আমরা গনতন্ত্রবিরোধী পোস্ট দিয়েছিলাম আপনারা দলিলভিত্তিক আলোচনায় না পেরে আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করেছেন। পেইজে রিপোর্ট করেছেন বার বার। যে কারনে আমাদের অনেক পোস্ট সরাতে হয়েছে, এছাড়া অনেক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছি।
আমাদের ক্ষতি করবেন সবর করবো, হেদায়েতের দোয়া করবো। কিন্তু দ্বীন প্রচারে বাধা সৃষ্টি করবেন! আল্লাহর নিকট ফায়সালা দিলাম। তিনি উত্তম জবাব দিবেন।
আমরা হারিয়ে গেলেও দ্বীনের কাজ ঠিকই চলবে। এই দায়িত্ব স্বয়ং আল্লাহতাআলার। তিনি যাকে খুশি তার দ্বারা করাবেন। রসুল (সা:) দুনিয়ার জীবন পার করেছেন তার ছড়িয়ে যাওয়া দ্বীন হারায়নি বরং সারাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে। আর আমাদের মত তুচ্ছ বান্দার ক্ষতি হলেও ইসলাম ঠিকই প্রতিষ্ঠিত হবে। ঈসা (আা:), খলিফা মাহাদী (হাফি) সে দ্বীনকে সারাবিশ্বে প্রতিষ্ঠিত করবেন ইনশাআল্লাহ।
আল্লাহ বলেন-
আর মুহাম্মদ একজন রাসূল মাত্র; তার আগে বহু রাসূল গত হয়েছেন। কাজেই যদি তিনি ইন্তেকাল বা নিহত হন তবে কি তোমরা পৃষ্ঠ প্রদর্শন করবে? আর কেউ পৃষ্ঠ প্রদর্শন করলে সে কখনো আল্লাহর ক্ষতি করবে না; আর আল্লাহ্ শীঘ্রই কৃতজ্ঞদেরকে পুরস্কৃত করবেন। (আল ইমরান, ১৪৪)
এ আয়াতে হুশিয়ার করা হয়েছে যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহিওয়া সাল্লাম একদিন না একদিন দুনিয়া থেকে বিদায় নেবেন। তার পরও মুসলিমদের দ্বীনের উপর অটল থাকতে হবে। এতে আরো বুঝা যায় যে, সাময়িক বিপর্যয়ের সময় রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আহত হওয়া এবং তার মৃত্যুসংবাদ প্রচারিত হওয়ার পেছনে যে রহস্য ছিল, তা হলো তাঁর জীবদ্দশাতেই তার মৃত্যু-পরবর্তী সাহাবায়ে-কেরামের সম্ভাব্য অবস্থার একটি চিত্র ফুটিয়ে তোলা- যাতে তাদের মধ্যে কোন ক্রটি-বিচূতি পরিলক্ষিত হলে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম স্বয়ং তা সংশোধন করে দেন এবং পরে সত্যসত্যই যখন তার মৃত্যু হবে, তখন যেন সম্বিত হারিয়ে না ফেলেন। বাস্তবে তাই হয়েছে। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ওফাতের সময় যখন প্রধান প্রধান সাহাবীগণও শোকে মুহ্যমান হয়ে পড়েন, তখন আবু বকর সিদ্দীক রাদিয়াল্লাহু আনহু এ আয়াত তেলাওয়াত করেই তাদের সান্তুনা দেন। (বুখারীঃ)
দেশে কত বিদআতি, ভন্ড মাজার পূজারী, কা-দেয়ানীরা ঠিকই তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। আপনাদের দেখা যায় না তাদের বিরুদ্ধে এতটা কঠোরতা প্রদর্শন করতে যতটা আমাদের বিরুদ্ধে দেখান। অথচ ক্ষমতা পেলে ওদের নিরাপত্তা ও প্রতিষ্ঠা করবেন আশ্বাস দেন। আর মুশরিকদের সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য পূজা মন্ডপে ভ্রমণ ও তাদের রীতিনীতি ঠিকই মানছেন। আর আমরা বিরোধিতা করলে নিজেদের সংশোধন না করে উল্টো মিথ্যা অভিযোগ, রিপোর্ট, হুমকি দিচ্ছেন।
আমরা কি তাদের চেয়ে নিকৃষ্ট আপনাদের কাছে?
সুস্পষ্ট বলি আমরা আল্লাহ ছাড়া কাউকে ভয় করি না। আপনারা আমাদের নয় বরং নিজেদের ক্ষতি করছেন। সত্য না মেনে আল্লাহর আযাবের দিকে ধাবিত হচ্ছেন। প্রতিটি ব্যক্তির নিয়ত আল্লাহ জানেন – আমাদের মধ্যে যারা ভুলপথে আছে তাদের আল্লাহ হেদায়েত দিক। আর যারা ভুল সংশোধনের আহ্বান করায় মুমিনদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র লিপ্ত তাদের জন্য আল্লাহ যেটা উত্তম সেটাই করুক (শাস্তি/হেদায়েত)।
আল্লাহর উপর আমাদের পূর্ণ ভরসা রয়েছে। অপেক্ষায় রইলাম দোয়া কবুলের।
সর্তকতা – যারা ক্ষমতা পাবার জন্য ইসলাম ছাড়তে পারে, ক্ষমতা পেলে তা ধরে রাখার জন্য মুমিনের উপর জুলুম করতে দ্বিধা করবে না। ইতিহাসে এর বহু উদাহরণ আছে।