমতা থাকলে প্রচারনা একরকম, ক্ষমতা হারালে ইতিহাস ও প্রচারনা ভিন্ন হয়ে যায়। নিচের লেখাটা দেখুন, তথাকথিত লেখকদের লেখা, মিডিয়া তাদের এইভাবে প্রচার করে-
“তখন ১৯৬৯ সাল। এই বাচ্চা ছেলেটার নাম আদৌ জানা যায় নি। ঢাকায় প্রতিটি রাজপথে মিছিল চলছে। হঠাৎ এই ছোট্ট নাবালক শিশু মিছিলের সামনে চলে আসে, ওকে সামনে রেখেই মিছিল আগাতে থাকে। এক সাংবাদিক এই ছবিটা তোলার পর ২য় ছবি তোলার জন্য রিল টানতে গিয়ে হঠাৎ বিকট গু/লি/র শব্দ হয় তারপর তাকিয়ে দেখে ছেলেটার বুক ঝাঁঝরা করে দিয়েছে মিলিটারিরা। বাচ্চা ছেলেটার ২য় ছবি আর তোলা হয়নি। (সুত্রঃ রাশিদ তালুকদার, তৎকালীন ফটোসাংবাদিক) ‘৩০ লক্ষ’ শহীদদের মধ্যে একটি মাত্র ‘গল্প’ এইটি। স্বাধীনতার ওজন বুঝতে হবে। শুধু নামমাত্র গদ্য রচনা করলেই হবেনা। আসুন এই বিজয়ের মাসে গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে এদেরকে স্বরন করি। ❤️”